দেখিয়া শুনিয়া ক্ষেপিয়া গিয়াছি ,তাই যাহা আসে কই মুখে ।
কথায় বলে ছাগলে কি না খায় ! ভোলা হল তার উৎকৃষ্ট দৃষ্টান্ত । তবে ছাগল নয়,পাঁঠা ।
মালিক পশ্চিমবঙ্গের ময়নাগুড়ি খাগড়াবাড়ির ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান বরুণ ঘোষ । যে দিন ভোলা মদ ধরেছে, সে দিনই দেবতার নামে উৎসর্গ করে গোয়াল থেকে বার করে দিয়েছেন ।
সেই থেকে ভোলা হল ধর্মের পাঁঠা । সপ্তাহে একদিন তাঁর মেনুতে একবাটি মদ চাই । বিলিতি হলে ভাল । তা না হলে এক বাটি হাঁড়িয়া কিংবা চুল্লু । এ হেন ভোলার কাণ্ডকারখানায় গোটা ময়নাগুড়ি যে মজে থাকবে তাতে আর আশ্চর্য কী ! গায়ের রঙ ঘোর কৃষ্ণবর্ণ ।
উচ্চতা প্রায় দুই ফুট । থুতনিতে একগোছা লম্বা দাঁড়ি । তেল চকচকে নাদুস-নুদুস চেহারা । তবে চোখ দেখলেই গোলমাল ধরা যায় । একেবারে নেশাচ্ছন্ন ।
মদ,গাঁজা , বিড়ি এমনকী, সিগারেট অবলীলায় চিবিয়ে খায় সে । নেশায় সে যখন বুঁদ, তখন সামনে দাঁড়ানোই বিপদ । মতলব আঁচ করার আগেই গুঁতিয়ে চিত্তির করে দিতে পারে একনিমেশে । যাঁরা গুঁতো খেয়েছেন,হাসি মুখে ব্যথা হজম করেছেন । গুঁতো সামলাতে গিয়ে যাঁদের কোঁচা খুলে গিয়েছে, নালিশ নেই তাঁদেরও ।
কাকেই বা নালিশ করবেন । পাঁঠার বিরুদ্ধে এমন নালিশ নেবেই বা কে ? কিন্তু মদ তো চাইলেই মেলে না । পাঁঠার মগজ হলেও সেটুকু বুদ্ধি ধরে ভোলা । ফি হপ্তায় নেশা করার দিনে ভোলা চলে যায় ময়নাগুড়ি থেকে ১৯ কিলোমিটার দূরে রামসাই বাজার । অতটা পথ পাঁঠার পক্ষেও হেঁটে যাওয়া সহজ নয়।
ভোলারও তাই রামসাই বাজার যাওয়ার সহজ রাস্তা হল যাত্রিবাহী বাস । ময়নাগুড়ি নতুন বাজার বাস স্ট্যান্ড থেকে বাসে চড়ে বসে সে । নেশা জমলে ফের বাসে চড়ে স্বস্থানে ফেরত । বাস কন্ডাক্টর বিমল রায় বলেন,''গাড়ি ফাঁকা দেখলেই হল । বাসে উঠে পড়ে ,নামায় কার সাধ্য ।
তখনি বুঝি আজ ভোলার নেশা চড়েছে । রামসাই বাজার এলেই নেমে যায়। '' নেশা না-করলে অবশ্য ভোলা একেবারে সুবোধ বালক যেন । সারা দিন আপন মনে ঘুরে বেড়ায় ময়নাঘুড়ি বাজারে । সেখানে তার মালিক গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধানের সঙ্গে দেখা হলে সামান্য খুনসুটি ।
তার পরে ফের নিজের পথে ভোলা। সে সময় ঘাস থেকে সবুজ পাতা,ভুষি,ভাত,মাছ,কাপড়,এমনকী নির্বাচনী বা কোম্পানী পোস্টারেও অরুচি নেই । ভাল কিছু খেতে ইচ্ছে হলে হোটেলের সামনে গিয়ে দাঁড়াবে । কারও সঙ্গে তাঁর বিরোধ নেই । তাই খাবারের অভাবও নেই ।
কেবল মদ খেলেই সামান্য টলতে থাকে । বরুণবাবু বলেন, ''এক বছর হল ভোলার এই বদ স্বভাব লক্ষ্য করছি । কে যে এমন নেশা ধরাল । ''
ভোলার মাতলামোই এলাকার বাসিন্দাদের সবচেয়ে প্রিয় । টলতে টলতে ভোলা রাস্তা দিয়ে হাঁটছে ।
তা দেখে লোকে হেসে খুন । তখন কাউকে গুঁতো দিলেও সমস্যা নেই । হাসতে হাসতে ধুলো ঝেড়ে উঠে ফের ভোলার কান্ড দেখতেই ব্যস্ত হয়ে পড়ে সবাই । হোটেল মালিক শ্যামল ঘোষ বলেন, '' এমনিতে ওর মতো পাঁঠা হয় না । কেবল মদ খেলেই মাথাটা একটু বিগড়ে যায় ।
তখন খাবার না-পেলে খেপে যায় । আমি অবশ্য ঘাঁটাই না । যা থাকে তাড়াতাড়ি দিয়ে দিই । '' কথায় বলে ছাগলে কি না খায় ! ভোলা হল তার উৎকৃষ্ট দৃষ্টান্ত । তবে ছাগল নয়,পাঁঠা ।
মালিক পশ্চিমবঙ্গের ময়নাগুড়ি খাগড়াবাড়ির ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান বরুণ ঘোষ । যে দিন ভোলা মদ ধরেছে, সে দিনই দেবতার নামে উৎসর্গ করে গোয়াল থেকে বার করে দিয়েছেন । সেই থেকে ভোলা হল ধর্মের পাঁঠা । সপ্তাহে একদিন তাঁর মেনুতে একবাটি মদ চাই । বিলিতি হলে ভাল ।
তা না হলে এক বাটি হাঁড়িয়া কিংবা চুল্লু । এ হেন ভোলার কাণ্ডকারখানায় গোটা ময়নাগুড়ি যে মজে থাকবে তাতে আর আশ্চর্য কী ! গায়ের রঙ ঘোর কৃষ্ণবর্ণ । উচ্চতা প্রায় দুই ফুট । থুতনিতে একগোছা লম্বা দাঁড়ি । তেল চকচকে নাদুস-নুদুস চেহারা ।
তবে চোখ দেখলেই গোলমাল ধরা যায় । একেবারে নেশাচ্ছন্ন । মদ,গাঁজা , বিড়ি এমনকী, সিগারেট অবলীলায় চিবিয়ে খায় সে । নেশায় সে যখন বুঁদ, তখন সামনে দাঁড়ানোই বিপদ । মতলব আঁচ করার আগেই গুঁতিয়ে চিত্তির করে দিতে পারে একনিমেশে ।
যাঁরা গুঁতো খেয়েছেন,হাসি মুখে ব্যথা হজম করেছেন । গুঁতো সামলাতে গিয়ে যাঁদের কোঁচা খুলে গিয়েছে, নালিশ নেই তাঁদেরও । কাকেই বা নালিশ করবেন । পাঁঠার বিরুদ্ধে এমন নালিশ নেবেই বা কে ? কিন্তু মদ তো চাইলেই মেলে না । পাঁঠার মগজ হলেও সেটুকু বুদ্ধি ধরে ভোলা ।
ফি হপ্তায় নেশা করার দিনে ভোলা চলে যায় ময়নাগুড়ি থেকে ১৯ কিলোমিটার দূরে রামসাই বাজার । অতটা পথ পাঁঠার পক্ষেও হেঁটে যাওয়া সহজ নয়। ভোলারও তাই রামসাই বাজার যাওয়ার সহজ রাস্তা হল যাত্রিবাহী বাস । ময়নাগুড়ি নতুন বাজার বাস স্ট্যান্ড থেকে বাসে চড়ে বসে সে । নেশা জমলে ফের বাসে চড়ে স্বস্থানে ফেরত ।
বাস কন্ডাক্টর বিমল রায় বলেন,''গাড়ি ফাঁকা দেখলেই হল । বাসে উঠে পড়ে ,নামায় কার সাধ্য । তখনি বুঝি আজ ভোলার নেশা চড়েছে । রামসাই বাজার এলেই নেমে যায়। '' নেশা না-করলে অবশ্য ভোলা একেবারে সুবোধ বালক যেন ।
সারা দিন আপন মনে ঘুরে বেড়ায় ময়নাঘুড়ি বাজারে । সেখানে তার মালিক গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধানের সঙ্গে দেখা হলে সামান্য খুনসুটি । তার পরে ফের নিজের পথে ভোলা। সে সময় ঘাস থেকে সবুজ পাতা,ভুষি,ভাত,মাছ,কাপড়,এমনকী নির্বাচনী বা কোম্পানী পোস্টারেও অরুচি নেই । ভাল কিছু খেতে ইচ্ছে হলে হোটেলের সামনে গিয়ে দাঁড়াবে ।
কারও সঙ্গে তাঁর বিরোধ নেই । তাই খাবারের অভাবও নেই । কেবল মদ খেলেই সামান্য টলতে থাকে । বরুণবাবু বলেন, ''এক বছর হল ভোলার এই বদ স্বভাব লক্ষ্য করছি । কে যে এমন নেশা ধরাল ।
''
ভোলার মাতলামোই এলাকার বাসিন্দাদের সবচেয়ে প্রিয় । টলতে টলতে ভোলা রাস্তা দিয়ে হাঁটছে । তা দেখে লোকে হেসে খুন । তখন কাউকে গুঁতো দিলেও সমস্যা নেই । হাসতে হাসতে ধুলো ঝেড়ে উঠে ফের ভোলার কান্ড দেখতেই ব্যস্ত হয়ে পড়ে সবাই ।
হোটেল মালিক শ্যামল ঘোষ বলেন, '' এমনিতে ওর মতো পাঁঠা হয় না । কেবল মদ খেলেই মাথাটা একটু বিগড়ে যায় । তখন খাবার না-পেলে খেপে যায় । আমি অবশ্য ঘাঁটাই না । যা থাকে তাড়াতাড়ি দিয়ে দিই ।
''
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।