স্বাধীন দেশের মাটি আজ কেন রক্তে রক্তিম হয়েছে বিদেশী অপশক্তির হাতে। এ রক্ত ঝরাতো নতুন নয়। এ স্বজন হারাও তো নতুন নয়। তবে কেন একই ঘটনার পুনবৃত্তি ঘটছে। আর কোন কোন ঘটনার ঘটার পরেই শুরু হয় বিভিন্ন রকম বক্তব্য।
হোক সরকারী কিংবা বিরোধী দলের একটি অনির্দিষ্ট শক্তির অজুহাত দিয়ে সময়ক্ষেপন করা ছাড়া আমরা আর কিছুই ভাবতে পারি না। সাময়িক স্বজন হারাদের পাশে সমবেদনা প্রকাশ করি কালো পতাকার মাধ্যমে কালো ব্যাজ ধারণ করি। পক্ষান্তরের ঠিকই অপশক্তির উপর দোষারোপ করে সব ভুলে যাই। এরকম বাহিনীর হাতেই আমরা হারিয়েছি জাতির দুজন মহান নায়ককে তখনও আমরা বলছি এর পিছনে দেশী- বিদেশী অপশক্তির হাত রয়েছে। কিন্ত খুজে বের করতে পেরেছি কি? তাদের কি শাস্তি দিয়েছি আমরা? প্রশ্ন জাতির কাছে।
আর সেই স্বজনহারা পরিবারগুলো আজও বেদনা বয়ে চলছে।
দেশের এই ভয়াল পরিস্থিতিতে। সরকারী দলের অনেক মন্ত্রী এবং বিরোধী দলের অনেক উচ্চ পর্যায়ের ব্যক্তি বর্গের মুখে একই কথা আর তা হলো এই ঘৃনিত চক্রান্তে দেশী-বিদেশী শক্তির হাত রয়েছে। এবং এরশাদ সাহেব মিডিয়ায় বলছেন এর পিছনে বিদেশী শক্তি জরিত। অনেক পত্রিকায় আবার বিদেশী শত্রুর সংশ্লিষ্টতা সর্ম্পকে তথ্য ও প্রদান করছে।
কিন্ত আমার প্রশ্ন হল ঘটনা ঘটার পরে তাদের কেমন করে মনে হলে যে, এর পিছনে বিদেশী শক্তি জড়িত?। আর সরকারী দলের গোয়েন্দা বিভাগ এত বড় ষড়যন্ত্রের কথা বা অভাসও তারা জানতে পারলো না কেন?। এত বড় একটি ঘটনার সুত্রপাত নিশ্চয় কয়েক ঘন্টার আলোচনায় করা সম্ভব নয় বলে অনেক বিশিষ্ট চিন্তাবিদরা মনে করেন। একে অপরের দোষারোপ করে তদন্ত কাজ বিলম্ব না করে তদন্ত কাজে সবাইর সহযোগিতা করা উচিত। খুজে বের করা উচিত এর মুলসহ।
জাতির সামনে তুলে ধরা উচিত এই অপরাধীদের। প্রকাশ্যে বিচার করা উচিত। আপনারা যারা উচ্চ পর্যায়ে আছেন তাদের চেষ্টা করা উচিত কিভাবে এরকম একটি ঘটনার সুত্রপাত হলো কেন? হল। এবং কেনই বা বার বার একটি স্বাধীন রাষ্ট্রে এরকম ঘটনার পুনবৃত্তি ঘটছে।
ওদের জন্য বার বার কেন আমরা স্বজদের হারচ্ছি।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।