তবুও জীবন যাচ্ছে কেটে জীবনের নিয়মে।
গতদিন হঠাৎ দ্বিতীয় বসের মেইল পেলাম। জরুরী মিটিং হবে। খুব অল্প সময়ের নোটিসে মিটিং। খোজ নিয়ে জানা গেলো মিটিং টাকা-পয়সা সংক্রান্ত।
জার্মান কোম্পানিগুলো যারা ইউনিয়নের অন্তর্ভুক্ত ওরা নতুন একটি সিস্টেম বের করেছে। যাতে রুট লেভেলের কর্মচারীরা ভালো বেতন পাবে আর মিডিয়াম লেভেলের বেতম কমবে। বড় বেতনের লোকজনের বেতনে কোন পরিবর্তন নেই। আগে ছিলো টেরিফ, এখন ERA। আমার হিসেব নিকেশের পর দেখা গেলো আগের মতোই সেলারি থাকবে।
বেচে গেলাম। বেতন কমলে অবশ্য আমি থ্রেড দিতাম। একমাসের নোটিসে বিদায়। পকেটে ২/১টা অফার ছিলো। কোম্পানির বেশিরভাগ লোকজন মোটা অংকের টাকা কামায়।
শুধু আমরা হাতে গোনা কয়েকজন কম বেতনে কামলা খাটি। অবশ্য বিভিন্ন কোম্পানি যারা ইউনিয়নের অন্তর্ভূক্ত নয় ওরা যাকে যে বেতন দিয়ে খুশি রাখতে পারে। এখন মনে হচ্ছে ঐসব কোম্পানিই ভালো।
বাসা থেকে অনেকগুলো পথ হেটে আসতে হয়। এখন গাছে গাছে ফুল ফুটার সময়।
অনেকের মতো এখন পর্যন্ত কোন এলিট অসুখে পড়িনি। দেশে গিয়ে কোনদিনই আবহাওয়া পরিবর্তনের জন্য কোন অসুখ করেনি। খেয়ে দেয়ে, ইচ্ছেমতো অনিয়ম করে এসেছি। তবে এবার মনে হয় আর সম্ভব হচ্ছে না। ফুলের রেনুর এলার্জি বাসা বাধছে।
প্রচন্ড চোখ চুলকানো আর হাঁচি । অনেক বড় অসুখেও ডাক্তারের কাছে যাওয়া হয় না আর এইসব ছোটখাটো বিষয়ে তো প্রশ্নই নেই।
নববর্ষ অফিসে বসেই চলে গেলো। সপ্তাহান্তে পার্টিতে নববর্ষ পালিত হবে। ছাত্রাবস্হায় ইউনি ফাকি দেয়া যেতো ।
এখন আর সম্ভব না। এখন অফিসের সবাই ছুটির ধান্ধায়। অনেকের ব্যাকআপ হিসেবে কাজ করতে হচ্ছে।
ছুটির দিনগুলো ব্যাপক মজা করে কেটেছে। একদিকে বৃষ্টি।
বাইরে যেতে মন চাচ্ছে না। বাসার সবাই বিভিন্ন দাওয়াতে গেছে। আমি বিভিন্ন অযুহাত দেখিয়ে বাসায় থেকে শুয়ে বসে, টিভি ,ইন্টারনেট. দুপুরে খাবার পর ঘুম দিয়ে দুইদিন কাভার করেছি । মনে হয় এইরকম ছুটিরদিন জীবনে খুব কমই উপভোগ করতে পেরেছি।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।