কষ্ট হলেও সত্য বলা বা স্বীকার করার সাহসই সবচেয়ে বড় সততা।
মহানবী [সা] তার সততা অনুপম চরিত্র মাধুর্য এবং অসাধারণ দেশপ্রেমিক সময়ের চাহিদানুসারে মানবতার কল্যাণে যথার্থ কর্মসূচী বিশ্বের ইতিহাসে প্রদীপ্ত ভাস্কর হয়ে রয়েছে। তার এ মহৎ গুণাবলীর দ্বারা আরব জাতিকে একটি সুশৃংখল নীতিবান ও সুসভ্য জাতিতে পরিণত করেছিলেন। কায়েম করেছিলেন সুন্দর ও চিরসুখী সমাজ ব্যবস্থা। তার আঙ্গুলি স্পর্শে পৌত্তলিকতার সীমাহীন প্রসারতা, মদ, জুয়া, সুদ, দাসত্ব প্রথা, নারী নির্যাতন, শিশু হত্যা ইত্যাদি সমাজ বিধ্বংসী আচরণ চিরতরে হলো বন্ধ।
মহানবী [সা] এ গঠনমূলক জীবনের উন্নততর আদর্শ মানব জাতির জন্য মাইল স্টোন হিসেবে কাজ করল। মহানবীর গৃহীত কর্মসূচীর দ্বারা প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন একটি সুসভ্য ও সুসংগত জাতি এবং আদর্শ সমাজ পদ্ধতি। আর এটাই ছিল তার জীবনে মানব কল্যাণে ভারসাম্য কর্মসূচী। যার ফলে সময়ের অনিবার্য ভাবনায় মহান আল্লাহ তায়ালা ঘোষণা করলেনঃ
“আজ আমি তোমাদের দ্বীনকে পূর্ণাঙ্গ করলাম, আমার নিয়ামত তোমাদের উপর
সম্পন্ন করলাম এবং ইসলামকে তোমাদের জন্য দ্বীন হিসেবে মনোনীত করলাম। ”
[সূরা মায়েদা]
সাথে সাথে মহানবীর কল্যাণমূলক কর্মসূচীর প্রতি নির্দেশ করে কুরআনে আরো ঘোষণা করা হয়েছেঃ
“রাসূলের জীবনের মধ্যেই রয়েছে তোমাদের জন্য সর্বোত্তম আদর্শ।
”
রাসূলের [সা] কর্মসূচী
১• সামাজিক
১। দুর্নীতি প্রতিরোধঃ দুর্নীতি অধিক পরিচিত শব্দ। এ সম্পর্কে আমরা সকলেই কমবেশী কিছু জানি। নীতি বহির্ভূত কোন কাজই হচ্ছে দুর্নীতি। তিন অক্ষরের শব্দ এ দুর্নীতির কালো থাবায় আজ গ্রাস করছে সারা বিশ্বকে।
পৃথিবীর মানুষ নানা দুর্নীতির শিকারে পর্যদুস্ত। কোন মহান নেতাই যেন এ দুর্নীতির বিরুদ্ধে বলিষ্ঠ পদক্ষেপ নিতে পারছেন না। এর কারণও দুর্নীতি। ধ্বংসের বেলাভূমিতে দাঁড়িয়ে আমাদের স্মরণ করিয়ে দেয় সর্বকালে কালজয়ী দুর্নীতি প্রতিরোধক হযরত মুহাম্মাদ [সা]-এর কথা। সমাজ থেকে নানা দুর্নীতি উচ্ছেদে হযরত মুহাম্মাদ [সা]-এর গ্রহণীয় পদক্ষেপগুলো ছিল অবিস্মরণীয়।
তিনি মানুষকে শাশ্বত বাণীর নীতিমালা দ্বারা লোকদিগকে সতর্ক করেছেন। কালামে পাকে ঘোষিত হয়েছেঃ
“তোমরা মাপার সময় পুরোপুরি মেপে দিবে এবং সঠিক পাল্লা দ্বারা ওজন করবে। ” [সূরা বানী ইসরাইল]
হাদীসে আরো বলা হয়েছেঃ
“যে ব্যক্তি [বেচা-কেনায়] ধোকা দিবে সে আমাদের দলভুক্ত নয়। ”
দুর্নীতির সর্বোচ্চ ঘাঁটি সুদের বিরুদ্ধে হযরত মুহাম্মাদ [সা] ছিলেন অত্যন্ত কঠোর। তিনি মদীনা সনদের শর্তে সুদ নিষিদ্ধ ও হারাম ঘোষণা করেন।
সাথে সাথে আল্লাহর বাণী ঘোষিত হয়ঃ অর্থাৎ “আল্লাহ সুদকে হারাম করেছেন এবং ব্যবসাকে হালাল করেছেন। ” এছাড়া তিনি নিজেই উচ্চারণ করেছেনঃ
“সুদ যে খায়, যে দেয়, যে লিখে এবং যে সাক্ষ্য দেয়, সকলের প্রতি আল্লাহর অভিসম্পাত। ” রাসূল [সা] আরো বলেছেনঃ “ঘুষ দাতা এবং ঘুষ গ্রহীতা উভয়ই জাহান্নামের অধিবাসী। ” (চলবে)
শুরু পর্ব
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।