দিলের দরজা ২৪/৭ খুইলা রাখি মাছি বসে মানুষ বসে না। মানুষ খালি উড়াল পারে! এক দিন আমি ও দিমু উড়াল, নিজের পায়ে নিজে মাইরা কুড়াল...
রাহেলা হত্যা মামলার সাক্ষ্য গ্রহন। । রিপোর্ট #৩
চাঞ্চল্যকর রাহেলা হত্যা মামলার নিখোজ নথিপত্র ও আলামত উদ্ধারের দুই বছর পর নতুন করে শুরু হয়েছে এই মামলার সাক্ষ্য গ্রহন। আজ সাক্ষ্য দিয়েছেন চান মিঞা ও প্রত্যক্ষ্যদর্শী তিন জন মালী।
পরাগ আজিমের রিপোর্ট, ভিডিও দেখুন >
রাহেলা হত্যা মামলার সাক্ষ্য গ্রহন। । রিপোর্ট #২
ঘটনার প্রায় ৪ বছর পর মিলেছে সাভারের চাঞ্চল্যকর মামলার নিখোজ নথিপত্র ও আলামতের হদিস। পাওয়া গেছে রাহেলার মৃত্যুকালীন জবান বন্দি'র কপিও। চ্যানেল আই এ এই মামলার নিখোজ থাকার খবর পাচারের পর পুলিশের উর্দ্ধতন কর্মকর্তারা মামলাটির বিষয়ে খবরদারী বাড়ান।
রিপোর্ট পরাগ আজিমের, ভিডিও দেখুন >
বাইট্স্: রাহেলা ".....তার পর ছোড়া দিয়া না কি দিয়া আমার গলার ভিতর পোছ দেয়। তহন আমার রক্ত দিয়া ভাইসা যায়। তখন পাচ মিনিট পরে আইয়া আমার চুলের মুঠিডা উচা কইরা লইয়া অমনি ফালাইয়া আমার গাড়ডা মোচর দিয়া ধইরা ভাইঙ্গা হালায়....."
পরাগ আজিমের ন্যারেশন: জীবন মৃত তিন দিন জঙ্গলে ধর্ষিত হয়ে পড়ে থাকবার পর উদ্ধারকৃত রাহেলা এভাবেই জানিয়ে দেয় ঐ পশুদের কথা, ৩৩ দিন ঢাকা মেডিক্যাল হাসপাতালে লড়তে লড়তে মারা যায় ক্লান্ত রাহেলা। রাহেলা'র মৃত্যুকালীন জবানবন্দি রেকর্ড হয় প্রথম শ্রেনী'র মেজিষ্ট্রেটের উপস্থিতিতে। রাহেলা'র মৃত্যুকালিন জবানবন্দি সহ বিভিন্ন আলামত নিখোজ থাকায় এর আগে বিভিন্নবার পিছিয়েছে রাহেলা হত্যা মামলা'র সাক্ষ্য গ্রহন।
বাইট্স্: রাশেদ চৌধুরী, মামলা'র তদন্ত কর্ম কর্তা
...আলামত ত ছিল...আলামত ত কোর্টেই আছে।
(আলামত ত ছিল না!)
...না ছিল।
(আলামত কি শুরু থেকে ছিল?)
...হ্যা।
(কিন্তু আমরা ত শনেছি, এ আলামত কোর্টে ছিল না। আলামতের অভাবে এ মামলা'র সাক্ষ্য গ্রহন কয়েকবার পিছাইছে!)
...না না ছিল।
ছিল, ছিল...না না কোর্টে পাওয়া গেছে। আমরা পাইলাম ত। আমরা আজকে পাইলাম।
পরাগ আজিমের ন্যারেশন: রাষ্ট্র পক্ষের আইনজীবি বললেন, আগামী সাতই এপ্রিল থেকে আসামীদের উপস্থিতিতে আদালতে সাক্ষ্য গ্রহন শুরু হবে।
বাইট্স্: আব্দুল কাইয়ুম খান, রাষ্ট্র পক্ষের আইনজীবি
আজকে ৩জন সাক্ষি আদালতে হাজিরা দিয়েছে।
এর ভিতরে এক জন আসামী...। এই মামলায় তো মোট ৪ জন আসামী, এক জন আসামী পলাতক শুরু থেকেই। তিন জন আসামী জামিনে আছে...তো এক জন আসামী আদালতে গর হাজির এবং তার পক্ষে বিজ্ঞ আইনজীবি আদালতে পিটিশন দিয়েছে, যে এই আসামী সাভারে অপর এক মামলায় জেল হাজতে আছে। তো যে কারনে আজকে ঐ আসামী'র অনুপস্তিতিতে আজকে ৩ জন সাক্ষি'র সাক্ষ্য গ্রহন সম্ভব হয় নাই্ এবং পরবর্তী তারিখ ৭ই এপ্রিল ধার্য্য করা হয়েছে। ঐ দিন সাক্ষী হবে।
এখানে যেহেতু রেফারেন্স নাম্বার নাই ঐ কারনেই আই, ওকে কল করা হয়েছে। যে আই.ও এসে যে আলামতটা কোথায় আছে সেটা ডিটেক্ট করে দিবে। ইতমধ্যে আলামতটা ডিটেক্ট হয়েছে। আলামতটা পাওয়া গেছে।
পরাগ আজিমের ন্যারেশন: তবে মামলা'র মূল আসামী লিটন এখনো ধরা ছোয়ার বাইরে রয়েছে।
পরাগ আজিম
চ্যানেল আই
ঢাকা।
রাহেলা হত্যা মামলার সাক্ষ্য গ্রহন। । রিপোর্ট #১
আগামী ৩১শে মার্চ শুরু হচ্ছে সাভারের চাঞ্চল্যকর গার্মেন্টস্ কর্মী রাহেলা হত্যা মামলার সাক্ষ্য গ্রহন কার্য্যক্রম।
থানা থেকে গায়েব হয়ে গেছে মামলার মূল নথীপত্র।
রাহেলার মৃত্যুকালীন জবানবন্দী সহ বিভিন্ন আলামত নিখোজ থাকায় সাক্ষ্য গ্রহন কার্য্যক্রম বিলম্বিত হয়েছে কয়েক দফা।
এ জন্য পুলিশের তদন্ত কর্ম কর্তাকেই দায়ী করেছেন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালতের এক পিপি। রিপোর্ট শারমিন আজাদের, ভিডিও দেখুন >
শারমিন আজাদের ন্যারেশন: ২০০৪ সালের ১৯ আগষ্ট গার্মেন্টস্ কর্মী রাহেলা আক্তারকে বাসায় পৌছে দেয়ার কথা বলে জাহাঙ্গীর নগর ইউনিভার্সিটির ক্যাম্পাসে নিয়ে যায় আসামী লিটন। এর পর রাহেলাকে ধর্ষন করে গলা কেটে ফেলে রেখে যায় মীর মোশারফ হোসেন হলের পাশের জঙ্গলে -
২২শে আগষ্ট সকালে সাইফুল, ফিরোজ ও বুলু সহ লিটন এসে দেখে যায় রাহেলার অবস্থা। মৃত্যু নিশ্চিত করতে ক্ষত স্থানে ঢেলে দেয় এসিড।
লাশ উদ্ধার হলেও কেউ যেন পরিচয় জানতে না পারে সে জন্য আগুন ধরিয়ে দেয় চুলে। তবে সে দিনই বিশ্ববিদ্যালয়ের এক মালী রাহেলার আমি মরি নাই বেচে আছি, অস্ফুট আকুতি শুনতে পেরে মৃতবৎ অবস্থায় উদ্ধার করে রাহেলাকে। ভর্তী করা হয় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে।
বাইট্স্: রাহেলা ".....আমার গলায় টিবি দিয়া ফালায়া আমারে উফুত করে। তার পর ছোড়া দিয়া না কি দিয়া আমার গলার ভিতর পোছ দেয়।
তহন আমার রক্ত দিয়া ভাইসা যায়। তখন পাচ মিনিট পরে আইয়া আমার চুলের মুঠিডা উচা কইরা লইয়া অমনি ফালাইয়া আমার গাড়ডা মোচর দিয়া ধইরা ভাইঙ্গা হালায়....."
শারমিন আজাদের ন্যারেশন: ২৪ সেপ্টেম্বর হাসপাতালে মারা যায় রাহেলা। প্রথম দিকে মামলা নিয়ে পুলিশ কিছুটা তৎপর থাকলেও বার বার তদন্ত কর্মকর্তা বদল আসামীদের জামিন লাভ ও মূল আসামী লিটনকে ধরতে না পারার কারনে অনিশ্চিত হয়ে পড়ে মামলার ভবিষ্যৎ। গায়েব হয়ে যায় আলামতও,
বাইট্স্: আবদুল কাইয়ুম খান । ।
এডভেকেট (স্পেশাল পিপি)
".....আলামতটা কোথায় আছে তারা বলতে পারছেন না। এবং আইও কে বেশ কয়েক বারই আদালত থেকে আইওকে নোটিশ দেয়া হয়েছে আইও আসে নাই, এবং আইও এসে আলামতটা কোথায় আছে সেটা সে সঠিক ভাবে সে উপস্থাপন করে নাই। মৃত্যুকালীন জবানবন্দীটা এখনো কেন বার করা হয় নাই(!) তাদেরকে সমন দেয়া হয়েছে....."
শারমিন আজাদের ন্যারেশন: আলামত গায়েবের কথা অস্বীকার করেছে পুলিশ,
বাইট্স্: আমির উদ্দিন । । ডি আই জি, ঢাকা বেঞ্চ
".....ব্যাংন্ক ডিক্লারেশনের তথ্যমোতাবেক, যথাযথ তদন্ত শেষ করে সময় মতই চার্জশিট দেয়া হয়েছে....."
শারমিন আজাদের ন্যারেশন: আর্থিক অসঙ্গতির কারনে রাহেলার মা মামলার খোজ খবর রাখতে পারেননি।
রাহেলার স্বামী চাঁন মিঞা বিয়ে করে নতুন সংসার বাঁধায় আসামীদের শাস্তির ব্যাপারে খুব একটা আগ্রহী নন। এ অবস্থায় তদারকির অভাবেই এক সময়'র তুমুল চাঞ্চল্যকর এই মামলাটি ধামাচাপা পড়েযাবার আশঙ্কা করছেন খোদ রাষ্ট্র পক্ষের আইনজীবি।
শারমীন আজাদ
চ্যানেল আই
ঢাকা । ।
ব্লগার মানবী'র ডাকে সাড়া দিয়ে চ্যানেল আই এ প্রচারিত রাহেলাকে নিয়ে আরেফিন ফয়সলের সেই হৃদয় নাড়ানো টিভি রিপোর্টিং।
১.আপনার একটি স্বাক্ষর আর মানববন্ধনে হাতে হাত রাখার অনুরোধ...মানবী
২. রাহেলা'র জন্য মানব বন্ধন চ্যানেল আই রিপোর্ট।
৩. জাবি'র মানব বন্ধনের খবর পেতে এই ব্লগটি পড়ুন।
৪. শ্রীমঙ্গলে'র মানব বন্ধনের খবর পেতে এই ব্লগটি পড়ুন।
৫. ব্লগ আর্কাইভঃ দুই পয়সা'র মানুষরা চল জেগে থাকি । ।
রাহেলার জন্য
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।