আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ঘাতক চেহারা: একাত্তুরের ইসলামী ছাত্রসংঘ ও আজকের জামাতে ইসলামীর মুজাহিদ

সময়, কবিতা, ছোটগল্প, দেশ, দেশাচার

জামাতের আলী আহসান মুজাহিদ এ'বছরের অক্টোবরে বলেছিল, তার দল কখনোই বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে নি। মুজাহিদ আর তার সাঙ্গপাঙ্গরা যে কতোবড় ভন্ড আর মিথ্যেবাদী, তার প্রমান ১৯৭১ সালের পাকিস্তান অবজারভার পত্রিকার এই খবর। বদরের যুদ্ধকে স্বরণ করে সেদিন বায়তুল মোকাররাম মসজিদ প্রাঙ্গনে এক সমাবেশ করে তখনকার ইসলামী ছাত্রসংঘ। তার সভাপতি ছিল এই কথিত মুজাহিদ। বদরের যুদ্ধজয়কে স্মরণ করে ভারতের আক্রমনকে প্রতিহত করে ইসলামী সমাজ প্রতিষ্ঠার শপথে আহব্বান জানানো ছিল সেদিনের কর্মসুচী।

মুজাহিদ বলেছিল, এটা শুধু পাকিস্তানের মুসলিমদের যুদ্ধই নয়, সারা পৃথিবীর মুসলিমদের সপক্ষে এই যুদ্ধ। মুজাহিদ আরো বলেছিল, এখন থেকে কোন লাইব্রেরী হিন্দু বা হিন্দুপন্থী লেখকের বই বিক্রি করতে পারবে না। যে লাইব্রেরীতে এধরণের বই পাওয়া যাবে, সেখানেই সেগুলোকে পুড়িয়ে ফেলবে ইসলামী ছাত্রসংঘের ক্যডারদেররা। (দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়েও একই কুকর্ম করেছিল নাজীরা। ) আজকালকার নব্য জামাতীরা এসব ঘটনা ও খবরের মুখেমুখি হয়নি কোনদিন? হয়েছে।

কিন্তু ধর্মন্ধতার সুর্মা লেপ্টানো চোখে ওরা ওদের পুর্বসুরীদের পদ্ধতিকেই অনুসরণ করে চলেছে আজো। তাদেরও একই লক্ষ। নিজের আত্মার ভেতরের ন্যায়বোধ ও সততাকে জলান্জলী দিয়ে ইসলাম প্রতিষ্ঠার কথা বলা। আমাদের দেশের জনগন ধর্মান্ধ না হলেও ধর্মের প্রতি দুর্বল। সেই সুযোগই নিচ্ছে এই ধর্মব্যবসায়ীর দল।

কিন্তু আত্মার ভেতরের ন্যায়বোধ ও সততাকে জলান্জলী দিয়ে যে কোন ধর্ম প্রতিষ্ঠা করা যায়না, তার টের একদিন পাবে এই বিশ্বাসঘাতকের দল। কোন কোন অরাজকতার সময়ে মিথ্যে সত্যকে অতিক্রম করতে পারলেও ফলাফলে সত্যের জয় অনিবার্য।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।