সত্যােন্বষী
প্রত্যক্ষদর্শীদের বর্ণনা এবং স্বাধীনতা যুদ্ধের বিভিন্ন দলীল ও বইপত্রে- মওদুদী জামাতী, দেওবন্দী খারিজী, ওহাবী সালাফী রাজাকার আল-বাদর ঘাতকদের বিরুদ্ধে একাত্তরের পুরো ৯ মাস জুড়ে নিধনযজ্ঞ, অগ্নিসংযোগ, লুটপাট ও পাকবাহিনীকে সহযোগিতার তথ্য-প্রমাণ মিলেছে। ঘাতক জামাতীরা ধর্মের নামে ভুল ব্যাখ্যা দিয়ে দৃষ্টি ফেরাতে চাইছে একাত্তরের সেই হত্যাযজ্ঞ, নির্যাতন-নিপীড়নের চিত্র থেকে। বোঝাতে চাইছে মুক্তিযুদ্ধ তাদেরও ফসল। ভুলে যেতে বলছে পেছনের কথা তথা দেশের ইতিহাসকে। অথচ কোনো জাতির ইতিহাস ভুলে যাওয়া অথবা কোনো জাতির ইতিহাস বিমুখ হওয়া আর জাতির অস্তিত্ব বিলীন হওয়া প্রায় সমান কথা।
অনুসন্ধানে সারাদেশের হাজারো জামাতী ঘাতকের মধ্য থেকে মাত্র কয়েকজনের নানা যুদ্ধাপরাধের তথ্য এখানে তুলে ধরা হলো-
নির্লজ্জ ঘাতক কামারুজ্জামানের হাক্বীক্বত
জমায়েতে মওদুদী নেতা বেহায়া ঘাতক কামারুজ্জামান ৯ম সংসদ নির্বাচনেও ভোটপ্রার্থী হয়। ইতঃপূর্বে পরপর ৪ বার শেরপুরের মানুষ তাকে প্রত্যাখ্যান করলেও হাল না ছেড়ে শেরপুর-১ (সদর) আসনে ৫ম বারের মত ৯ম সংসদ নির্বাচনে এই বেহায়া ঘাতক চারদলীয় জোটের প্রার্থী হয়। আবারো জমায়েতে মওদুদী নেতা বেহায়া ঘাতক কামারুজ্জামানকে শেরপুরবাসী চরম ঘৃণাভরে ছুঁড়ে ফেলেছে।
জানা গেছে, কামারুজ্জামান মুক্তিযুদ্ধের সময় আল-বাদর বাহিনীর সংগঠক ছিল। যুদ্ধাপরাধী ও স্বাধীনতাবিরোধী হিসেবে তার বিরুদ্ধে রয়েছে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ।
শেরপুর সদর উপজেলার বাজিতখিলা ইউনিয়নের মুদিপাড়ার বাসিন্দা কৃষক পরিবারের সন্তান কামারুজ্জামান ৫ ভাই ও ৩ বোনের মধ্যে তৃতীয়। কামারুজ্জামান এবং তার আল-বাদর বাহিনী ১৯৭১ সালে শেরপুরসহ বৃহত্তর ময়মনসিংহে স্বাধীনতাকামীদের হত্যা, নির্যাতন ও সম্পদ লুণ্ঠনসহ ঘৃণ্যতম অপরাধ সংঘটিত করে বলে অভিযোগ রয়েছে। ড. মুনতাসীর মামুন সম্পাদিত ‘মুক্তিযুদ্ধ কোষ’ গ্রনে' উল্লেখ করা হয়েছে- ‘দেশে হাতেগোনা ১০ কুখ্যাত নরঘাতকের মধ্যে এই কামারুজ্জামান একজন। ’
বর্তমানে সে ‘সাপ্তাহিক সোনার বাংলা’র সম্পাদক এবং বাংলাদেশ জমায়েতে মওদুদীর কেন্দ্রীয় সিনিয়র সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল।
একাত্তরের ঘাতক-দালাল ও যুদ্ধাপরাধীদের সম্পর্কে গঠিত জাতীয় গণতদন্ত কমিশনের রিপোর্টে বলা হয়েছে, ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় কামারুজ্জামানের স্বাধীনতাবিরোধী অপতৎপরতা এবং যুদ্ধাপরাধের বিবরণ তৎকালীন সংবাদপত্র, মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিষয়ক গ্রন' ও নির্যাতিত ব্যক্তিদের কাছ থেকে জানা গেছে।
১৯৭১ সালে কামারুজ্জামান জমায়েতে মওদুদীর তৎকালীন ছাত্র সংগঠন ছাত্রসংঘের ময়মনসিংহ জেলার নেতা ছিল। মুক্তিযুদ্ধের সময় জামালপুরে প্রথম আল-বাদর বাহিনী গড়ে উঠে, যার প্রধান সংগঠক ছিল সে।
১৯৭১ সালের ১৬ আগস্ট ‘দৈনিক সংগ্রামে’ প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘পাকিস্তানের ২৩তম আজাদী দিবস উপলক্ষে গত শনিবার মোমেনশাহী আল-বাদর বাহিনীর উদ্যোগে মিছিল ও সিম্পোজিয়াম অনুষ্ঠিত হয়। স্থানীয় মুসলিম ইনস্টিটিউটে আয়োজিত ওই সিম্পোজিয়ামে সভাপত্বি করে আল-বাদর বাহিনীর প্রধান সংগঠক কামারুজ্জামান।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।