একটি বাংলাদেশ, তুমি জাগ্রত জনতা, সারা বিশ্বের বিস্ময়, তুমি আমার অহংকার
গত কয়েকদিন যাবত ব্লগে কৌশিকের ইসলামোরফোসিস সিরিয়াল পড়ে বেশ চিন্তিত ছিলাম। আমার জানামতে পুরোনো ব্লগারদের মধ্যে সে একজন। তার সাথে মোটামুটি ভালই একটা পরিচয় ছিল সেই সুত্র ধরেই কখন আড্ডা, কখনও টেলিফোন, কখনও তার অফিসে যাওয়া ইত্যাদি ইত্যাদি চলতো বেশ কিছুদিন ধরেই।
তো যাই হোক, সেদিন আমার অফিসের কাজে কৌশিকের অফিস এলাকাতে গিয়েছিলাম। কাজ তাড়াতাড়ি শেষ হওয়াতে মনে করলাম যাই একটু কৌশিকের অফিসে ঢুঁ মেরে আসি।
যে কথা সেই কাজ। রিক্সা নিলাম, ১০ মিনিট পরেই তার অফিসে আমি পৌছাঁই। তার ডেক্সে তাকে পেলাম না। আশ্চর্য। গেল কৈ? তারপাশের টেবিলে এক সুন্দরী কলিগ বসতো।
ওনাকেও দেখলাম না। সেখানে বসে আছেন অন্য এক নতুন ষ্টাফ (পরে জানতে পারলাম যে, কৌশিকের অনুরোধে ভদ্রমহিলা এখন অন্য ঘরে বসেন)। জানলাম কৌশিক গেছে মসজিদে আসরের নামাজ পড়তে। আমি বসলাম এবং চা দ্বারা আপ্যায়িত হলাম।
কিছুক্ষন পরেই কৌশিক আসলো।
আহ্ সেকি নুরানী চেহারা। মাথায় টুপি, মুখে দাড়ি। হাতে তসবি। দেখলে পা ছুয়ে সালাম করতে ইচ্ছা করে। আমাকে দেখে সালাম দিয়ে সে মুসাফা করে বুকের সাথে চেপে ধরলো।
তিনবার হালকা চাপ দিয়ে কোলাকুলি করলো আমার সাথে। আমিও কেমন যেন একটা ঘোরের মধ্যে চলে গেলাম। মনে হলো আহ্! জীবনে কত পাপ করেছি! আর না, আর না....
তার কথাবর্তায় কত পরিবর্তন। আমার মনে পড়ে গেল সেই এরামে ছোট গ্লাস হাতে তার আর আমার ভদকা গেলার কথা। আমার মনে হলো এই দুনিয়াদারী করে কি লাভ? আর কয়দিনই বা বাচঁবো? একসময়ে মরতে হবে।
কৌশিক আমাকে অনেক জ্ঞান দিলো হেদায়েতের জন্য। সময় চলে যায়। আমি শুধু শুনে যাই তার কথা। আহ্! কি মধুর সেই কথা। মাগরিবের ওয়াক্ত হয়ে গেল, আমরা মসজিদে গেলাম।
মাগরিবের নামাজ আদায় করলাম। তারপর তারকাছ থেকে বিদায় নিলাম। রওনা দিলাম বাসার পথে। আমার মাথায় শুধু এখন একটাই চিন্তা " কি করলাম জীবনে?"
এক স্বপ্নই কৌশিককে চেইঞ্জ করে দিল। কোন এক মহাপুরুষ তাকে বললো, "তুই হেদায়েত হ, তুই হেদায়েত হ।
"
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।