আমি অন্ধ্........মূর্খ....জ্ঞানহীন....
চকলেট কালার একটা সু (সম্ভবত হাওলাদ করা) কালো প্যান্ট-কোট, লাল টাই পরা একজন নব্য ভদ্রলোক মহাখালীর ব্যস্ত রাস্তায় একটা নতুন সিলভারের বদনা হাতে দাড়ায়ে আছে এবং এইদিক ওইদিক তাকাইতেছে-মনে হইতেছে কি যেন তালাশ করতেছে।
বদনার মুখ এবং নল পলিথিন দিয়া টাইট কইরা বান্ধা। ভদ্রলোককে দেইখা মনে হইতেছে উনি আইজকেই পরথম ঢাকা শহরে আইলেন।
এই সিন দুর থেইক্কে সাময়িক অবসর লওয়া (তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রভাবে) দুইজন সিনিয়ার ছিনতাইকারী ম্যালাখন ধইরা অবজারভ করতেছিল কিন্তু কোন রহস্য বাইর করতে পারতেছিল না।
-অই লমু নাকি একটা চান্স?
-আরে বোদাই- হালার কাছে কিচ্ছু নাই- দেহস না বদনা লইয়া এই রাস্তায় পায়খানা তালাশ করতাছে
-আমার মনে হয় অন্য কেস ।
মাইনসের আগা আইলে এতক্ষন খাড়াইয়া থাকপার পারে নি। হালার বদনার মইধ্যে মনে হয় অন্য কিছু আছে। তা না অইলে বদনার মুখ বান্ধা ক্যান ?
-হ । ঠিকই কইছস । কেসটা জটিল মনে অইতাছে।
চোখ কান খোলা রাহিস-চল দেহি
----ইসকুজ মি, কোথায় যাইবেন।
-জে- আমি গুলশান যামু।
হালায় কয় কি? দেখছস নি। হালায় কই পাবলিক টয়লেট তালাশ করবো-তা না উনি মনে হয় গুলশান বনানী ছাড়া হাগবার পাড়ে না। অই হালার পুতরে একটা এসি আলা টেক্সি ভাড়া কইরা দে-সোনার গা আর না অইলে শেরাটন থেইক্কা হাইগা আসুক।
-অই তুই চুপ যা-তা ভাইজান এনে খারাইয়া আছেন ক্যান?
-ভাই- গুলশান ক্যামনে যামু বুঝতে পারতেছি না।
-অ । তা ভাইসাহেব আপনের বদনার মইধ্যে কি?
বদনাওয়ালার কোন উত্তর নাই।
-অ ভাই-কইলেন না যে - আপনের বদনার মইধ্যে কি?
বদনাওয়ালা নিরুত্তর।
বদনাওয়ালার এই নিরুত্তর ভাব দেইখ্যা দুইজনের কিউরিসিটি আরও বাইরা যায়।
এই ফাকে একজন রিক্সাওয়ালা বদনাওয়ালাকে-
-কই যাবেন?
-গুলশান
-কয় নম্বর?
-গুলশান ১ নাম্বার । যাইবা?
-উডেন
-অই হালায় তো গেলো গা। ল আইজক্যা বদনার মইধ্যে কি আছে না দেইখ্যা ছাড়ুম না।
-হ । ল যাই।
যা আছে কপালে-ঐ রিকশা......
-সাব কুন অফিসে যাইবেন?
-জনাব কেরামত আলীর অফিসে
-কত নাম্বার রোড?
-ভাই- আমি রোড নাম্বার জানি না।
-ধুর মিয়া- নামেন । এইডা অইলো গুলশান বাজার-বামদিকে ডুকেন- দেখবেন অনেক অফিস আছে। ১৫ ট্যাকা দেন।
বদনাওয়লা বদনা হাতে কেরামত আলীর অফিসের সন্ধানে নাইমা পড়লেন।
বদনা রহস্য উদঘাটন করতে পেছনে আছেন-দুইজন....
-অই- হালায় তো মনে অয় কোন চিপা খুজতেছে।
-হ । মনে অয় বদনার মইধ্যে কোন অবৈদ মাল আছে। তুই দেহিস-আশে পাশে কোন পুলিশের গাড়ি আহে নি। হালায় সামনের ডাইন গলিতে ডুকলে দরুম।
-আইচ্ছা
-ঐ খাড়া। হালার পুত বদনা দে। নাইলে কিন্তু.......
- ক্যান বাই ? বদনা দিমু ক্যান- এইডা আমার বদনা।
-দে কইলাম- নাইলে কিন্তু.........
--অ বাই আমার বদনা নিয়েন না...... বাই ...আমার বদনা..........
আশপাশ থেইক্ক্যা দুই একজন আগাইয়া আইসা...
-বাই কি অইছে... কি অইছে...
-বাই আমার বদনা লইয়া গেছে....আমার বদনা......
-ধুর মিয়া-একটা বদনার লাইগা মাইনসে এমনে কান্দে নাকি?
এইবার বদনাওয়ালা মাথায় হাত দিয়া রাস্তায় বইসা বিলাপ কইরা কানতে লাগলো....
হায় হায় রে.. আমার বদনা... আমি এত কষ্ট কইরা ..গিরাম থেইক্ক্যা পাগলা বাবার পানি পড়া নিয়া আইছিলাম.....আইজক্যা আমার ইন্টারবিউ ..আছিলো..বাবায় কইছিল--এই পানি দিয়া অফিসের সামনে যাইয়া অজু করবি- তার পর অফিসে ঢুকবি-তোর বিদেশ যাত্রা অইব...
--হায় হায় রে আমি এখন কেমনে বিদেশ যামু............আমার ব্যাবাগ ট্যাহা পয়সা মাইর গেল রে.........ওরে বাবা.......ওরে আমার পাগলা বাবা...ওরে বাবা.... বাবারে.....
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।