বৃষ্টি রাতে ... ভাবনা গুলো মেঘের সাথে উড়ে ...
তোমার গমন পথের দিকে চেয়ে থেকে আমি কোন গার্হস্থ্য বিষাদকে গড়াগড়ি খেতে দেখিনা প্রিয়তমা ! আমার বুকে প্রেম বিশুদ্ধ হয়ে দেখা দিলনা, এখনও! তোমার সৌন্দর্য্য আবিস্কার করা কোন বিজ্ঞানীর কাজ বলে মনে হয় । আমি তো কবি, মাপজোক বুঝিনা । ভর বেলায় কোন নিম্ফ - মিথ ছেড়ে তরলিত কোন কল্পনায় ঠাঁই পেলনা , তবে, জোছনা রাতে গোরস্থানে এপিটাফের ছায়ায় ক্ষীণ শ্বাস নিতে থাকা অন্ধকারটি আমাকে তরল করে কোন তারা খসা প্রবাহে ।
প্রেম, অপ্রেম, সৌন্দর্য্য, অসৌন্দর্য্য, আস্ত্য, ন্যাস্ত - এইসবের বৈপরীত্ব্যময় দুষ্টুগুলোর মিথোজীবিতা আমাকে খুব ক্লান্ত করছে ইদানিং ! বরং অহৃদয়পূর্ণ কিংকর বাস্তবতা অনেক আলোড়িত করে আজ কাল ! যেন অহৃদয়পূর্ণ কিংকর বাস্তবতা ইদানিংকার ক্লান্তির এপোথিক্যারি হয়ে ক্ষুদার্থ শিশুদের শূন্য পাকস্থলীর বায়ুর আবরনে তুলে দিচ্ছে অনুভবের নগরে ক্লান্তির ক্যাপসুল ! পৃথিবীর সকল ফুলেল সৈন্দর্য্য ম্লান হয়ে যায় এক মহাবিশ্ব মূল্য মানের এক প্লেট গরম ধোঁয়া ওঠা ভাতের কাছে !
একটি পাগলীকে প্রতিদিন অফিস যাবার সময় দেখি, যার কোন জীবন বোধ নেই, আছে জৈবনিক বোধ । চৌরাস্তার এক কোনে বসে নিজের শুধুমাত্র একটি ছেড়া অর্ধ শরীর ঢাকা এক প্রস্থ শাড়ির ফসিল গায়ে দিয়ে বসে নিজের অনন্য মহাবিশ্বের সূত্র সমুহ গড়া পেটা করে আকাশে শূন্য দৃষ্টি মেলে, সেই আকাশ ই হয়তো তার অবচেতনে মাঝে মাঝে ধংসস্তুপ জীবনের প্রতি অশ্রু বর্ষণ করে । সেই আকাশ হেলান দিয়ে হয়তো আমরা নাগরিক কবিরা পূজিবাদি অনাচার করে অনেক কবিতা লিখছি ।
আমি কতগুলো চোখে পিচুটি, নাকে পিছল আঠালে তরল, ঠোটের লালা জমে শ্বেত অস্পৃশ্য লেগে থাকা নগ্ন টোকাই দেখি রাজপথের ফাইভ বা ফোর্থ বা বাফেট বা সাধারন কোন রেস্তোরার উচ্ছিষ্ট্য ফেলা দেয়া ময়লার ঝুড়িতে হামাগুড়ি দিচ্ছে, কাড়াকাড়ি মারামারি করছে এক কামড়ে ফেলা দেয়া বেচারা মুরগীর ঠ্যাং টি নিয়ে । আমি কতগুলো ইংলিশ মিডিয়ামের পড়া বড়লোকের ছেলে মেয়ে দেখি , তারা বার্গার খচ্ছে ৩০০ টাকায়, হিডেন ক্যামে গার্ল ফ্রেন্ডের সাথে অবলীল যৌনতা, মাল্টি চোরাকারবারী বাবার কোটি টাকার কালো কাচ ঘেরা দুই সিটের স্পোর্টস কারে বন্দী করছে !
আমি এসব দেখে ইদানিং তোমার পেজা ভাবনা আর ভাবতে পারছি না প্রিয়া !
এজন্য তুমি কি আমার সাথে আড়ি দেবে?
তোমার মান ভাঙ্গাতে কক্ষনো আমাড় কড়ে আঙ্গুলটি সাধবোনা, প্রিয়তমা !
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।