ঘটনা :গত পরশু
টিউশনি করাতে চেরাগীপাহাড়ে গিয়ে দেখি ৩০
থেকে ৪০ জনের এক মানববন্ধন ।
ব্যানারে লেখা "নারী নির্যাতন
বন্ধ
কর । আয়োজনে বাংলাদেশ
সমাজতান্ত্রিক দল । "বাহ ভালো ।
মাইক হাতে একজন মধ্যবয়স্ক লোক
বক্তৃতা দিচ্ছেন ।
আগ্রহ
নিয়ে শুনতে থাকলাম । তো উনার
কথার
সারমর্ম হলো সমাজে যত
নারী নির্যাতন ও ধর্ষণের
ঘটনা ঘটে সবকিছুর জন্যেই
গণতন্ত্র
দায়ী । সমাজতন্ত্রই একমাত্র
মুক্তির
পথ ।
। ।
। । । । ।
আমার কথা :গণতান্ত্রিক সভ্যতার
বিপরীত বিশ্লেষণ হিসেবেই কার্ল
মার্কস উপস্থাপন করেন সাম্যবাদ
ও
সমাজতন্ত্রের রাজনৈতিক দর্শন।
ধনতন্ত্র
থেকে সাম্যবাদে উত্তরনের
মধ্যবর্তী দশা - কে বলা হয়
সমাজতান্ত্রিক অধ্যায়।
সমাজতন্ত্রকে কার্যকরী করার জন্য
কেড়ে নেয়া হয় ব্যক্তি স্বাধীনতা।
জাতীয় পরিসরে চাপিয়ে দেয়া হয়
একটি বিশেষ শ্রেণীর একনায়কত্ব।
রাষ্ট্রীয়করণের মাধ্যমে উৎপাদন
যন্ত্রগুলোর ভাগ্য
বিধাতা হয়ে উঠেন
দলীয় নেতারা।
উৎপাদন শক্তির
স্বাভাবিক বিকাশের সব
সম্ভাবনা ও
পথ রূদ্ধ করে দেয়া হয়।
অনুপ্রেরণাহীন
উৎপাদন ব্যবস্থায় উৎপাদনের
মাত্রা কমে যায়।
অস্বাভাবিকভাবে মানুষকে রূপান্তরিত
করার চেষ্টা চালানো হয় যন্ত্রে।
সংক্ষেপে এটাই হলো সমাজতন্ত্র ।
হাসি পায় যখন এসব গংরা সাধু-
সুশীল সেজে শ্রেণী বিভাজনের
বিরুদ্ধে কথা বলে ।
বর্তমান
সমাজের সকল দুর্নীতি অনাচার
এমনকি ধর্ষণের জন্য
তারা গণতন্ত্রকে দায়ী করে ।
পত্রিকায় বড় বড় কলাম লেখে । অখচ
সেই তারাই গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায়
নির্বাচনে ভোটের রাজনীতি করে ।
ভোট ভিক্ষা করে । তাদের ভন্ডামীর
সাতকাহন নয় চৌদ্দকাহন বলেও
শেষ করা যাবেনা ।
শুধু এতটুকুন বলে শেষ
করি যে 'বেড়ার ঐ পাশের ঘাসের
জন্য গরু' হবেননা । বর্তমান
গণতন্ত্র অনেক ক্ষেত্রে আমাদের
মুক্তি দিতে ব্যর্থ হলেও
ভাববেননা যে সমাজতন্ত্রই
একমাত্র মুক্তির পথ ।
সমাজতন্ত্রের নিঃসাড়তা আজ
বিশ্ব পরিসরে প্রমাণিত
হয়েছে পরাশক্তি সোভিয়েত
ইউনিয়ন এবং অন্যান্য
সমাজতান্ত্রিক দেশগুলোর
বিপর্যয়ের ফলে। সাবেক
সমাজতান্ত্রিক রাষ্ট্রগুলোর
প্রতিষ্ঠাতা এবং নেতারা আজ
সমাজতন্ত্রের
আদর্শকে আস্তাকুড়েঁ ফেলে দিয়ে
গণতন্ত্র ও বাজার অর্থনীতির
নীতিকে গ্রহণ করে অতীত ভুলেরই
প্রায়শ্চিত্ত করছেন ।
সামগ্রিক সমাজতন্ত্রই আমার
কাছে অসাড় লাগে ।
এগুলান
ফাঁকাবুলি ছাড়া কিছুই নয় । যার
শিক্ষা আছে ,জ্ঞান আছে তার
অর্থনৈতিক উন্নতি হবেই । হওয়াই
উচিত্ । তার
টাকা হলে সে বিলাসী হবে নাকি সমাজতন্ত্রের
কথিত
মানবতাবাদী হবে সেটা তার
ব্যপার । রাষ্ট্র কেন
তাকে বেধে রাখবে বা হতে বাধ্য
করবে? ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।