অবশেষে ডিজিটাল লিভিং রুম বাস্তবে রূপ নিচ্ছে। আর এটা সম্ভব হচ্ছে মূলত টেকনলজির ব্যবহার সহজ এবং সস্তা হওয়ার কারণে। আর কনজিউমার ইলেকট্রনিক শোতে ডিজিটাল লিভিং রুমে কি কি থাকবে তা দেখানো হয়েছে। মিউজিক, টেলিভিশন ও ফিল্ম যে কোনো সময় ঘরের যে কোনো জায়গায় শুনতে, দেখতে এবং গ্রেব করতে পারবেন ডিজিটাল লিভিং রুমে। এ রকমই কিছু টেকনলজি হচ্ছে
হোম সার্ভারস : এটা এমন এক প্রযুক্তি যার মধ্যে টেরাবাইট ডেটা সংরক্ষণ করা যাবে।
বক্সগুলো সিড়ির নিচে ভাজ করে রাখা যাবে। এ ডিভাইসগুলোতে মুভি সংরক্ষণ, ফিল্ম ও মিউজিক ডাউনলোড করা যাবে। যা ঘরের নেটওয়ার্কের মধ্যে যে কোনো কমপিউটার দিয়ে এক্সেস করা যাবে। পরে তা পৃথিবীর যে কোনো কমপিউটারে পাঠানো যাবে। হোম সার্ভার সিইএসতে প্রদর্শন করে মাইক্রোসফট, বাফেলো ও প্রমিজ টেকনলজি।
টিভি টু গো : আপনি আপনার টিভি ঘরের যে কোনো জায়গায় রাখতে পারবেন। সানডিস্ক কম্পানি যে টিভিটি প্রদর্শন করে তা দেখতে অনেকটা ইউএসবি মেমোরি স্টিকের মতো। কিন্তু এর সঙ্গে একটা ইনফ্রারেড রিমোট এবং মিডিয়া প্লেয়ার যুক্ত। ডাউনলোড করা ফাইল পিসি থেকে আপনি ওই ডিভাইসে নিতে পারবেন। চার অথবা আট জিবি গেজেট তখন দোলনাকার কাঠামোতে সংযোগ দিতে হবে, যা সরাসরি টেলিভিশনের সঙ্গে সংযোগ ঘটাবে।
রিমোটের মাধ্যমে আপনি আপনার ফাইলগুলো ব্রাউজ করতে পারবেন।
সিমলেস কানেকশনস : দি ডিজিটাল লিভিং নেটওয়ার্ক অ্যালায়েন্স ২৫০টি কম্পানির সমন্বয়ে গঠিত তারা ওয়্যারলেস এবং ওয়ার্ড নেটওয়ার্কের ব্যবস্থা করছে। ডিএলএনএ যেসব পণ্যের অনুমোদন দেবে তা যে-ই তৈরি করুক, তা অন্যদের সঙ্গে শেয়ার করবে। আর এ রকমই একটি ক্যামেরার অনুমোদন দিয়েছে ডিএলএনএ। যা স্বয়ংক্রিয়ভাবে টিভি, প্রিন্টার, পিকচার ফ্রেম এবং মিডিয়া প্লেয়ারের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারে।
এ রকম আরো অনেক পণ্য তৈরি করেছে সনি, নোকিয়া এবং জেভিসি।
স্মার্ট টিভিএস
স্মার্ট টেলিভিশনে আপনি সরাসরি ইন্টারনেট সংযোগ দিতে পারবেন। এর মাধ্যমে আপনি খেলার স্কোর কিংবা আবহাওয়ার খবর স্ক্রিনের এক কোনায় ছোট বক্স আকারে আসবে।
মিউজিক স্টিমস
যারা স্টেরিওর মাধ্যমে গান শুনতে চান কিন্তু তাদের পিসিতে বিপুল সংখ্যক কালেকশন, তাদের জন্য মিউজিম স্টিমস। এটি একটি ডিভাইস যাতে স্ট্যান্ডার্ড হাই-ফাই সংযোগ রয়েছে।
দেখতে একটি ওয়্যারলেস বন্ডের মতো, যা স্বয়ংক্রিয়ভাবে নেটওয়ার্ক কমপিউটার থেকে মিউজিক খুজে বের করার এবং স্টেরিওর মধ্য দিয়ে প্লে হবে। একটি রিমোট কন্ট্রোল এলসিডি ডিসপ্লের মাধ্যমে আপনি আপনার মিউজিক কালেকশন ব্রাউজ করতে পারবেন।
ওয়্যারলেস প্রজেক্টর : তোশিবা সিইএস মেলায় এক ধরনের ওয়্যারলেস প্রজেক্টর প্রদর্শন করে, যা ৬০ ইঞ্চি ইমেজ তৈরি করতে পারে ওয়ালের এক মিটারেরও কম দূরত্ব থেকে। দুই মিটারের কম দূরত্ব থেকে এটা ১২০ ইঞ্চি ইমেজ তৈরি করতে পারে। এটা তারবিহীন হওয়ায় নেটওয়ার্ক পিসি থেকে কনটেন্ট নিতে পারবে এবং এর জন্য এক্সবক্স ৩৬০ বা ডিভিও প্লেয়ার যুক্ত করতে হবে।
ডুয়াল স্ক্রিন টিভি : টিভি দেখার সময় প্রায়ই দেখা যায় একেকজন একেক চ্যানেল দেখতে চায়। আর এতে মাঝে মধ্যে পরিবারের সদস্যদের মধ্যেই গ-গোল বেধে যায়। কিন্তু এ সমস্যার সমাধান করে দিয়েছে ডুয়াল স্ক্রিন টিভি। স্যামসাং এ ধরনেরই একটি থ্রিডি প্লাজমা টিভি প্রদর্শন করেছে। এর সুবিধা হচ্ছে, একই সময়ে এটি আলাদা মানুষের জন্য ভিন্ন ইমেজ তৈরি করতে পারে।
তবে আপনাকে এ টিভি দেখার জন্য আলাদা চশমা পরতে হবে।
ইউনিভার্সাল রিমোট
আপনি এখন আপনার টিভি পিসির সঙ্গে সংযোগ দিয়ে দেখতে পারবেন। কিন্তু উদ্ভাবনকারীরা টিভি এবং পিসি নিয়ন্ত্রক কি-বোর্ড ও মাউসকে সরিয়ে দিতে চাইছে। লজিটেক ডিনোভো মিনি এ রকমই একটি বহনযোগ্য কি-বোর্ড ও রিমোট আবিষ্কার করেছে, যা রিচার্জেবল ব্যাটারি দিয়ে চলবে এবং ১০ মিটার দূর থেকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে।
ওয়্যারলেস ফ্রেম : ডিজিটাল কাটার সমস্যা হচ্ছে প্রিন্ট আউট ছাড়া তা ঘরের যে কোনো জায়গায় নিয়ে যাওয়া যায় না।
ডিজিটাল ফ্রেমের কল্যাণে আপনি ডিজিটাল ইমেজ প্রিন্ট আউট ছাড়াই যে কোনো স্থানে নিয়ে যেতে পারবেন। এমনকি আপনার মোবাইলের ছবি এ ডিজিটাল ফ্রেমে পাঠাতে পারবেন একটা নির্দিষ্ট দূরত্বের মধ্যে রেখে।
ফেশিয়াল রিকগনিশন : প্যানাসনিক একটি টিভি প্রদর্শন করেছে যার নাম ‘স্টে-উইথ-মি-টিভি’ । এ টিভির মাধ্যমে একজন ব্যক্তি ঘরের যে কোনো স্থানে থাকুন না কেন, তার ইমেজ টিভিতে দেখা যাবে। এমনকি দূরত্ব কম-বেশির ওপর ইমেজের আকৃতিও পরিবর্তিত হবে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।