মঙ্গলবার বিকালে মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, লন্ডনে এক টক শোতে অংশ নিতে স্থানীয় সময় সোমবার রাত সাড়ে ১০টায় টেলিভিশন চ্যানেল এটিএন বাংলার স্টুডিওতে যান তথ্যমন্ত্রী।
“এ সময় অজ্ঞাতপরিচয় দুই যুবক মন্ত্রীর সঙ্গে ছবি তোলার জন্য পীড়াপীড়ি করলে মন্ত্রী তাদের অনুমতি দেন। দুই যুবক মন্ত্রীর কাছাকাছি গিয়ে তার ওপর অতর্কিত হামলা করতে উদ্যত হয়। ”
এরপর এটিএন বাংলার কর্মকর্তা-কর্মচারী, নিরাপত্তাকর্মী ও লন্ডনে বাংলাদেশ হাইকমিশনের প্রোটোকল অফিসার এগিয়ে গেলে তাদের সঙ্গে দুই যুবকের ‘ধস্তাধস্তি’ হয়। এক পর্যায়ে দুই দুর্বৃত্ত দৌড়ে পালিয়ে যায় বলে সঙবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়।
খবর পেয়ে যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশের হাইকমিশনার মিজারুল কায়েস, প্রেস মিনিস্টার রাশেদ চৌধুরী এবং লন্ডন মেট্রোপলিটান পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়। লন্ডন পুলিশ কর্তৃপক্ষ ক্লোজড সার্কিট ক্যামেরায় ধারণ করা ছবি দেখে দুর্বৃত্তদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা করছে বলেও জানিয়েছে তথ্য মন্ত্রণালয়।
এর আগে মঙ্গলবার দুপুরে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মন্ত্রী দুই যুবককে পাশে দাঁড়িয়ে ছবি তোলার অনুমতি দিলে তারা কাছে গিয়ে ‘হৈচৈ ও কটূক্তি’ করে। এ সময় এটিএন বাংলার কর্মকর্তা-কর্মচারী ও নিরাপত্তাকর্মীরা এগিয়ে গেলে তারা দৌড়ে পালিয়ে যায়।
তথ্যমন্ত্রী লন্ডনে সম্পূর্ণ নিরাপদ ও সুস্থ আছেন বলেও মন্ত্রণালয়ের ওই বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
এদিকে তথ্যমন্ত্রীর ওপর ‘হামলার’ নিন্দা জানিয়ে ১৪ দলের মুখপাত্র আওয়ামী লীগ নেতা মোহাম্মদ নাসিম অভিযোগ করেন, বিদেশে অবস্থানরত বিএনপি, জামায়াত ও হেফাজত কর্মীরা এ ঘটনা ঘটিয়েছে।
সাম্প্রতিক সময়ে জামায়াতের বিভিন্ন নাশকতার ঘটনার পর জাসদ সভাপতি ইনু তথ্যমন্ত্রী হিসাবে সাংবাদিকদের সামনে আসেন এবং সরকারের অবস্থান তুলে ধরেন।
দেশের বিভিন্ন স্থানে তাণ্ডব চালানোর মধ্য দিয়ে জামায়াত-শিবির ‘সন্ত্রাসবাদী ও জঙ্গিবাদী’ দল হিসেবে ‘আত্মপ্রকাশ করছে’ বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
গত ০৫ সেপ্টেম্বর লন্ডনে যান ইনু। সফর শেষে আগামী ১২ সেপ্টেম্বর তার দেশে ফেরার কথা রয়েছে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।