দেশ বিরোধী যে কেউ এই ব্লগে ডুকবিনা।
রহিম সাহেব দরজা বন্ধ করলেন ৬ ঘন্টা হয়ে গেলো। বড় ছেলে শাওনকে লন্ডনে ফোন করা হলো ,কোনো পরামর্শ মিললোনা বরং উল্টো ঝারি খেলেন মা রাহেলা। এখন দুই মেয়েকে নিয়ে ছোফায় বিসন্ন মুখে হেলান দিয়ে বসে রইলেন আর ভাবছেন কাকে বলা যায় এই আজব বিপদের কথা। হঠৎ ভাবলেন শওনের দাদাকেই বলা যায়,এমনিতেই বুড়োকে এখনো ছেলে ভয় পায় আর মানুষটার এখনো গলায় জোরও আছে।
ক্রিং ক্রিং টেলিফোন বেজে উঠলো,রেজা সাহেব ফোন রিসিব করলেন;
: হ্যালো?
: স্লামু্য়ালাইকুম ! আব্বা আমি রাহেলা।
: অয়ালাইকুমসালাম ,কি খবর বউমা,কেমোন আছো?
: ভালোনা না বাবা। আপনার ছেলে...
: আবার কি করলো?(উনি তার ছেলের আজব কীর্তি সম্মন্ধে কিছুটা ধারনা রাখেন তাই তেমোন বিচলিত হননি)
: সকালে নাস্তা খেয়ে রুমে ডুকেই দরজা -জানালা বন্ধ করে দিছেন। দরজার উপর একটা বড় কার্ড বোর্ডে মোটা হরফে লিখা,
"আমি কবরের নিরবতা এবং একাকীত্ব পর্যবেক্ষন করবো,৪০ দিন আমাকে কেউ খুজবেনা,শুধু রাহেলা - আমাকে খাবার দিবে তাও দরজার বাহির থেকে "
: হু !!!! চিল্লায় গেছে।
: বাবা এটা কেমন চিল্লা? আর সবাই কি চিল্লায় যায় না?
: শুনো ,সবাই যখন চিল্লায় যায় তখন বউ বাচ্চা কি খেলো খবর নেয়না।
চলে যায় চোখের আড়ালে। রহিম তবু ভাল একটা সিস্টম চালু করলো,ঘরে বসেই চিল্লা,তোমাদের সামনেই আছে... ভাবছো কেনো?
: বাবা এটাতো চিল্লানা,কবর অবজারভেশন।
: হুম !!!!! কবর অবজারভেশন করবে আজাব লাগবেনা? ছুটাচ্ছি অবজারভেশন...
: বাবা প্লিজ আপনি চলে আসুন।
: আমি আসছি অর কবর আজাব হয়ে.....
(চলবে)
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।