অরুণালোক
দাঁড়াও বন্ধু যেওনা এখনি জলদি ব্যস্ত পায়ে
আমাকে দেখ; নিজেকে মিলাও দু'দণ্ড দাঁড়ায়ে।
তারপর বলো-, কত দূরে যাবে! পাড়ি দেবে কত পথ!
সাগর-পাহাড়-বন-প্রান্তর-মরুভূমি-পর্বত?
যেথা খুশি যেথা যাও-
একটু দাঁড়ায়ে কান পেতে শুধু দু'টি কথা শুনে নাও।
তোমাদের মতো আমিও অমনি ছিলাম মাটির দেহে
অথচ এখন একাকী বসত আঁধার কবর গেহে।
আমিও দেখেছি পৃথিবীর বুকে ফুল-ফল-নদীজল
মানব জমিনের প্রতি ভাঁজে ভাঁজে জীবনের কোলাহল।
তোমাদের মতো তাজা বাতাসে আমিও নিয়েছি শ্বাস,
বহুবর্ণা বিচিত্র ধরায় করেছি গো বসবাস।
আজ সব ছেড়ে এসেছি ফিরে একাকী মাটির দেশে
মাটির দেহ হচ্ছে মাটি; মাটির সাথে মিশে।
মনে পড়ে কতো জীবনের স্মৃতি ব্যস্ততা বহুমুখী-
পৃথিবীর বুকে সুখ খুঁজে খুঁজে হয়নি তো কেউ সুখি।
আমিও অমনি কেউ-
বড়ো অবেলায় খুঁজে দেখি বুকে সাত সাগরের ঢেউ।
শুনবে কী বলো আর-
জীবনের কথা মনে হলে বাজে বেদনার হাহাকার।
ইদ্রিয় সুখে মদে-মত্ত্ব বিলাসী জীবন স্রোতে-
ভাসিয়ে শরীর অবশেষে আমি ফিরেছি শূন্য হাতে।
আমিও অমনি দাপটে ফিরেছি পৃথিবীতে একদিন,
তোমাদেরই মতো; তুমি এমনি মাটিতেই হবে লীন।
সব বৃথা যাবে সাদ্দাত সম স্বপ্ন ও স্বর্গের-
অতীত দুনিয়ার ইতিহাসে তা লিখে রাখা আছে ঢের।
সুন্দরী নারী কিবা যুব নর যৌবন আঁকড়ে-
কতো দিন থাকে বার্ধক্যরে দুইহাতে মানা করে?
তবুও বুঝ না! আসে নাকো হুঁশ! জাগে না হৃদয়ে ভীতি?
ফিরে যেতে হবে স্রষ্টার কাছে, তাঁর-ই হাতে পরিণতি!!
তৈয়ব খান
(প্রণয় নেশার টানে কাব্যগ্রন্থের অন্তর্গত) ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।