আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বাংলাদেশের নারী সমাজ ও জাল হাদীসের প্রভাব।আলেমরা করতেছে কি।

কোথায় পাব শান্তি,তাই খুজেঁ বেড়াই।

বহু উলামায়েকরামগন এ ব্যাপারে অনেককে সতর্ক করেছেন। মোকছুদুল মোমিনিন নিয়ে। যাতে কোরান ও হাদীস কে পাশ কাটিয়ে তার লেখকের মনগড়া কথা লিখে দেওয়া হয়েছে। শুধু তাই নয় বাজারে এই ধরনের আরও বই পাওয়া যায়।

তবে মুকছোদুল মোমিমিন টিই বেশী বিক্রি হয়। আরও বহু জাল হাদীসে বরা অনেক বই পাওয়া যায়। যেমন:স্বামীর পায়ের নিচে স্ত্রীর বেহেশত। যা সকল মুহাদ্দিস বলেছেন এটা একটা জাল হাদীস। অথচ রাসূল (স) বলেছেন মায়ের পায়ের নিচে সন্তানের বেহেশত।

বুখারী ও মুসলিম। আরেকটা হল এই রকম যে একবার একটা জংলী উট পাহাড় থেকে ছুটে এসে রাসূল কে সেজদা করতে থাকে। তখন রাসূল (স) বলেন যদি মানুষ মানুষকে সেজদা দেওয়ার বিধান থাকতো তাহলে আমি দুনিয়ার সমস্ত নারীকে বলতাম তারা যেন তাদের স্বামীকে সেজদা করে। যার কোন ভিত্তি নেই। সম্পু্র্ন জাল হাদীস।

এবং ছিহাহ ছিত্তাহ (মুসলিম শরীফ,তিরযিমি শরীফ,বুখারী শরীফ,ইত্যাদি) ছাড়াও নাসায়ী বা আবু দাওদে ও পাওয়া যায়না। তবে মজার ব্যাপার তা কিন্তু আমাদের সমাজে প্রচলিত। এবং আমি দেলয়ার হোসেন সাইদির মাহফিলে ও শুনেছি। এরকম আরও বহু জাল হাদিস ও জয়ীফ বা দূর্বল হাদিস আছে যা আমাদের সমাজে প্রচলিত। তবে এজন্য আমি আলেম সমাজকেই দোষারুপ করবো।

তারা এই জাল হাদীস প্রতিরোধে কিছুই করেনি। তারা শুধু এই কোরান ও হাদীস বিক্রি করে খেয়েছে,জিবীকা নির্বাহ করেছে। আর এরাই হল সমাজের নিচু শ্রনীর লোক। হযরত আবদুল্লাহ ইবনে মোবারক (রহঃ)কে জিঙ্গেস করা হল সমাজের নিচু শ্রেনীর লোকেরা কারা ?? তার জবাবে তিনি বলেছেন এই ধরনের আলেম সমাজ যারা দ্বীনকে বিক্রি করে খায়। আজ এ পর্যন্তই।

টিকা::আবদুল্লাহ ইবনে মোবারক হলেন একজন তাবেয়ী। এবং মুহাদ্দীস গনের মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ। আর মুহাদ্দিস হলো যারা হাদীস বিশারদ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.