তোমার অস্তিত্বে সন্দিহান, তবু্ও সদাই তোমায় খুঁজি
বেহেস্ত সম্পর্কে আমি যতটুকু জানি তা হলো বেহেস্ত হেরেমেরই অন্যরূপ। আমরা জানি আগের দিনের রাজা বাদশাদের হেরেম থাকতো (এখনও হয়তো অনেকের আছে)। সেখানে মদ আর নৃত্যগীতের আসর জমত। অসংখ্য রমণীদের মাঝ থেকে রাজা যখন ইচ্ছা তাকে ভোগ করতে পারতেন। বেহেস্তের স্বরূপ কী অনেকটা এই রকমের নয়? সেখানকার অধিবাসীদের জন্য হেরেমেরই মতোই মদ, নৃত্যগীত আর অসংখ্য হুরের ব্যবস্থা কী করা হয়নি? আর একটা জিনিস আমি বুঝি না দুনিয়াতে যে বিষয়গুলো ঘৃণিত অথবা ধর্মের দ্বারাই অননুমোদিত বেহেস্তে তা অনুমোদন করা হলো কী করে? তাহলে দুনিয়াতে যারা এগুলো করতেন বা এখনও করেন তারা কী অন্যায় করছেন?
তবে আমার কাছে বেহেস্তের যে বিষয়টা সবচেয়ে বেশি বেদনাদায়ক মনে হয় তা হচ্ছে বেহেস্তবাসীর স্ত্রীর বিষয়টি। যতদূর জানি একজন বেহেস্তবাসীর স্ত্রী যদি বেহেস্তে যান তবে তিনি তার অসংখ্য হুর স্ত্রীর মতোই ঐ লোকের স্ত্রীর মর্যাদা লাভ করবেন। আমরা দুনিয়াতে দেখি যে, একজন স্ত্রী তার স্বামীর দ্বিতীয় স্ত্রীকেই মেনে নিতে চান না। সেখানে তিনি তার স্বামীর এতগুলো হুর প্রাপ্তীকে কীভাবে মেনে নেবেন তা ভাবতে গেলেও কষ্ট লাগে। সবচেয়ে বড় কথা, সম অধিকারের দাবী তুলে স্ত্রীরাও যদি স্বামীর হুরেদের মতো নিজেরাও খোদার কাছে পুরুষ হুর দাবী করেন তখন খোদা কী করবেন?
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।