বিষন্ন দিনের, বিষন্ন সময়ের রূপকথা
আজকের দিনটি আলাদা, একেবারেই আলাদা । বছরের আর কোন দিন নিয়ে আমার তেমন কোন প্রত্যাশা নেই, কিছু পাওয়ার বাসনা নেই । সংসার সমুদ্রে যখন এই ক্ষুদ্র প্রাণ মাঝির জীবনের ভেলা ভাসছে, তখন সময়ের কোন এক প্রবল ঘূর্ণিতে একেবারে ডুবে যাওয়ার আগে বছরের ৩৬৫ দিন কোন না কোন ভাবে আনন্দ-নিরানন্দে কেটেই যাবে । তা নিয়ে বেশি কিছু প্রত্যাশার নেই; তবে বিশ্বাস আছে - সংসার সমরাঙ্গনে জীবনের অবিচ্ছিন্ন জোয়ার ভাটায় হাবুডুবু খাবো তবু কোন অনিয়ম-দুর্নীতির অতলে তলিয়ে যাবো না । আর তাই এই অল্প প্রাণ মাঝি ভাঙ্গা নৌকো নিয়েও মহাসমুদ্র পাড়ি দিতেও ভয় পায় না।
দিনমণির সমুখের দিন নিয়ে এত চিন্তার কি আছে, করুণাময় প্রভুর কৃপা ত সবার উপরেই বর্তায়।
কিন্তু আজকের দিনটির কথা আলাদা । এত গভীরভাবে আর কোন দিন আমাকে আলোড়িত করে না । এই একটি দিনেই আমি শুধু একটু কিছুর প্রত্যাশা করি। একটা কিছু পাওয়ার বাসনা মনের জানালায় পুরো দিনমান জুড়েই ভীড় করতে থাকে ।
মহাকালের গর্ভে একটি সম্পূর্ণ দিন পুরোপুরি বিলীন না হওয়া পর্যন্ত আমার ভীরু প্রত্যাশাগুলি অপেক্ষায় থাকে ।
আমার শ্রবণেন্দ্রিয় তখন শব্দের অতি অল্প গুঞ্জনেও সাড়া দেয় । মন ভাবে এই ত এসে গেছে । কি কেমন, বলেছিলাম না আসবে; আসতেই হবে । সারাদিনে সেলফোনটি কি বার্তা আনে, কি কথা শোনায় তা নিয়ে আমার আগ্রহের অন্ত নেই ।
যদিও বাজতে থাকা সেলফোনটি ধরা হয় না; জানি ধরলে শুধু একটি সুখ স্বপ্নের, সুখ কল্পনার সমাপ্তিই শুধু হবে ।
সময় গড়িয়ে গেলেও এই মন একইভাবে সংবেদনশীল থাকে । পূর্ণ উচ্ছাসে গেয়ে উঠা তার আর হয়ে উঠে না ।
বনের পাখিরে কেউ মনে রাখে না, গান হলে অবসান । এই ত এই বছরেও এই দিনটা এই ভাবেই কেটে গেলো ।
রাত বাড়লে চাঁদের আলোয় আমি আমার ধ্রুবতারাটিকেও আর খুঁজে পাই না ।
খুবই হাস্যকর আমাদের এই খেয়ালী মনের খেয়ালী চলন। বিধাতা যখন তাঁর অসীম ক্ষমতা দিয়ে আমার একটি সীমিত চাওয়া পূরণ করলেন না তখন আর একজন মানুষ কি করে তাঁর সীমাবদ্ধ ক্ষমতা দিয়ে আমার এই অব্যক্ত চাওয়া পূরণ করবে ।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।