তাঁর সবকিছু ক্রিকেট ঘিরে। ভাবেন ক্রিকেট নিয়ে, স্বপ্ন দেখেন ক্রিকেট নিয়ে, কাজও করেন ক্রিকেট নিয়ে। সাধারণ-সাদামাটা জীবনযাপনেই তিনি স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন। জীবনে কোনো ধরনের বাহুল্য পছন্দ করেন না। যখন যতটুকু প্রয়োজন, তখন ততটুকুই করেন।
কেনাকাটার সময়ও এই নীতি মেনে চলেন। তিনি হলেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের বর্তমান অস্থায়ী কমিটির সদস্য গাজী আশরাফ হোসেন। সবার কাছে অবশ্য তিনি লিপু নামে পরিচিত।
সাধারণ সময়ে টি-শার্ট বা খাটো হাতার শার্ট বেছে নেন। পোলো টি-শার্টও বেশি পরা হয় বলে জানান।
আর কেতাদুরস্ত পোশাক পরা হয় বিশেষ কোনো অনুষ্ঠানে। তিনি বলেন, ‘টাই কেনার শখ আছে আমার। কিন্তু খুব একটা পরা হয় না। দেশের বাইরে গেলে নানা ধরনের স্মারক ও কাফলিং কিনতে ভালো লাগে। ব্র্যান্ডের প্রতি কোনো দুর্বলতা নেই।
যা আমার ব্যক্তিত্বের ও পরিবেশের সঙ্গে মানানসই, তা-ই পরি। আজকাল ওজন একটু বেড়ে যাওয়ায় কোন পোশাকে একটু হালকা দেখাবে, সেটি বিবেচনায় রাখি। ’
সব রঙের পোশাক পরলেও সাদা তাঁর প্রিয় রং। শার্ট বা টি-শার্টের সঙ্গে সাধারণ ট্রাউজার, প্যান্ট যেমন পরেন, আবার লিভাইস ব্র্যান্ডের জিনসও বেছে নেন। শার্টের মধ্যে চেক শার্ট তাঁর পরা হয় বেশি।
পাঞ্জাবিও পরেন মাঝেমধ্যে। দেখা যায়, পারিবারিক কোনো অনুষ্ঠান বা ঈদের দিন পাঞ্জাবি পরেন। ঐতিহ্যবাহী পাঞ্জাবির পাশাপাশি আঁটসাঁট পাঞ্জাবিও পরা হয় তাঁর। আড়ং, অঞ্জনস বা ট্রেন্ডজের পাঞ্জাবিই কেনেন তিনি। শীতকালে জ্যাকেট পরতে ভালোবাসেন।
এক্সিকিউটিভ কালো জুতাই সাধারণত পরেন গাজী আশরাফ হোসেন। পাঞ্জাবি বা সাধারণ সময়ে পরার জন্য স্যান্ডেল শু পরেন।
মুঠোফোন ব্যবহার শুরু করার পর থেকে ঘড়ি পরা ছেড়ে দিয়েছেন। খুব একটা গ্যাজেট-বান্ধব না হলেও আইপ্যাড ছাড়া তাঁর চলে না বলে জানান। গান শুনতে খুব ভালোবাসেন।
আরেকটি জিনিস ছাড়া তাঁর দিন শুরু ও রাত শেষ হয় না। সেটি হলো দুধ-চিনি দিয়ে তৈরি চা। খেতে সবচেয়ে ভালোবাসেন মায়ের হাতের ভুনা খিচুড়ি, মোরগ পোলাও, চিংড়ি ও বিরিয়ানি। এ ছাড়া মিষ্টিজাতীয় খাবারও পছন্দ করেন। শুধু যে খান তা নয়, নিজের প্রতি তিনি যত্নবানও।
নিয়মিত ব্যায়াম করেন। অবসর মানেই পরিবারসহ সমুদ্রের কাছে ছুটে যাওয়া। তাই তো কক্সবাজার, শ্রীলঙ্কা ও মালদ্বীপ তাঁর খুব পছন্দের জায়গা। ইদানীং দুই ছেলেমেয়ে, স্ত্রীসহ সিনেমা দেখেন। এ সময় খুব উপভোগ করেন তিনি।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।