ইমরোজ
সারোয়ার ভাইয়ের একটা পোস্ট নজর কেড়েছিল। "হাঙ্গরি ফোর ডমিন্যান্স"। সেটা থেকেই এইটা লেখা।
আমার খুব কছের একটা বন্ধুর বাবার কথা বলছি। যার নামে দুই-তিন বার গ্রেফতারী পরোয়ানা জারি করা হয়েছিল।
তিনি আদম ব্যবসা করেন। তিনি ধরা পড়ার ভয়ে আমাদের বাসায় এসে থেকেছেন, রাতের পর রাত। তার সেই আদম ব্যবসার জোড়ে এখন তিনি বাড়ি-ধারার কয়েক বিঘা জমি, আর কয়েকটা ফ্ল্যাটের মালিক। তার নাম দুদকের লিস্টে নাই। কারণ প্রশাসনে তার বহু পয়সা খাওয়া লোক আছে।
আর্মিতে লোক আছে।
আমার দুলা ভাইয়ের কথা বলছি। যার এখন দুইটা লেক্সাস, আর একটা পাজেরো। যার কয়েকটা ফ্ল্যাট আছে, আছে কয়েক কোটি টাকার ইন্ডেন্টিং বিজনেস, ডেনমার্ক, ইংল্যান্ড, প্রভৃতি দেশে তার দোকান পাট আছে। ইন্ডেন্টিঙ্গ এর নামে ফেনসিডিল, আর সোনা পাচার করেছেন বহু বিগত সরকারের আমলে।
তার নাম দুদকের লিস্টে নাই। তার বহু জানাশোনা বিশেষ করে আর্মিতে।
এইসব লোকেরা ডমিনেট করছে। ভাল আছে। ডমিনেট যারাই করেন, আমার চোখে আজ-পর্যন্ত যা দেখলাম, সবাই ভালই আছেন, ফালু বলেন, আর আধুনিক সর্বেসর্বা জেলে থাকা দুই নেত্রীর কথাই বলেন।
আর জামাতের কথা তো বাদই দিলাম। তারা তো সব থেকে ভাল আছেন। যাই হোক,
পৃথিবীতে নাহক, পরকালে তারা শাস্তি পাবেন বলেই আমাদের অন্তিম ধারণা। কিন্তু যদি ঢেকী স্বর্গে গিয়েও ধান ভাঙ্গে? যদি, কিছুই নাহয় তাদের? যদি তারা স্বর্গেও ডমিনেট করে বিধাতার কাছ থেকে ক্ষমা পেয়ে যায়? তাহলে? কথাটা বললাম, এইজন্য
ডমিনেটিং টেন্ডেন্সি যাদেরই আছে, তারা কোন না কোন ভাবে নিজের স্বার্থ হাসিল করছেন। যেমন যুদ্ধাপরাধীরা বাংলাদেশে সুন্দর খুটি গেড়েছেন, যেমন আমার বন্ধুটির বাবা, আর আমার দুলা ভাই কেউই ধরা পড়ছেন না।
কে জানে পরকালের কথা।
এইজন্যে বলিঃ
ইয়েস আই এম হাংরি ফোর ডমিন্যান্স।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।