আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বিষবৃক্ষের বেড়ে ওঠা

সযতনে খেয়ালী!

কথা হচ্ছিলো ওয়ামির সঙ্গে। ভদ্রলোক তার পোস্টে কমেন্ট ফিল্টার অন করে রেখেছে। এই জিনিষটা পছন্দ হয়নি আমার। তবে ওয়ামি আমার কমেন্ট দু'টো ছাপিয়েছেন এবং উত্তর দিয়েছেন। তার দেয়া শেষ উত্তরটি আমার মনঃপুত হয় নি।

আমার কথার প্রেক্ষাপট ছিলো এক, জবাব দিয়েছেন আরেক। তার ওখানে একটা কমেন্ট করে ওয়েইট করতে হয়। সেই ওয়েট টুকু করতে চাইনি বলে পোস্টের অবতাড়না। আশা করি ওয়ামি মাইন্ড করবেন না। আর আমি (সবার কাছে) আশা করবো বদর বাহিনীর প্রধান সংগঠক কামারুজ্জামানের মুক্তিযুদ্ধকালীন কর্মকান্ড প্রকাশ করুন এখানে।

ওয়ামি কামারুজ্জামানের ব্যাপারে সন্দিহান, ''... দোষি হতেই পারেন" এখান থেকে বুঝা যায় ওয়ামির চোখে আসলে বাঙালীর গলাফাটানো অভিযোগ ছাড়া আর কিছুই পড়েনি। এখানে তার জন্য থাকবে প্রমাণ। ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০০৭ ভোর ৬:০৮ ধুসর গোধূলি বলেছেন: জবাবের জন্য ধন্যবাদ। (তবে কমেন্ট মডারেশন জাতীয় জিনিষটা ঝুলিয়ে রেখে পোস্টখানা প্রথম পাতায় দেয়াকে সমর্থন করলাম না। ) ইটিভিকে বিশ্বাস করার দরকার নেই ওয়ামি।

ইটিভি সারা বাংলাদেশের সাড়ে সাত কোটি বাঙালীর (অর্ধেকই হিসাবের বাইরে রাখলাম) মুখমাধ্যম না। এই সাড়ে সাত কোটির মধ্যে খুব বড় একটা অংশ ইটিভি কেনো কোন টিভিরই ধার ধারে না। অথচ এদেরই কারো ভাই, কারো বাপ, কারো চাচা শহীদ হয়েছেন মুক্তিযুদ্ধের সময়। এদেরই কারো বোন, কারো মা, কারো চাচী তাদের জীবনের সর্বশ্রেষ্ঠ সম্পদ হারিয়েছেন। এদের প্রাণের দাবীর প্রতি শ্রদ্ধাতো আছে আপনার নাকি? এরাই বলে কামারুজ্জামান একাত্তর সালে কেবল বদর বাহিনীর প্রধান সংগঠকই ছিলেন না বরং উপরিউক্ত ঘটনাগুলোর ঘটনের সাথে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত ছিলেন, পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীকে সহযোগিতা করেছেন।

আপনি যে 'বুদ্ধিবৃত্তিক ভাবে দেউলিয়া একটি সমাজে'র কথা বলছেন না, আমি সেটিকে বলি 'বুদ্ধিবৃত্তিকভাবে দেউলিয়া করে ফেলা একটি জাতি'। এর পেছনে কারা আছেন জানেন? আছেন আপনি যাকে আপনার জন্মদাতা বলে জানেন সেই বদর বাহিনীর প্রধান সংগঠক কামারুজ্জামান। 'ঢাকার চাপে' আপনাদের পারিবারিকভাবে পরিচিত কোন সাংবাদিক রিপোর্ট করার পর কাচুমাচু করে বলতেই পারে 'নিজের ইচ্ছেতে করে নি', কিন্তু মুক্তিযুদ্ধের সময়গুলোতে বদর বাহিনীর নৃসংশ কর্মযজ্ঞে ভুক্তভোগীরা ভোলেনি সেই চেহারা গুলো, ভোলেনি নামগুলো। ভাবছেন, ইটিভির মতোই আপনার পিতাকে নিঃগৃহীত করার অপপ্রয়াস চালাচ্ছি? নাহ্, ওয়ামি- আপনি একটু কষ্ট স্বীকার করুন, সংযোজিত লিংকটিতে ( Click This Link ) একটু সময় কাটান, দেখুন এখানে বদর বাহিনীর প্রধান সংগঠক হিসেবে যার নাম লেখা আছে (স্ক্রল করে পেইজের মাঝামাঝি জায়গায়, বর্তমান অবস্থান সহ উল্লেখিত) সেই কামারুজ্জামান আপনার 'পিতা পরিচয়দানকারী কামারুজ্জামান' কিনা। যদি নিজের পিতাকে চিনতে পারেন তাহলে একটিবারের জন্য হলেও দাঁড়ান তার মুখের সামনে।

নিজেই জিজ্ঞেস করুন, মুক্তিযুদ্ধের সময় কি ছিলো তার ভূমিকা, কি ছিলো বদর বাহিনীর ভূমিকা'। আর যদি নিজের পিতাকে খুঁজে না পান। তাহলে আর কী বলবো! আল্লাহ্ আপনার মনকে শান্ত করুন! (ওয়ামি আমি আগেই বলেছি: আপনার কমেন্টিং সিসটেমটা আমার পছন্দ হয়নি। আমার এই কমেন্টটি যদি আপনার স্ট্যান্ডার্ড টেস্টিং মানদন্ড অতিক্রম নাও করে, লেখাটি আমার ব্লগে পাবেন আপনি। এবং সেখানে আপনাকে আমন্ত্রন জানিয়ে রাখলাম খোলা মন্তব্য প্রদানে।

) ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০০৭ বিকাল ৩:০১ লেখক (ওয়ামি) বলেছেন: ধুসর গোধূলি, আমার কথা ভালো না লাগলে আপনি আমার পোস্ট পড়বেন না। আমার কথা বিশ্বাস করার দরকার নেই আপনার। নিজেই যেখানে সাড়ে ৭ কোটি বাঙালীর মুখপাত্র হয়ে বসে আছেন সেখানে অন্যের মতামতকে গুরুত্ব দেবার কোনো দরকারতো দেখিনা। আমার (ধুসর গোধূলির) উত্তর: ঠিকাছে পড়বো না। কিন্তু কথা হলো ভালো লাগা বা না লাগার বিষয়েতো আমি এখনো কিছুই বলিনি।

সাড়ে সাত কোটির মুখপাত্রও হইনি, যাদের কথা বলেছি আমি তাদের একজন, তাদেরকে বুঝি। আর বুঝি বলেই সংখ্যাটা অর্ধেকে নামিয়ে এনেছি। ইটিভি, বিটিভি কি বললো তা নিয়ে মাথা এরা ঘামায় না। পারলে এদের অভিযোগের জবাব দিন, (মামলা, রায়, আদালত সেগুলো নাহয় পরে হবে)। শুধু শুধু রেগে যান কেনো! ওয়ামি : আপনি পলিটিশিয়ানদের মতো কথা বলছেন, জনগণকে নিজের দিকে টানছেন, নিজের মতামত তাদের উপর চাপিয়ে দিচ্ছেন, গণদাবীর কথা বলছেন -- যার কোনোটাই কোনো ব্যক্তিকে যুদ্ধাপরাধী প্রমাণের জন জন্য যথেষ্ট না।

ইমোশনাল ব্ল্যাকমেইলিং, বাবা-মা-ভাই-বোন হারানোর গীতিকাব্য অনেক হয়েছে। বাঙালীকে এভাবে মনস্তাত্বিকভাবে ধর্ষিত হতে দেখতে আর ভালো লাগে না। তাই সবাইকে অনুরোধ, নিজের প্রতি দয়া করুন। এধরনের ব্ল্যাকমেইলের শিকার হওয়া থেকে বিরত থাকুন। আমার (ধুসর গোধূলির) উত্তর: ও.কে ইমোশনাল ব্ল্যাকমেইলিং এবং পলিটিশিয়ানবাজি (আমি এই জিনিষটাকে আলবদর দের চাইতেও বেশি ঘৃণা করি) বন্ধ! আসুন তাহলে টু-দ্য-পয়েন্ট কথা বলি।

Click This Link এখানে স্ক্রল করে মাঝামাঝি জায়গায় বদরবাহিনীর হাই-কমান্ডের কথা বলা আছে। এখানে আপনার পিতাকে সনাক্ত করতে পারেন? পারলে জানান, পরবর্তী টু-দ্য-পয়েন্ট রেডি আছে। আর না চিনলে যে কামারুজ্জামান আপনার পিতা না তাকে নিয়ে আপনাকে টানবো না! ওয়ামি : আমি আগেও বলেছি, আবারও বলছি আমার বাবা দোষী হতেই পারেন। কিন্তু সেটা ঠিক করবে আদালত, জনগণ না। এমনকি ১৫ কোটি স্ট্রং পাবলিক ওপিনিয়নের জোরেও কখনো কোনো ব্যক্তিকে অপরাধী বানানো যায়না।

সত্য সত্যই। ১০০ জনের মধ্যে ৯৯ জন অস্বীকার করলেও সেটা সত্য। সুতরাং সাড়ে ৭ কোটির ভয় দেখাবেন না। আমার (ধুসর গোধূলির) উত্তর: আদালতে যাবার আগে আসুন দেখি আপনার পিতার (বদর বাহিনীর সেই কামারুজ্জামান আপনার পিতা হলে) নামে সত্যিই কোন অভিযোগ (পনেরো কোটি দরকার নেই, ন্যূনতম একটা) আছে কিনা নাকি সবই পলিটিশিয়ানবাজি! 'দোষী হতেই পারেন' - এটাকে চলেন দেখি 'দোষী' কথাটা দিয়ে প্রতিস্থাপিত করা যায় কিনা, তাহলে হয়তো আদালতে যাবার আগে দেশপ্রেমিক হিসেবে আপনাকে পাশে পাওয়া যাবে। ক্লিক করেছেন লিংকটায়? ওয়ামি : মিথ্যাচারের প্রতিবাদ করতেই হবে।

আপনি না করলেও আমাকে, আমি না করলে অন্য কাউকে করতেই হবে। প্রতিবাদ না হলে আমরা একটা ক্লীব সমাজে পরিণত হবো। সমাজের এক্সিসটেন্স প্রশ্নবিদ্ধ হবে। প্রতিবাদটা আরো বেশি করতে হবে মিডিয়ার মিথ্যাচারের বিরুদ্ধে। কারন সেটার প্রভাব আরো ব্যাপক।

তারচেয়ে বড় কথা হচ্ছে এই মিথ্যাচারটি হচ্ছে একটি মহৎ উদ্দেশ্যকে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য, যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবীকে পোক্ত করার জন্য। এটা কি আপনার কাছে মোটেই দুঃখজনক মনে হয়না যে একটা মহৎ দাবীকে প্রতিষ্ঠা করার জন্য একটা নিম্নমানের মিথ্যার আশ্রয় নেয়া হচ্ছে? এটা কি যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের বিষয়টিকেই প্রশ্নবিদ্ধ করে তুলবে না? আপনারও উচিৎ প্রতিবাদ করা, নিন্দা জানানো উচিৎ এধরনের নির্লজ্জ মিথ্যাচারের। তা না করে আপনারা আপনাদের পুরনো কৌশল প্রয়োগ করছেন। স্বজনহারাদের ক্ষতে হাত বুলাচ্ছেন। নিজেরা কতটা মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে আছেন সেটা প্রমাণের আপ্রান চেষ্টা করে যাচ্ছেন।

আর জাতি থেকে যাচ্ছে অন্ধকারে। পারেনও আপনারা। আমার (ধুসর গোধূলির) উত্তর: অবশ্যই ওয়ামি। প্রতিবাদ তো অবশ্যই হতে হবে। আপনি যদি সেই প্রতিবাদ করেন সেটা আমার চাইতে সর্বাংশে ধাঁরালো হবার কথা।

ক্লীব হয়ে যাবার আগেই চলুন প্রতিবাদ করি। বদর বাহিনীর মুক্তিযুদ্ধকালীন হত্যাযজ্ঞকে যারা অস্বীকার করে সেই মিথ্যাবাদিদের বিরুদ্ধে চলুন প্রতিবাদ করি। আসুন একজোট হই যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের কাঠগড়ায় আনার মহৎ প্রচেষ্টায়। আপনি তো জানেনই সাংবাদিক, সরকার সব লেভেলেই ঘাতকদের আত্মীয়স্বজন, শুভাকাংখী বসে আছে। যে কারনে কোন রিপোর্টের পর খুব সহজেই টেলিফোনে 'রিচ' করে জিজ্ঞাসা করা যায়, বাংলাদেশের বিজয় দিবসেও দাওয়াতনামা আসে।

আসুন ওয়ামি, জাতি অন্ধকারে ডুবে যাবার আগেই আপনার মতো সচেতনরা এগিয়ে আসুন। আদালতে যাবার আগে 'সত্যিটা' সর্বাগ্রে প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করি। আদালত যাতে কোন ফোনকল পেয়ে বিগড়ে না বসে! ওয়ামি : বি:দ্র: আমার কমেন্টিং সিস্টেম নিয়ে বিব্রত হবেন না। ইতর এবং বাদরদের হাত থেকে সুস্থ বুদ্ধিকে বাচিয়ে রাখতেই এই ব্যবস্থা। আমার (ধুসর গোধূলির) উত্তর: আল্লাহ আপনার মঙ্গল করুন।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।