যুদ্ধাপরাধীর বিচার ও জামায়াতের রাজনীতি নিষিদ্ধ করার দাবী করছি
গতকালের পত্রিকায় দেখলাম জামাতের নেতারা বলছে - স্বাধীনতা রক্ষা করা উনাদের দায়িত্ব। শিবির মিছিল করে বিজয় দিবসের আনন্দে..কোন বিজয়, কার বিজয়? ওরা তো ১৬ই ডিসেম্বর পর্যণ্ত পাকিস্থানের জন্যে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছে। ইতিহাস তাই বলে। তাহলে কি জামাতের কর্মীরা টাইম মেশিনে অতীতে চলে গিয়েছিল। ওরা হয়তো ১৯৪৮ সালের ১৪ ই আগস্টের কথা ভেবেই মিছিল করেছে।
সেই দিন জামাতের নেতারা কি বলতো...
১৯৭১ সালের ২৫ শে সেপ্টেম্বর মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে পাকিস্থান সেনাবাহিনীর সমর্থনে গঠিত সরকারকে দেওয়া এক সম্বর্ধনা সমভায় জামাতে ইসলামীর ততকালীন আমির গোলাম আযম বলেছে -
'দুষ্কৃতকারীদের (মুক্তিযোদ্ধা) ধ্বংসাত্বক কার্যকলা যেসম পাকিস্থানী প্রান হারিয়েছে, তাদের মদ্যে বেশী লোকই জামাতের সাথে জড়িত। ....পাকিস্থান যদি না থাকে তাহলে জামাতকর্মীরা দুনিয়াতে বেঁচে থাকার কোনো সার্থকতা মনে করে না। '
এই নিরর্থক জীবন বহন করে কেন ওরা জামাতের রাজনীতি করে?
নাকি বাংলাদেশকে পাকিস্থান বানিয়ে ওরা ওদের জীবনে স্বার্থক করার স্বপ্নে বিভোর?
জামাতের কোন কর্মি কি এই বিষয়ে কোন কথা বলবেন?
এদিকে দৈনিক আমাদের সময়ের সম্পাদক নাইমুল ইসলাম খান একটা কল্পনা করেছেন - উনি জামাতের আমির হলে ঘটা করে ক্ষমা চাইতেন। জনাব, ক্ষমা চাইতে গেলে আগে অপরাধ স্বীকার করতে হয়। বিগত ৩৭ বছর ধর্মের সুগার কোটিং দিয়ে ওরা একদল তরুনকে বিভ্রান্ত করে শিবিরে নাম লিখিয়ে মুক্তিযুদ্ধে বিপক্ষে দাড় করিয়েছে।
এখন যদি ক্ষমা চায় - তাহলে সেই তরুনদের কি হবে? ওরা কি ওদের জিজ্ঞাসা করবে না, কেন ৩৭ বছর মিথ্যাচার করেছো। আমার বিশ্বাস - জামাতের নেতারা কোন বৈধ আয় না করেই শুধু রাজনীতি করে বিলাসবহুল জীবন যাপনের লোভ ত্যাগ করে এই বোকামী করবে না। যতদিন পারা যায় - ধর্মকে ব্যবহার করে ওদের ভোগ বিলাস চালিয়ে যাবে।
আর, নাইমুল ইসলাম একটা হিসাবে ভুল করেছেন। যে দলের শীর্ষ নেতাদের ১৫ জনের মধ্যে ১১ জন যুদ্ধাপরাধী - সেই দলের কাছে ক্ষমা চাওয়ার চিন্তা করার কি কোন অবকাশ আছে?
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।