পারাপার ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে ওঠায় রাজধানীর সঙ্গে দক্ষিণ জনপদের যোগাযোগ রক্ষাকারী মাওয়া-কাওড়াকান্দি নৌপথের ১৪টি ফেরির মধ্যে চালু আছে মাত্র একটি। ফলে দুই ঘাটে সৃষ্টি হয়েছে দীর্ঘ জট।
স্রোতের কারণে লঞ্চেও সীমিত আকারে যাত্রী পারাপার করতে হচ্ছে বলে জানিয়েছেন অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন কর্পোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) কর্মকর্তারা।
মাওয়ায় বিআইডব্লিউটিসির ব্যবস্থাপক সিরাজুল হক বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, মঙ্গলবার রাতে কাওড়াকান্দি থেকে মাওয়া আসার পথে তীব্র স্রোতের মধ্যে পড়ে লৌহজং খালে ঢুকে পড়ে ফেরি টাপলু।
মাওয়া ঘাট থেকে প্রায় এক কিলোমিটার দূরে লৌহজং খাল থেকে ফেরিটি উদ্ধার করার জন্য দুটি টাগবোট পাঠানো হলেও বুধবার সকাল ১০টা পর্যন্ত সেটিকে ফিরিয়ে আনা যায়নি।
সিরাজুল হক জানান, তীব্র স্রোতের কারণে মাওয়া-কাওড়াকান্দি পথে কেবল রো রো ফেরি বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমিন দিয়ে পারাপার চলছে। মাওয়ায় আরেকটি রো রো ফেরি থাকলেও ইঞ্জিনের ক্ষমতা কম হওয়ায় চালানোর ঝুঁকি নিচ্ছে না কর্তৃপক্ষ।
এই পরিস্থিতিতে গুরুত্বপূর্ণ এই নৌপথে পারাপার প্রায় বন্ধ হতে বসেছে। দুই ঘাটে অর্ধসহস্রাধিক গাড়ি পারাপারের অপেক্ষায় রয়েছে। সময় বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে দীর্ঘ হচ্ছে গাড়ির লাইন।
পদ্মার ভাঙনে বিলীন হচ্ছে মুন্সিগঞ্জের মাওয়া ঘাট এলাকার বসতবাড়ি। ছবিটি মঙ্গলবার তোলা। ছবি: বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম এদিকে মঙ্গলবার রাতে পদ্মার আকস্মিক ভাঙনে মাওয়া লঞ্চঘাট এলাকার প্রায় ৪০ ফুট পাড় নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। ঝুঁকির মধ্যেও বিকল্প একটি সিঁড়ি দিয়ে লঞ্চে যাত্রী ওঠানামা চালিয়ে যাচ্ছে কর্তৃপক্ষ।
পদ্মার ভাঙনে বিলীন হচ্ছে মুন্সিগঞ্জের মাওয়া ঘাট এলাকার বসতবাড়ি।
ছবিটি মঙ্গলবার তোলা। ছবি: বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
তবে তীব্র স্রোতের মধ্যে কেবল শক্তিশালী ইঞ্জিনের কয়েকটি লঞ্চই চলাচল করতে পারছে। ট্রলার চলাচল এখন বন্ধপ্রায়। তবে স্পিডবোট চলছে বলে সিরাজুল হক জানান।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।