তবে নদীর দুই তীরে এখনো অপেক্ষমাণ যানবাহনের দীর্ঘ লাইন রয়েছে বলে মাওয়া ঘাটের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
বিআইডব্লিউটিসির মাওয়া ঘাটের সহকারী মহাব্যবস্থাপক আশিকুজ্জামান বলেন, “সংকট অনেকটা কমে এসেছে। গত কয়েক দিনের তুলনায় সোমবার সকাল থেকে বেশি সংখ্যক ফেরি দিয়ে পারাপার চলছে। ”
মুন্সীগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ড জানিয়েছে, সোমবার সকাল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় নদীর পানি ২২ সেন্টিমিটার হ্রাস পেয়ে ভাগ্যকূল পয়েন্টে বিপদ সীমার ৪৫ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে পদ্মা।
তবে তীব্র স্রোতের কারণে ফেরি ঘাটে ভেড়ানো এবং ছেড়ে যাবার সময় টাগ বোট ‘দুর্বার’কে ব্যাবহার করছে বিআইডব্লিউটিসি।
ঘাটের কর্মকর্তা আশিকুজ্জামান জানান, পারাপারে দ্বিগুণ সময় লাগায় এখনও ঘাটে অপেক্ষমাণ গাড়ীর দীর্ঘ লাইন রয়েছে। সোমবার সকালে দুই তীরে প্রায় চারশ গাড়ি পারাপারের অপেক্ষায় ছিল।
বন্ধ থাকা পাঁচটি ফেরির মধ্যে রো রো ফেরি খান জাহান আলীর মেরামত চলছে। সেটি চালু হলে পরিস্থিতি আরো খানিকটা স্বাভাবিক হবে বলে আশা করছেন কর্মকর্তারা।
পদ্মার পানি বেড়ে যাওয়ার পাশাপাশি তীব্র স্রোতের কারণে গত সপ্তাহ থেকে ফেরি চলাচল ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে ওঠে।
এক পর্যায়ে এই নৌপথের ১৬টি ফেরির মধ্যে মাত্র তিনটি ফেরি চালু রাখা সম্ভব হয়। ফলে ঢাকার সঙ্গে দেশের দক্ষিণাঞ্চলের মধ্যে যোগাযোগ রক্ষাকারী এই নৌপথে পারাপার দারুণভাবে ব্যহত হয়।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।