বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট গভীর নিম্নচাপের কারণে গত কয়েকদিন ধরে ঝড়ো হাওয়ার সঙ্গে বৃষ্টি হচ্ছে দেশের দক্ষিণাঞ্চলজুড়ে।
এর প্রভাবে নদীগুলো উত্তাল থাকায় নৌচলাচল ব্যাহত হচ্ছে।
মাওয়া-কাওড়াকান্দি
বৃহস্পতিবার রাত ৯টার মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ এই নৌপথে সবগুলো ফেরি চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয় বলে জানান বিআইডব্লিউটিসির মাওয়া কার্যালয়ের ব্যবস্থাপক সিরাজুল হক।
শুক্রবার সকাল ১০টা পর্যন্ত এই রুটে ফেরি চলাচল শুরু না হওয়ায় পদ্মার দুই পাড়ে পাঁচ শতাধিক যানবাহন আটকা পড়ে আছে।
সিরাজুল হক বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, পদ্মা নদীতে প্রচণ্ড ঢেউয়ের কারণে সকালে ১৪টি ফেরির মধ্যে ১০টি বন্ধ হয়ে যায়।
চলছিলো রো রো ফেরি বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমিন, বীরশ্রেষ্ঠ জাহাঙ্গীর এবং ফ্ল্যাট ফেরি কেতকি ও কাকলী।
বাতাসের গতি বাড়ার কারণে রাত সোয়া ৮টা থেকে ফ্ল্যাট ফেরি দুটিও বন্ধ হয়ে যায়। পরিস্থিতির আরো অবনতি হলে রাত ৯টা থেকে রো রো ফেরিগুলোও বন্ধ করে দেয় কর্তৃপক্ষ।
এছাড়া পদ্মা প্রচণ্ড উত্তাল হয়ে ওঠায় রাতে কোনো নৌযানই চলাচল করতে পারেনি বলে জানান সিরাজুল।
পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া
ঝড়ো হাওয়া ও প্রকাণ্ড ঢেউয়ের কারণে প্রায় সাড়ে ৯ ঘণ্টা বন্ধ থাকার পর পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌপথে ফেরি চলাচল শুক্রবার সকালে আবার শুরু হয়েছে।
বিআইডব্লিউটিএ’র আরিচা কার্যালয়ের ব্যবস্থাপক(বাণিজ্য) বিদ্যুৎ কুমার সাহা জানান, বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮টা থেকে ফেরি চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। শুক্রবার ভোর ৬টা থেকে তা আবার শুরু হয়েছে।
দীর্ঘ সময় বন্ধ থাকার ফলে দুই পাড়ে প্রায় পাঁচ শতাধিক যানবাহন আটকা পড়ে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে।
চাঁদপুর-শরীয়তপুর
চাঁদপুর-শরীয়তপুর নৌপথে ফেরি চলাচল বৃহস্পতিবার রাত থেকে নয় ঘণ্টা বন্ধ ছিলো।
বিআইডব্লিউটিএ চাঁদপুর হরিণা ফেরিঘাটের ব্যবস্থাপক মো. ইমরান খান জানান, রাত সাড়ে ১১টা থেকে এই রুটে ফেরি চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
শুক্রবার সকাল সাড়ে ৮টা থেকে আবার ফেরি চলাচল শুরু হয়।
বর্তমানে এই রুটে প্রতিদিন তিনটি ফেরি চলাচল করে। শরীয়তপুর, খুলনা, মাদারীপুর, বাগেরহাটসহ দেশের দক্ষিণাঞ্চলের কয়েকটি জেলায় কম সময়ে যাতায়াতের জন্য হরিণা ফেরিঘাট ব্যবহার করা হয়। এই ঘাট দিয়ে চট্টগ্রাম থেকে খুলনার উদ্দেশ্যে চলাচল করে শত শত মালবাহি ট্রাক ও যাত্রীবাহি বাস।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।