যুদ্ধাপরাধীর বিচার ও জামায়াতের রাজনীতি নিষিদ্ধ করার দাবী করছি
সকালে টিভিতে দেখলাম - বাংলাদেশের সামরিক সমর্থিত কেয়ার টেকার সরকারের উপদেষ্টা ( কে কাকে উপদেশ দেয় বিষয়টা পরিষ্কার না) মাঈনুল হোসনে বেশ বিরক্ত হয়ে একটা কমেন্ট করলেন।
উনা ভাষ্য অনুসারে যুদ্ধাপরাধীর বিচারের জন্যে দায়ের করা মামলাটি অযথা করা হয়েছে।
সমস্যা হলো - উনি আবার ৩৬ বছরে বিচার না করার জন্যে রাজনৈতিক দলগুলোকে দায়ী করলেন - আবারো। কিন্তু বিগত দিনে নিজে একজন বুদ্ধিজীবি হিসাবে প্রচুর সভা/সেমিনার গরম করেছে - কোথাও যুদ্ধাপরাধীর বিচারে দাবী করেছেন বলে শুনা যায় নি।
এখানে আমাদের একটু হিসাবে করতে হবে।
১) ১৯৭১ এর ১৬ ডিসেম্বর থেকে ১৯৭৫ এর ২ নভেম্বর পর্যন্ত যে সরকার অধিষ্ঠিত ছিল সেটা ছিল রাজনৈতিক সরকার। জনাব মাঈনুল হোসেন সেই সরকারের অংশ ছিলেন।
২) ৩রা নভেম্বর ১৯৭৫ থেকে শুরু সামরিক শাসন।
৩) ১৯৭৮ সাল থেকে সেমি - সামরিক (উর্দি ছেড়ে সাফারী)।
৪) ১৯৮২ মার্চ ২৪ থেকে ১৯৯০ এর ৬ ডিসেম্বর আবার সামরিক শাসন।
৫) ১৯৯০ থেকে ২০০৫ পর্যন্ত সামরিক বাহিনী সুষ্ট দলের শাসন ১০ বছর এবং ৫ বছর একটা রাজনৈতিক দলের শাসন ছিল্।
এখন মাঈনুল সাহেবের মতে যদি শুধু রাজনৈতিক দলের দোষারোপ করে পার পেতে চাই, তা হলে কি বলতে হবে - সামরিক বাহিনী রাজাকার/যুদ্ধাপরাধীদের বিচারে বিপক্ষে। এরাইতো প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ ভাবে শাসন করেছে ২৫ বছর।
সুতরাং দায়ভার অন্যের কাধে চাপনোর নোংরা এই নোংরা কৌশলটা খুব ভাল কাজ করছে না। তা ছাড়া এই প্রক্রিয়ার উনিও জড়িত।
এখন একটা বিষয় পরিষ্কার হওয়া দরকার। প্রধান উপদেষ্টা বেশ জোড়ালো ভাষায় বলেছে - মামলা হলে সরকার সহায়তা দেবে। এখন দেখছি মাঈনুল হোসেন ভিন্ন সুরে কথা বলছেন।
প্রশ্ন আসে:
মাঈনুল হোসেন কার হয়ে কথা বলছেন? সামরিক বাহিনী মুখপাত্র? নাকি সরকারের মুখপাত্র? নাকি উনার খুঁটি অন্য কোথায়?
সরকার প্রধান যেখানে যুদ্ধপরাধীর বিচারে রাষ্ট্রীয় সহায়তার কথা বলেন, সেখানে একজন উপদেষ্টা কিভাবে প্রকাশ্য বিচার প্রার্থী সম্পর্কে কটুক্তি করার সাহস পাচ্ছে?
এখন বাংলাদেশে কি আসলেই ল্যাজে কুকুর নাড়ছে?
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।