একটি আদালত চার জন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন পদের অধ্যাপকদের শাস্তি দিয়েছেন। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তারা জরুরি আইনের বিধিমালা লন্ঘন করেছেন। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোঘ পত্র আমি পড়েছি, তাদের বিরুদ্ধে শাস্তি দানের খবর আমি পড়েছি পত্রিকায়। শাস্তি দান করা হয়েছে বিচার ব্যবস্হার সর্ব নিম্ন কোর্টে আর এ কোর্টের বিচারের জুরিসডিকসান সীমিত। কেননা সর্ব নিম্মে আদালত একজন বিচারকের সামনে উপস্হাপিত অভিযোগ এবং প্রমানের বেইসে তাকে সিদ্ধান্ত নিতে হয়।
এ ক্ষেত্রে ঠিক তাই হয়েছে। আইনের শাসন নিশ্চিত হয়েছে এবং আইন তার কাজ করেছে। আদালতের সিদ্ধান্ত সঠিক না বেঠিক সেটা মিডিয়াতে আলোচনা করা যায় কিন্তু বিরুদ্ধাচরন করা যায়না। কেননা তাতে আইনের নিরেপক্ষতা এবং ভবিষ্যতের আইনের শাসন নিশ্চিত হয়না। তাই এ বিচারকে আমাদের সম্মান করতে হবে এবং অভিযুক্তদের সাহায্য করতে হবে অন্যভাবে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অভিযুক্ত একজন শিক্ষক আমার বেশ কাছের আত্মীয়। আমি মনে করি বিচারে তিনি যদি দোষি স্যাবাস্ত হন, তাকে আইনী লড়াই চালাতে হবে। আমরা জনমত সৃষ্টি করতে পারি রাষ্ট্রের নির্বাহী বিভাগের কাছে তাদের রাষ্ট্রপতি যাতে ক্ষমা করেন অথবা আদালতের রায় মেনে নিয়ে আপীল করতে পারি সর্বোচ্চা আদালতের কাছে। কিন্তু আমাদের আইনকে শ্রদ্ধা করতে শিখতে হবে এবং বিচারককে মানতে হবে। তাই আমি সকলকে আহবান জানাই রাজপথে রায়ের বিরুদ্ধে বিচারকরে বিরুদ্ধ না গিয়ে আমরা নিয়মতান্ত্রিক উপায়ে এ রায়ের প্রয়োগ বাতিল করি।
আমাদের সামনে রাষ্ট্রের নির্বাহী বিভাগ আছে যারা পারলে ক্ষমা করে দিতে পারেন এবং আমার ধারনা ফাইনালী তাই হবে। অথবা আমরা বিচার বিভাগে আপিল চালাতে পারি। কিন্তু আমাদের মনে রাকতে হবে যে মিছিল টি ছিল অরাজনৈতিক আর এর প্রতিবাদে যদি রাজনীতি জড়ানো হয় তাহলে আমাদের প্রিয় শিক্ষকদের মুক্তি বিলম্বিত হবে। আমাদের সামনে পথ আচে আর তা আইনের প্রতি শ্রদ্ধা দেখিয়ে সম্ভব আর এভাবে আমরা আইন মানরা উদহারন সৃষ্টি করতে পারি রাষ্ট্রের আইন, বিচার প্রশাসন বিভাগ এবং সর্বোপরি আপামর সাধারন জনসাধারনের জন্য।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।