গত ৯ই সেপ্টেম্বর একটি অনলাইন নিউজ পোর্টালে দেয়া সাক্ষাৎকারে বাউলসম্রাট শাহ আবদুল করিম ও দেশীয় ব্যান্ড মিউজিক নিয়ে মন্তব্য করে সমালোচনার ঝড় তোলেন কণ্ঠশিল্পী ফরিদা পারভীন।
ব্যান্ড মিউজিক এবং লালনের গান পরিবেশনা নিয়ে ফরিদা পারভীন বাউল সম্রাট শাহ আবদুর করিমকে নিয়ে বলেন, ‘শাহ আবদুল করিম তো বাউলই না’! তার এমন বক্তব্যের পর সংগীতাঙ্গনে এর বিপরীতে জোড়ালো প্রতিবাদ ওঠে।
ব্যান্ড তারকা আইয়ুব বাচ্চু তার প্রতিক্রিয়ায় ফেসবুকে লিখেছেন, আমি খুবই কষ্ট পেয়েছি একজন শিল্পীর মুখে এসব কথা শুনে। তিনি বিভিন্ন টিভি শোতে আগেও বলেছেন যে ব্যান্ডসংগীত কোন কিছুই না। ব্যান্ডসংগীত নাকি কাকের গান! এটা কি বললেন তিনি? খুবই মর্মাহত হয়েছি তার এরকম মন্তব্যে।
তার প্রতি সম্মান আর ফিরে আসবে না যতক্ষণ পর্যন্ত নিজের এ বক্তব্য তিনি প্রত্যাহার করবেন।
প্রীতম আহমেদ ফেসবুক স্ট্যাটাসে লিখেন, ‘যা কিছু অসম্ভব তা সম্ভব করে দেখাচ্ছেন একজন নায়ক। সংগীতের নতুন মাত্রা যোগ করেছেন একটি টিভি চ্যানেলের মালিক। একজন রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী বাঙালিয়ানার সনদ নিয়ে বসে আছেন। ফরিদা পারভীনের গবেষণায় শাহ আবদুল করিমের বাউলত্ব অমূলক! আমরা ছোট মানুষ জেনে বুঝে এসব কথা বলতে গেলেই অপাঙক্তেয় লোকের গালি খাবো।
’
সাংবাদিক-গায়ক-উপস্থাপক তানভীর তারেক লিখেছেন, ‘নিন্দা জানাই তার মানসিকতাকে। লালনের চর্চা আমাদের দেশের ব্যান্ড মিউজিকের মানুষরা বছরের পর বছর করে আসছেন। আমাদের ব্যান্ড মিউজিকের আজম খান, মাকসুদ ভাইসহ অনেকেই আছেন, যারা লালনকে মনে আর পোশাকেই শুধু পোষেন না, তাদের নিয়ে কাজ করেন। কিন্তু আপনি কি করে বললেন, শাহ আবদুল করিম কোন বাউলই না! ব্যান্ড সংগীত মানে বাতিল সংগীত! কপালে কালো টিপ আর জিন্স পরলে নাকি লালন ভক্তি হয় না! তাহলে কি আপনার দামি জামদানি শাড়িতে হয় আপা! সরি টু সে। ’
এভাবে অনেকেই ফেসবুক তাদের ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।