যুদ্ধাপরাধীর বিচার ও জামায়াতের রাজনীতি নিষিদ্ধ করার দাবী করছি
সাইক্লোন সিডর আঘাত হানার ৭ দিন পরও যখন সরকার ভাসুরের নাম মুখে না আনার মতো বিদেশী সহায়তা নিতে দ্বিধান্বিত - তখন দেখি সেনাপ্রধান বলছেন, এইতো আরেকটু সবুর করো। আমরা সব যায়গায় পৌছে যাবে।
কখন যাবেন?
যখন ডায়েরিয়া লক্ষ লক্ষ মানুষ আক্রান্ত হবে?
যখন পঁচাগলা মৃতদেহগুলো পানিতে মিশে যাবে আর সেই পানি পান করে আরো হাজার হাজার মানুষ মারা যাবে?
এই সময়ে সবচেয়ে বেশী দরকার পরিবহন সহায়তা।
আর আমেরিকান হেলিকাপ্টার নিয়ে যখন জাহাজ পৌছল...তখন দেখি ইসলামী ধ্বজাধারী একদল ঢাকায় মিছিল করার চেষ্টা করছে ...আমেরিকাকে আসতে দেওয়া হবে না!
অবাক বিষয়।
ওরে পশুর দল..তোরা যে মিছিলে গেলি, তার আগেও তো এক পেট খেয়ে এসছিস।
আর যাদের খাবার দেবার জন্যে এই লোকগুলো হাজার মাইল দুরে থেকে এসেছে তাদের বিপক্ষে মিছিল করছিস। তোরা কি মানুষ?
ব্লগেও দেখলাম - কেউ কেউ আমেরিকান জাহাজের আগমনের বিরুদ্ধে বিপ্লবী বক্তব্য রাখছেন। বিপ্লব আকাশে হয় না - মাটিতে করতে হয়। সেটা আমাদের মনে রাখা বিশেষ দরকার। আমেরিকা যুদ্ধের জন্যে বা সাম্রাজ্য বিস্তারের জন্যে আসেনি - এসেছে গুরুত্বপূর্ন একটা কাজে...তাদের ধন্যবাদ দেবার মতো উদারতা দেখানোটাই স্বাভাবিক কাজ হবে।
(২)
টিভিতে দেখলাম, দুবলার চরে একদল লোক হাউমাউ করে কাঁদছে। এরা হলো দালালের মাধ্যমে ক্রীত জেলে (ক্রীতদাস) যারা মহাজনদের ঋন শোধের জন্যে জীবনে ঝুকি নিয়ে সাগরে মাছ ধরতে যায়। যাদের সংখ্যা ৯০ হাজার। এই এক অবিশ্বাস্য ঘটনা।
ঢাকায় বসবাসকারী সরকার - যারা ফুটপাতের হকার আর রেঙ্কস ভবন ভাঙা দেখিয়ে নিজেদের কর্মদক্ষতা প্রমান করতে ব্যস্ত ছিল - এরা কি জানতো একটা স্বাধীন দেশে ৯০ হাজার ক্রীতদাস আছে?
মনে হয় না।
এটা একটা সুযোগ। সচেতন মানুষ এগিয়ে এসে উপকুলের দাসব্যবসা বন্ধের একটা ব্যবস্থা করবে...এটাও আমাদের আশা।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।