আমি চিরন্তন মুক্তিকামী।
আমি কলেজিয়েট স্কুলে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পাই ২০০৩ সালে। ঐ বয়সে এমন একটা কর্তৃত্ব অর্জন করার গৌরব কম ছিলনা।কারণ ওটাই ছিল আমার প্রথম প্রতিযোগীতামূলক পরীক্ষা এবং প্রথম সাফল্য।তাই যখন আমার আব্বা তার আশে পাশের সবাইকে বলে বেড়াতেন আমার ছেলে ২১৮ জনের জনের মধ্যে মেধা তালিকায় ১৮ তম হয়েছে সেই খুশির ছটা কিছুটা হলেও আমার গায়েও লাগত।
কিন্তু কলেজিয়েট স্কুলে কিছুদিন ক্লাস করার পর আমার অামার অহমিকা অনেকটাই ধুলিস্মাৎ হয়ে যায় যখন দেখি ২১৮ জন ছাত্র বৃদ্ধি পেয়ে ২৪০ জনে দাড়ায় এবং এই ২৪০ জনের মধ্যে কমপক্ষে ৩০ জন ভর্তি হয়েছে নিয়ম বহির্ভূত উপায়ে।
এই যে জীবনের প্রাথমিক স্তরেই ৩০ জন ছেলে ২ নম্বরীর মাধ্যমে এই ৩০ জনকি ভবিষ্যতে একটু হলেও দুর্নীতির প্রতি আকৃষ্ট হবেনা?যে লোক ঘুষ দিয়ে উপরের পদের চাকরী নেয় তার কাছে আমরা যেমন সে সৎ থাকবে এমন আশা করতে পারিনা তেমনি ঐ ৩০ জন যে তার দেশ ও জাতির প্রতি দায়িত্ব ও কর্তব্যের ব্যাপারে সৎ থাকবে সে নিশ্চয়তা কি কেউ দিতে পারে
এই যদি হয় অবস্থা দুর্নীতি বাংলাদেশে হবে নাতো কোথায় হবে?
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।