মিটুল
গ্রীক ট্রাজেডী ছিল এক মায়ের সাথে তার ছেলের বিবাহ অতপরঃ বাসর। এটাকে যদি পৃথিবীর সবচেয়ে বড় ট্রাজেডী মনে করা হয় তাহলে আমার কাছে এর থেকেও বড় ট্রাজেডী খবর আছে। যেমন আমার খবরটি যদি এমন হয় যে গ্রীক ট্রাজেডীর মা ও ছেলের বিয়ে অতপরঃ বাসর এবং অতপরঃ আত্মহত্বা এর পরিবর্তে ছেলে মাকে বিয়ে দুরের কথা ধর্ষন করেছে। খবরটি সত্যিকারে বিশ্লেষন করলে হয়তো আরো পাওয়া যাবে যে, ছেলে মাকে একবার না বারবার বা প্রতিদিনই ধর্ষন করেছে। এমনকি নিজে অন্য কাস্টমারকে ডেকে এনেছে ধর্ষন করার জন্য বিনিময়ে কমিশন খেয়েছে ছেলে।
ছেলে বলা ভুল হবে, ছেলেরা বলতে হবে। তবে সবগুলো ছেলে নয়। মাত্র কয়েকটি ছেলে। বাকী ভালোরা নিরীহ। এভাবে দিনে রাতে মাকে নিজেরা ও অন্যদের দ্বারা ধর্ষন করে মায়ের যে কি অবস্থা হয়েছে তা আমরা সবাই লক্ষ্য করতে পারছি।
এই মাকে রক্ষা করবার জন্য সকল প্রচলিত আইন-কানুন উর্ধ্বে রেখে এক বিশেষ জরুরী অবস্থা জারী করে মাকে বাঁচানোর আপ্রান চেষ্টা করছে একই মায়ের আর কিছু সন্তান।
বন্ধুরা নিশ্চয় বুঝতে পারছেন আমি আমার দেশ মা'এর কথা বলছি। যার সন্তান আমরা এবং আমাদের সেই সব রাজনীতিবিদ যাদের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ অপকর্ম এখন অনেকেই অবাক চোখে দেখছন আবার অনেকেই আগে থেকেই জানতেন বা বুঝতেন কিন্তু নিরুপায় ছিলেন। আপনি যদি আমার সাথে একমত না হন এদেরকে আপন ভাই বা একই মায়ের সন্তান হিসাবে তবে আপনার অবশ্যই যুক্তি থাকতে পারে। যেমন, এদের ছেলে মেয়েরা পড়াশুনা করে অন্যদেশে, এদের টাকা-পয়সা জমে অন্যদেশের ব্যাংকে, এদের নিজস্ব জমি-বাড়ী থাকে অন্য দেশে।
আমাদের দেশে এরা শুধু থাকে ব্যাবসা করার জন্য। রাজনীতি ব্যবসা। হ্যাভী লাভ। তবে ওরা জানতো এই ব্যবসায় রি্স্ক আছে। হয়তো পরিকল্পনা ছিল ধরার পড়ার আগেই নিজের দেশে/বাড়ী পাড়ি দিবে।
কিন্তু হলোনা। রাতারাতি কি যে হলো, বর্তমান তত্বাবধায়ক সরকার সব পথ বন্ধ করে দিয়ে সোজা জেলখানা।
তবে এরা সত্যিই এদেশের সন্তান। তবে দেশ মাকে কখনো মা হিসাবে মেনে নেননি। মায়ের সাথে কেমন মর্যাদাপূর্ণ সম্পর্ক রাখতে হয় সে বিষয়ে এরা ছিল কেয়ারলেস।
তবে সত্যিকারের মাকে মর্যাদা দেওয়ার মত কোন নেতা যারা এদেশকে উন্নয়নের পথে পরিচালিত করবেন জনগণের আশা আকাংখা পুরণের সাথে একটা সুন্দর সমন্বয় করেই তা আমার জানা নেই।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।