আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

স্মৃতির লকার

আমার এই পথ চাওয়াতেই আনন্দ

লকারের চাবি আগামীকাল জমা দেব। আজকে খালি করলাম। বাসায় নিয়ে এলাম পাঁচবছরের জমিয়ে রাখা স্মৃতি আর কত গুলো চিঠি। দেখতে দেখতে কেটে গেল পাঁচটি বছর। আমার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচটি বছর।

২০০২ সালের মার্চ থেকে শুরু, ২০০৭ সালের নভেম্বরে শেষ, শেষ মানে অনার্স শেষ। ভর্তি হবার কিছুদিন পর জানলাম, সবাই ডিপার্টমেন্টে ব্যক্তিগত লকার পাব। যেহেতু, বাসায় থাকি সবার আগেই লকার নিলাম। সংগীতা ম্যাডাম লকারের সুবিধার কথা বলতে গিয়ে বলেছিলেন, বাসায় যা কিছু রাখা বিপদজনক সেগুলো ডিপার্টমেন্টের লকারে রাখা যাবে। ঠিক কিছুদিন পরেই, শুরু হল লকারের সেই বিশেষ ব্যবহার।

কি আর?? চিঠি, মায়ের হাত থেকে অনেক দূরে। নানা ঘটনা, উত্থান পতন, হাসি-কান্নার ভেতর দিয়ে কেটে গেল আমার অনার্স জীবন। রেজাল্টের আগেই সব কিছুর ক্লিয়ারেন্স নিতে হবে। সব কিছুর মধ্যে লকারটিও পরে। কি ছিল লকারে? কতগুলো চিঠি, আর একটি ছোট্ট শো’পিস।

দুটি পায়রা (নিউমার্কেটের বইয়ের দোকানগুলোর সামনে অহরহ পাওয়া যায় যেগুলো)। আমাকে দেওয়া হয়েছিল, খুব মায়া (সে বলত আমার প্রতি তার মায়াই ভালবাসা) করে। বলেছিল, নিজের ঘরে সাজিয়ে রাখতে। তখন, সম্ভব ছিল না, তাই বলেছিলাম আমাদের বেডরুমে সেটা রাখব। জানি না সেটা আর সম্ভব হবে কিনা? এবার আসি চিঠির কথায়।

অনেক গুলো চিঠি, অনেক গুলো। খুশির চিঠি, কান্নার চিঠি অথবা এমনি এমনি চিঠি। মোবাইল এসে সব উলট পলট করে দিল। মোবাইল নিয়েছি, এই আড়াই বছর। তার কথা মনে হওয়া মাত্রই, ফোন করি, সেও করে।

তাই মোবাইলের সাথেই চিঠি বিদায় নিল। একদম বিদায় নেয়নি অবশ্য, কিন্তু সংখ্যায় খুবই কম। চিঠি গুলোর ভেতর একটা চিঠি ছিল, তাকে ভালবাসা জানবার পাঁচ মাস পরের, সে লিখেছিল, “পাঁচ মাস ভাল কেটে গেল, ঠিক এভাবেই যেন পাঁচটি বছর কেটে যায়”। ঠিকই কেটে গেল পাঁচটি বছর, ভালভাবেই কাটল। কিন্তু, এখানেই শেষ।

কি যে হয়ে গেল বুঝে উঠতে পারলাম না। যাইহোক, আগামীকাল লকারের চাবি জমা দিয়ে দেব।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।