ইদানিং খুব ঘাস খাই আর নির্বোধ গরু হয়ে উঠার স্বপ্ন দেখি,বঙদেশে গরুদের জন্য সব লক্ষীই হাত পেতে আছে ।রাষ্ট্র ও সমাজযন্ত্র যখন সংকরিত গরুর গোয়াল ।
আমি দেখলাম অনেকেই মাহবুব উল আলম চৌধুরীর একুশের প্রথম কবিতা সম্পর্কে আগ্রহী ।
কবিতাটির পুরো অংশ পাওয়া যায় না,সৌভাগ্যক্রমে সম্পুর্ন কবিতাটি আমার কাছে আছে।
কবিতাটি অনেক বড়,তাই ধারাবাহিক ভাবে প্রকাশ কারা হবে ।
এখনে যারা প্রাণ দিয়েছে
রমনার ঊর্ধমুখী কৃষ্ণচুড়ার তলায়
যেখানে আগুনের ফুলকির মতো
এখনে ওখানে জ্বলছে অসংখ্য রক্তের ছাপ
সেখনে আমি কাদতে আসিনি ।
আজ আমি শোকে বিহবল নই
আমি ক্রোধে উন্মত্ত নই
আজ আমি প্রতিজ্ঞায় অবিচল ।
যে শিশু কোনো দিন তার
পিতার কোলে ঝাপিয়ে পড়ার
সুযোগ পাবে না
যে গৃহবধু আর কোনোদিন তার
স্বামীর প্রতীক্ষায় আচলে প্রদীপ
ঢেকে দুয়ারে দাড়িয়ে থাকবে না
যে জননী খোকা এসেচে বলে
উদ্দাম আনন্দে সন্তানকে আর
বুকে জড়িয়ে ধরতে পারবে না
যে তরুন মাটির কোলে লুটিয়ে
পড়ার আগে বার বার একটি
প্রিয়তমার ছবি চোখে আনতে
চেস্টা করেছিল
সে অসংখ্য ভাইবোনের নামে
আমার হাজার বছরের ঐতিহ্যে লালিত
যে ভাষায় আমি মা কে সম্বোধন অভ্যস্ত
সে ভাষা ও স্বদেশের নামে ।
আমি এই বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্মুক্ত প্রাঙ্গনে
আমি কাদতে আসি নি ফাঁসির নিয়ে এসেছি
যারা আমার অসংখ্য ভাইবোনকে
যারা আনার মাতৃভাষাকে নির্বাসন দিতে
চেয়েছে তাদের জন্য
আমি ফাঁসি দাবী করছি
চলবে............
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।