গ্রাম বাংলার লোকজ উৎসব । ।
**************
বাউলের আসর **
গ্রাম বাংলার চেনা জানা সহজ সরল মানুষের আনন্দ বেদনার চিত্র ফুটে লোকজ সাংস্ক্রিতিক বিভিন্ন জলসায় , সেথা বাউল তার আপন মনের মাধুরি মিশিয়ে তুলে সুরের ঝংকার । যা শ্রুতাগনের মনোরঞ্জনে সময়ের খোরাক । ।
ইতিহাস ঐতিহ্যর নিরিখে বাউল গান বা লোক সংস্ক্রিতি
আজও সতেজ সুরের ইন্দ্রজালে । ,
এমন আধ্যাতিক সাধক বাংলার গৌরব কে গানে গানে সুরে সুরে বিশ্ব বুকে ছড়িয়ে দিয়েছে তার সাধনার আপন উজ্জলতায় । তাদের মধ্য , লালন ফকির , হাছন রাজা , আব্দুল আলিম , আব্বাসউদ্দিন , কবি জসিম উদ্দিন , রবি ঠাকুর , কাজী নজরুল ইসলাম এবং শাহ আব্দুল করিম প্রমুখের অবধান বিশ্ব বুকে চিরদিনের জন্য উজ্জ্বল ।
সেই সুর গ্রাম বাংলার বিভিন্ন জলসায় , উৎসব মেলায় নানা অনুষ্ঠানে আজও শুনা যায় মানুষের সম্ভারে । ।
এছাড়া , কিচ্ছা কাহিনী , যাত্রা গান , গাজি কালুর কিচ্ছা , ষাঁড়ের লড়াই , বৈশাখী , বসন্ত পৌষ পার্বণ মেলায় মানুষ খুজে পায় বাংলা সংক্রিতির এক অনবধ্য সাড়া । ।
এখনও বটের ছায়ায় বা কোন আউলিয়ার পবিত্র সমাধিকে ঘিরে শুনা যায় আধ্যাতিক সুর
*** সোনার ময়না ঘরে থইয়া বাইরে তালা লাগাইছে
রসিক আমার মন মজাইয়া পিঞ্জুর বানাইছে । ।
অথবা মন আমার দেহ ঘড়ি সন্ধান করি
কোণ মেস্তরি বানাইছে “”””””””
এক খান চাবি মাইরা দিছে ছাইড়া
জনম ভরা ঘুরতে আছে “””””””””””
** বাউলা কে বানাইলরে বাউলা কে বানাইল রে
হাছন রাজারে বাউলা কে বানাইল রে
যেজন ও বানাইল বাউলা নামটি তাহার মাওলা
নাছিয়া নাছিয়া হাছন জপত নুরে আল্লাহ “”””””””
** হাছন রাজা জানত যদি বাচব কতদিন
দালান কোটা বানাইত করিয়া রঙ্গিন রে “”””””””
বাউলা আব্দুল করিমের গানে সহজ ভাবে ফুটে উটে লোকজ বাংলার চিত্র কথা
আগে কি সুন্দর দিন কাটাইতাম ২ বার
গ্রামের ঐ নওজোয়ান হিন্দু মুসলমান মিলিয়া “””””””””
অথবা
কেন পিরীতি বারাইলা রে বন্ধু ছাইড়া যাইবা যদি .
আরও অসংখ্য নাম না জানা জ্ঞানি গুনির কণ্ঠে আমরা আমাদের দেশীয় সংস্কৃতির লোকজ চিত্র লালন করি মুহূর্তের আনন্দ সম্ভারে হৃদয় মাঝে ।
।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।