আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

জামায়াতের বেফাস মন্তব্য ইচ্ছাকৃত????

নামের সাথে কামের কিছু মিলতো থাকবোই

(মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে জামায়াতের বেফাস মন্তব্য ইচ্ছেকৃত এবং বিশেষ উদ্দেশ্যে করা। শুরু থেকেই আমার এমন মনে হয়েছে। আজকের পেপারের রিপোর্টটি দেখে সন্দেহটি আরো জোরালো হলো। ) তিন শক্তির বলয়ে বাংলাদেশ দেশের দ্রব্যমূল্য পরিস্থিতি, ভারতের সঙ্গে চাল ও অন্যান্য ভোগ্যপণ্যের ব্যবসা-বাণিজ্য এবং নতুন করে চাঙ্গা হয়ে ওঠা যুদ্ধাপরাধী, জঙ্গিবাদসহ সাম্প্রতিক আলোচিত ইয়াবা ইসুটিকে পরস্পর সম্পর্কযুক্ত বলে মনে করছেন কয়েকজন রাজনীতিক। তাদের মতে, বাংলাদেশকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট আনত্মর্জাতিক প্রভাব বলয়ের ওপর নির্ভর করছে বাংলাদেশের রাজনৈতিক ভবিষ্যত।

কমপক্ষে ৩টি শক্তিশালী বলয় এখন সরকারের হৃদপিণ্ড নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছে। রাজনীতিকদের মতে, তিনটি বলয়ই আমেরিকা-কেন্দ্রীক। এসব বলয়ের মধ্যে এগিয়ে থাকা গ্রুপটি ২ নেত্রীকে মাইনাস করে বাঘ-মহিষকে একঘাটের জল খাওয়াতে চাইছে। এরমধ্য দিয়ে দেশের রাজনীতিতে যৌথনেতৃত্বের নতুনধারার একটি রাজনৈতিক শক্তির আবির্ভাব ঘটাতে চায় তারা। এ লক্ষ্যে তারা একদিকে জাতীয়তাবাদী শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ করার পরিকল্পনা নিয়ে এগুচ্ছে অপরদিকে ২১ আগস্টের বোমাহামলার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেফতার করে ২ প্রধান দলের কর্মী-সমর্থক এবং সাধারণ মানুষের সমর্থন পক্ষে টানার চেষ্টা করছে।

সরকারে শক্তিশালী এই ধারাটিকে রুঁখতে অপর একটি ধারা নানাক্ষেত্রে ইসু বানিয়ে ক্রমান্বয়ে দেশে এক ধরণের অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করে সুবিধা নিতে সচেষ্ট রয়েছে। এই দ্বিতীয় ধারাটি খালেদা জিয়ার নেতৃত্বাধীন বিএনপি এবং জামায়াতসহ ইসলামী দলগুলোর পক্ষে। এক ঢিলে ২ পাখি শিকারের উদ্দেশে তারাই যুদ্ধাপরাধী ইসুটিকে চাঙ্গা করেছে। উদ্দেশ্য অরাজকতা সৃষ্টি করে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে পরাসত্ম এবং আইনগতভাবে যুদ্ধাপরাধীদের পুনর্বাসন করা। তারা নিশ্চিত যে প্রচলিত আইনে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার অসম্ভব।

আর এমনটি হলে প্রচলিত আইনে যেভাবে গোলাম আজম নাগরিকত্ব পেয়েছিল একই প্রক্রিয়ায় তারাও যুদ্ধাপরাধী নয় এমন একটি স্বীকৃতি আদালতের মাধ্যমে আদায় করে নিতে পারবে। অপরদিকে ২১ আগস্ট বোমা হামলার মূল আসামিদের গ্রেফতারের কারণে দ্বিতীয় শক্তিটির সঙ্গে যুক্ত হয়ে পড়েছে জেএমবি, হুজি এবং সাবেক ফ্রিডম পার্টির আনত্মর্জাতিক ও দেশিয় শক্তিগুলো। এ ধারাটি মনে করছে প্রথম ধারাটি দ্বিতীয় ও তৃতীয় (তাদের) ধারাকে রাজনৈতিকভাবে নিঃশেষ করে নিজেরা একচ্ছত্র হতে চায়। এজন্য তারা দ্বিতীয় ধারার পক্ষ নিয়েছে। অন্য একটি সূত্র জানায়, মিয়ানমারের সঙ্গে সড়ক নির্মাণের সিদ্ধানেত্মর কারণে প্রতিবেশি একটি দেশ ক্ষুব্ধ এ কারণেই চাল, গম এমনকি গরু মহিষসহ নিত্যপণ্য রফতানীর ক্ষেত্রে নতুন-নতুন সংকট সৃষ্টি করছে বলে তাদের ধারণা।

ওই দেশটি নানা কৌশলে বাংলাদেশ সরকারকে শায়েসত্মা করতে চাইছে। আনত্মর্জাতিক বাজারে মূল্যবৃদ্ধিজনিত কারণে এসব ভোগ্যপণ্যের অনেকগুলোর স্বভাবিক মূল্যবৃদ্ধি ঘটলেও বেশকিছু পণ্যের অতি মূল্যবৃদ্ধি ঘটেছে প্রতিবেশি দেশটির এ সিদ্ধানেত্মর কারণে। প্রতিবেশি ওই দেশটি এখন ২ নেত্রীকেই মিত্র বলে মনে করছে। দ্রব্যমূল্যের এ অবস্থা এবং প্রতিবেশি দেশটির কারণে সরকারের একটি সংস্থা এরইমধ্যে স্পষ্ট করে বলেছে যে, আগামী ৬ মাসেও দ্রব্যমূল্য কমছে না। আবার অনেকে মনে করছে, প্রথম ধারাটি দ্রব্যমূল্য ইসুটিকে মানুষের আলোচনা থেকে দূরে সরিয়ে রাখার জন্য এ মুহূর্তে ইয়াবা, যুদ্ধাপরাধী এবং সশস্ত্র জঙ্গিদের ইসুটিকে মানুষের আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে নিয়ে এসেছে।

এরপর তাদের পরিকল্পনায় রয়েছে আরেকটি গ্রেফতার অভিযান।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.