কেএসআমীন ব্লগ
সিনেমার অশ্লিলতা নিয়ে অনেক লেখালেখি হচ্ছে। বেশ ভাল। তবে সিনেমার অশ্লিলতাতো হলে গিয়ে দেখতে হয়। টিকিট কেটে, যার ইচ্ছে সে। আমাদের ঘরে ঘরে এখন যে অশ্লিলতা চলছে ডিস চ্যানেলের মাধ্যমে - কই এ বিষয়ে তো কাউকে কিছু লিখতে দেখি না।
বর্তমান সরকারের আমলে চাপের মুখে ঐ ডিসওয়ালাদের কিছুটা ভয় ঢুকেছে হয়তো। এটা সাময়িক। কিছু কিছু এলাকায় এখনও আজেবাজে ছবি/চ্যানেল চলছে। কোন নিয়ন্ত্রণ নেই। সিংগাপুরে দেখেছি মাত্র ৫/৬টি চ্যানেল্ সরকারের স্পষ্ট একটা আইন থাকা প্রয়োজন স্যাটেলাইট চ্যানেলের ব্যাপারে।
দুঃখজনক যে, এখনও সেরকম কোন নীতিমালা তৈরী করতে পারেনি সংশ্লিষ্ট বিভাগ। এ দায়িত্বটুকু তথ্য মন্ত্রণালয়ের ফিল্ম সেন্সর বোর্ডকে আপগ্রেড করে "টিভি এন্ড ফিল্ম সেন্সর বোর্ড"কে দেয়া যেতে পারে। কিছুদিন আগে শুনলাম একটি আইন তারা করেছে তথ্য মন্ত্রক। সেটি হলো কোন নির্দিষ্ট অঞ্চলে কতটি চ্যানেল কমপক্ষে দেখাতে হবে - এরকম। এই আইনটি দেখে ক্ষোভে টিভি আছাড় দিয়ে ভেঙ্গে ফেলতে ইচ্ছে হয়েছিল।
ভেবেছিলাম এর সমালোচনা পত্র পত্রিকায় হবে। কিন্তু না, সেরকম কিছুই দেখিনি। এদেশে সবই সম্ভব। গ্রামীণ ফোনের নরওয়েজিনান এমডি এরিক ওস বলেছিলেন যে, এ দেশের অনেকগুলি চ্যানেল বন্ধ করে দেয়া উচিত, অশ্লিলতার কারণে। কিন্তু আমি এ বিষয়ে পরবর্তীতে কোন আলোচনা দেখিনি।
সেটেলাইট বিষয়ে সরকারের প্রথম আইনটি হওয়া উচিত এভাবে - "শুধুমাত্র অনুমোদিত চ্যানেলগুলিই ক্যাবল অপারেটররা দেখাতে পারবে। " কোনটি কোনটি অনুমোদিত তা বিভিন্ন সময়ে উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ তা নির্ধারণ করবেন। অনুমোদনহীন চ্যানেল কোন এলাকায় চলছে তা জানার জন্য কার্যকর এস.এম.এস ও ইমেইলের ব্যবস্থা থাকতে হবে ও দোষীদের ব্যাপারে কী ব্যবস্থা নেয়া হবে তাও খুব স্পষ্টকরে উল্লেখ করতে হবে। মদের বোতল রাখার দায়ে ৫ বছরের জেল হলে এক্ষেত্রে দোষীদেরও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হবে আশা করি। আমাদেরতো ৫০/৬০টি চ্যানেল দরকার নেই।
ভাল ১০টি হলেই যথেষ্ট।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।