যা বিশ্বাস করি না, তা লিখতে-বলতে চাই না, পারবোও না। কিন্তু যা বিশ্বাস করি, তা মুখ চেপে ধরলেও বলবো, কলম কেড়ে নিলেও লিখবো, মারলেও বলবো, কাটলেও বলবো, রক্তাক্ত করলেও বলবো। আমার রক্ত বরং ঝরিয়েই দাও, ওদের প্রতিটি বিন্দুর চিৎকার আরও প্রবল শূনতে পাবে। ------------------------কে.এল. সেন্ট্রাল---------------------------
---------------------------------------------------------------------
কে.এল. সেন্ট্রাল, প্রতিদিন সে স্টেশন
সামান্য অথচ কতটা আপন,
যখন কেউ নেই পাশে, তুমিও জীবন।
নিয়ত পেরোতে গিয়ে ভাবুক হই-
ট্রেনের অপেক্ষায় সেই দশটি মিনিট সময়,
বসে বসে ক্লান্তির হিসেব মেলান ক্ষণগুলো,
অথবা প্রতিটি মুহূর্তে প্রানবন্ত সেই জীবনগুলো,
নতুন অনুপ্রেরণায় চলার পাথেয় তুমি।
কোনায় দাঁড়ানো সেই পথশিল্পী,
একমনে গিটার বাজিয়ে গাইছে,
সে জানে না একজন কত তন্ময় শুনেছে।
ওর জানাও নেই, কত অবাক হই ওর সুরে
ব্রায়ান অ্যাডামস থেকেও মিষ্টি লাগে সে গান,
যখন শত ব্যস্ততা পেরিয়ে ঘরে ফেরার সময় হয়।
কোন এক কোনায় বসে একটি ছেলে কবিতা লেখে,
স্টেশনের তা কোনদিনও জানা হয়না।
নিয়ত কর্মে যাবার সেই অলস প্রভাত,
কিংবা ঘরে ফেরার সেই ক্লান্তিকর অনুভূতি,
তোমার মোহময় স্পর্শে প্রানের ছোঁয়া পায়।
কে.এল. সেন্ট্রাল, তুমি প্রানবন্ত,
তুমি শত ব্যস্ততা তবু অস্থিরতা কর শান্ত
তোমাকে দেখে ভুলি সব, যতটাই হই ক্লান্ত।
___________________________________________________
"প্রতিটিদিন পেরিয়ে যেতে হত এই স্টেশন, প্রথমে KTM নামক ট্রেন থেকে নেমে LRT তে চড়তাম। ঘুম লাগা কোনো ভোরে অথবা ক্লান্ত বিকেলে...... ঘরে ফেরা অথবা ঘর থেকে যাওয়া... জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে গিয়েছিল এই জায়গাটিও। ওখানে বসেই ট্রেনের অপেক্ষায় নিজেকে নিয়ে পাঁচ মিনিট ভাবার সুযোগ পেতাম.... ওখানে একজন স্ট্রিট সিঙ্গার প্রতিদিন গিটার বাজিয়ে গান করেন... কি অসাধারণ তার কন্ঠ, মুগ্ধ দাঁড়িয়ে শুনতাম..... কে.এল সেন্ট্রাল একটি প্রানবন্ত কর্মশালা, জীবন শেখার পাঠশালা..... " ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।