জেনকে বোঝা কঠিন, এর মানে এটা বোঝা যে এটা বোঝার জন্য নয় ; জেনকে বোঝা সহজ, এর মানে এটা না-বোঝাই হলো এটাকে বোঝা।
কোনো এক সামাজিক অনুষ্ঠানে এক জেনগুরুর সাথে সাক্ষাৎ হলে সেখানে উপস্থিত একজন মনোরোগবিদ তাঁকে একটা প্রশ্ন করবেন বলে ঠিক করলেন, যে প্রশ্নটি আগে থেকেই তাঁর মাথার ভিতর ছিল। 'আপনি মানুষকে ঠিক কীভাবে সাহায্য করেন ?'--- তিনি শুরু করলেন।
'আমি তাদেরকে এমনভাবে পাই, যেখানে তারা আর কোনো প্রশ্নই করতে পারে না। '--- গুরু জবাব দিলেন।
অনুবাদ : জেন সাধু
এ গল্পের সম্ভাব্য কয়েকটি শিক্ষণ
১.কোনো প্রশ্ন না থাকা খুব শান্তিপ্রদ। কিংবা, মাঝে মাঝে প্রশ্ন না করে যা পাওয়া যায় তা গ্রহণ করাই ভালো। কিংবা, জেনগুরু হয়ত ভেবেছিলেন এর পরে ওই বিশেষজ্ঞের কাছ থেকে অবাস্তব কোনো প্রশ্ন আসবে। তাই তাঁকে পাশ কাটাবার জন্যই তিনি এমন ভাব করলেন যে 'এর চেয়ে বালতোষ প্রশ্ন আর হয় না!'।
২.সবজান্তা মানুষ কখনো সাহায্যহীন হন না।
কিংবা, যখন একজন তার জীবনের সকল প্রশ্নের জবাব পেয়ে যান, তখন তিনি একজন পরিপূর্ণ মানুষ।
৩.কেউ যখন নিজে নিজেই মাথায় থাকা প্রশ্নের উত্তর করতে পারেন, তিনি তখন সমাধানের পথে থাকেন। কিংবা, যদি কাউকে এরকম স্তরে আনা যায় যে, একজন নিজেই নিজের প্রশ্নের উত্তর করতে পারছেন, তাহলে বুঝতে হবে যে ওই ব্যক্তি আত্মপ্রশান্তিতে আছেন।
৪.গল্পটা বরং এ ধারণা দেয় যে, জেনগুরুর কাজ কখনোই সুসম্পন্ন হবে না, কারণ মানুষ মৃত্যুর আগ পর্যন্ত লাগাতার প্রশ্ন করতেই থাকবে।
৫.এটা কী করে হতে পারে যে প্রশ্ন করতে না পারা ভালো ? প্রশ্ন করা কি খারাপ কিছু ? এ মত নেয়া যায় না।
কিংবা, আমাদের সবসময়ই বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দরকার হয়, যার ভিতর দিয়ে আমরা বিকশিত হই ও শিখি। কিংবা, একটি শিশুকে কী করে প্রশ্নের বাইরে আনা যাবে ? জেনগুরু কি আসলেই এটা চান ? কিংবা, এরকমটা কল্পনাও করা যায় না যে, একজন এরকম সচেতনতার জায়গায় উপনীত হবে, যার কোনো প্রশ্ন করারই দরকার হবে না। এটি আদৌ সম্ভব নয়।
এ গল্প আমাদের আর কী শিক্ষা দেয় ?
১.
২.
৩.
৪.
৫.
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।