জেনকে বোঝা কঠিন, এর মানে এটা বোঝা যে এটা বোঝার জন্য নয় ; জেনকে বোঝা সহজ, এর মানে এটা না-বোঝাই হলো এটাকে বোঝা।
বাতাসের মধ্যে কম্পমান একটি পতাকা নিয়ে দু'জন লোকের মধ্যে তর্ক চলছিল। প্রথমজন তর্কের সূত্রপাত করল 'বাতাস নড়ছে' বলে। 'না, পতাকাটি নড়ছে', দ্বিতীয়জন বলে উঠল। ঘটনাক্রমে একজন জেনগুরু তাদের পাশ দিয়ে হাঁটছিলেন।
তিনি তাদের কথাবার্তা শুনতে পেলেন এবং তর্কযুদ্ধে হস্তক্ষেপ করলেন। বললেন, 'পতাকাও নড়ছে না, বাতাসও না ; নড়ছে বস্তুতপক্ষে মন। '
অনুবাদ : জেন সাধু
এ গল্পের সম্ভাব্য কয়েকটি শিক্ষণ
১.মন চূড়ান্ত শক্তি ধারণ করে। মন ব্যতীত কোথাও কিছুর অস্তিত্ব নেই। কিংবা, আমরা তাই দেখি, আমাদের মন যার অবয়ব তৈরি করে।
মন খুবই শক্তিধর, যা সবকিছু করতে সক্ষম। কিংবা, মন সবকিছুর কেন্দ্র, এটি ছাড়া কোথাও কিছু ঘটে না।
২.মানুষ অনেক তুচ্ছ বিষয় নিয়ে বিতর্ক করে প্রচুর সময় নষ্ট করে। কিংবা, কাজ না থাকলে মানুষ অযথা কাঁথা সেলাই করে।
৩.দু'জন মানুষ হাড্ডাহাড্ডি লড়াই করছে, তৃতীয়জন এসে সম্পূর্ণ ভিন্ন বিবেচনা হাজির করলেন।
এটি দেখায় যে, একটি সমস্যাকে দেখবার অজস্র পন্থা আছে। কিংবা, প্রত্যেক মানুষই স্ব স্ব ইন্দ্রিয় দ্বারা জগৎকে তার মতো করে উপলব্ধি ও ব্যাখ্যা করে।
৪.গল্পটা এটা বোঝাতে চেষ্টা করে না যে পতাকা বা বাতাস নড়ছে না, এটা এর একটা তুচ্ছ দিক। এ গল্পে মনই প্রধান, যা বস্তুদ্বয়কে অর্থময়তা দিচ্ছে।
৫.গল্পটিকে অযথাই রহস্যময়তার দিকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
বস্তুত এটাই ঠিক যে বাতাসই পতাকা নাড়ায়।
এ গল্প আমাদের আর কী শিক্ষা দেয় ?
১.
২.
৩.
৪.
৫.
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।