প্রিয় বাংলাদেশের জন্যে ভালোবাসা
ছোটবেলায় আমি যে বিষয়টিতে সবচেয়ে দুর্বল ছিলাম, সেটি ছিল ড্রইং। কোনও মতে পাস করতাম। পঞ্চাশে সতেরো-আঠারো বড়োজোর।
আমার গলা ভীষণ বেসুরো। আমি গান গাইলে নির্ঘাত ১০টা কুকুর চারদিক থেকে তেড়ে আসবে - আমার বিশ্বাস।
তাই, খুব ভালো আঁকতে পারে, কিংবা খুব ভালো গাইতে পারে - এরকম কাউকে দেখলে আমার খুব ঈর্ষা হয়।
কিন্তু এই অচেনা, অজানা বাচ্চা ছেলেটার প্রতি ঈর্ষা বোধ হচ্ছে না এই মুহূর্তে। খুব কষ্ট হচ্ছে এই ছেলেটার জন্যে। কেমন আছে এই পিচ্চি কৈশোরোত্তীর্ণ ছেলেটা - কে জানে? কোন জিজ্ঞাসাবাদ সেলে কীভাবেই বা রাত কাটাতে হচ্ছে? বাচ্চা ছেলেটার আত্মজনেরাই বা কেমন আছেন?
জানতে ইচ্ছে করছে না।
আন্দাজ করেই কষ্টে বুকটা ফেটে যাচ্ছে।
আমি মনে করি না, সামান্যতম বুঝবুদ্ধি জ্ঞান আছে এরকম কেউ ওই কার্টুনটি পড়ে ধর্মানুভূতির টানাটানিতে পড়ে যাবেন। তারপরো বলি, প্রথম আলো গোল্লায় যাক, আমার আপত্তি নেই। মতিউর-আনামেরা আরেকটা প্রজেক্ট করে ফেলতে পারবেন তাদের টাকা আর খুঁটির জোরে।
কিন্তু, এই বাচ্চা ছেলেটির মুক্তি দেয়া হোক। অবিলম্বে, এবং কোন রকম শর্ত ছাড়াই।
এবং উপযুক্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হোক।
প্লিজ রিলিজ কার্টুনিস্ট আরিফুর রহমান। তাঁর জন্যে ভালবাসা।
----
"অনুভূতিশূন্য কেউ একজন" অনেকদিন সামহোয়্যারে লিখেনি।
অনেকদিন পর তার মনে হলো, নিজের এই আবেগটুকু আপনাদের সাথে শেয়ার করা দরকার, তাই শুধু এই পোস্টটার জন্যে আসা।
এই পোস্টটি শুধুমাত্র "বাঁধ ভাঙার আওয়াজ"-এ প্রকাশিত । ছবিটি ক্রিয়েটিভ কমন্স এর আওতায় বিতরণযোগ্য।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।