এমন কথা অনেক শুনেছি। পত্রপত্রিকায় ছবি দেখেছি। ভিডিও ক্লিপেও দেখেছি। কিন্তু গতকাল নিজের চোখে দেখলাম। দুঃখে বুকটা যেন ফেটে যাচ্ছে-এমন অবস্থা! ক্লাসে গিয়ে আমার কয়েকজন ফ্রেন্ডের সাথেও শেয়ার করলাম বিষয়টা।
যাদের কাছে বললাম তাদের সবারই খুব খারাপ লাগলো। একজন বললো-এত গরীব কি এখনো আছে!!
বসুন্ধরা সিটি শপিং মলের পিছন দিয়ে যাচ্ছিলাম গতকাল। থমকে দাঁড়ালাম একটি বাস্তব দৃশ্য দেখে। একটি হোটেলের খাবারের উচ্ছিষ্ট অংশ ফেলে দেয়া হলো ডাস্টবিনে। দেখলাম একজন লোক, পিছনে একটি বস্তাও আছে।
খুব সম্ভব কাগজ-পলিথিন ইত্যাদি খুঁজে জীবিকা নির্বাহ করে। সে লোকটি হাত দিয়ে ডাস্টবিনের ভিতরে খুঁজে দেখছে কোন খাবার কিছু আছে কিনা। হঠাৎ এক টুকরা মুরগির হাড় ফেলো। লোকটি যেন আকাশের চাঁদ হাতে পেয়েছে। আমি কাছে থেকেই দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দেখলাম।
খুব তৃপ্তি সহকারে লোকটি সামান্য মাংশ জড়িয়ে থাকা সেই হাড়টি খেলো। আমি আর সহ্য করতে পারলাম না। তাই ত্যাগ করলাম সে স্থান।
যেখানে আমরা আজ অনেক খাবার অপচয় করি, সেখানে কেউ কেউ খেতে পায় না। যেখানে আজ কিছু লোকের হাতে হাজার হাজার কোটি টাকা জিম্মি, সেখানে আজ কিছু লোকের কাছে ডাস্টবিনে ফেলে দেয়া খাবার যেন আকাশের চাঁদ।
বক্তৃতা দেয়ার সময় এসব লোকদের ব্যাপারে আমাদের রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দকে খুব কম কথাই বলতে শুনা যায়। বলা যায় এসব লোকদের সম্পর্কে তাদের কোন চিন্তাই যেন নেই। মাঝে মধ্যে দু-একটি কথা বললেও তার ৯৯%ই মনে হয় মিথ্যা। রাজনীতিবিদরা শুধু আছেন পরস্পরকে দোষারোপ করার কাজে। কিভাবে আজীবন ক্ষমতায় থাকা যাবে এ চিন্তায়।
আর শত শত মানুষ কিভাবে জীবন যাপন করছে তা চিন্তা করার সময়ও মনে হয় তাদের নেই।
এমন যদি হতো------
আমার দেশের শাসক হতো উমরেরই মত হতো আবু বকরের মত!
প্রজার দুঃখে যাদের চোখে ঘুম যে আশে না-
বাড়ি বাড়ি ঘুরে ঘুরে খোঁজ খবর নিত।
যদি আমার শাসক হতো উমরেরই মত।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।