আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ঢাকা শহর আইসা আমার কপাল ফাটিছে, উদাসী জানে মারিছে!:কুদ্দুসের বাশ খাওয়া কাহিনী-১

আসেন দুর্নীতি করি। আর এই দুনিয়াটাকেই খুচাই!

(+18) একদা এক কুদ্দুস আছিলো, সে বালকও নহে বালিকাও নহে, শুধুই কুদ্দুস! হোদেলকুতকুত মার্কা আরাফাতীয় চেহারার ফটিকীয় বদনের এক অম্লান মদন: কুদ্দুস-আসিলো ঢাকা শহরে গুনগুনাইতে,"ঢাকা শহর আইসা আমার পরান জুড়াইছে, বাংকো, পকেট কাটিছে!"গাবতলী নামক বিটকাইলা জায়গায় যান্ত্রিক শকট হইতে টপকাইয়া পড়িয়া দেখিলো বিদিক দিশা!কত রকমর ধারক-বাহক-সংগ্রাহক (চোর-জোচ্চর-পুলিশ)মনুষ্যসকল সংক্রামক ব্যাধির ন্যায় ছুটিতেছে, একে অপরের উপর ঝাপাইয়া পড়িতেছে। কিন্তু কুদ্দুসের কোনো চিন্তা নাই,তাহার আছে উদাসী ভাই!বহুত কাইজ্জা বিবাদ, চোর বাটপার, লাথি উষ্ঠা হইতে পরান বাচাইয়া, সোজা পথে না আসিয়া ব্যাকা পথে ৫২ মৌজার ৫৩ গলি পার করিয়া পৌছাইলো গিয়া শের-এ-খাজা হেকমতে বাবা জালেমে ভন্ড হিজরতে উদাসীবাবা (খারুএর কাছে। তাহার ডেরা থুক্কি দরবারে পৌছাইয়াই অম্লান কুদ্দুসের চেহারা আমাবস্যার চান্দের নাহান জিলকাইয়া উঠিলো, চিত্তে বড় ফূর্তি জাগিলো। দেখিলো অসংখ্য বান্দর তুল্য ভক্তকূলের মাঝে বসিয়া বান্দরের শিরোমণি উদাসীবাবা আছেন বসিয়া! কুদ্দুস তাহার পদতলে সালাম আর নাম মাত্র হাদিয়া সমর্পন পূর্বক বলিলো,"উদাসী ভাইয়া, চিনিছো মোরে, প্রতিদিন দেখা হইতো বটতলীতে, আমার পয়সায় খাইতে অনাথের আচার, তারপর বলিতে দেখা হইবে আবার।

" উদাসী তাহার ২৮ খানা দন্ত (তখনও উদাসীর ৪ আক্কেল দন্ত মোবারক উঠেন নাই) সকল পাটি সহযোগে বাহির করিয়া শুধাইলো,"কে গো, কুদ্দুইচ্যা না?" কুদ্দুস মলিন হইয়া কহিলো তাহার করুণ কাহিনী। নিজ গ্রামে যেই বিদ্যালয়ে জ্ঞানের তাগিদে কুদ্দুসের গমন, সেইখানে সে নানা বিগ্রহের শিকার। তাহার বান্দর সহপাঠীবৃন্দ তাহাকে ভূষিত করিয়াছিলো "রস্ব-ই ছাড়া ভূদাই-কুদ্দুস"। তাহারা উহাতেই ক্ষান্ত দেয় নাই, কখনো তাহার খাদ্যপাত্রে (বর্তমান জামানায় যাহাকে বলে টিফিন বক্স)মরা ভেক (ব্যাঙ) লুকাইয়া রাখিতো, আবার কখনোবা নিম্ন বস্ত্র (বর্তমান জামানায় যাহাকে বলে প্যান্টু)আন্ডুয়া সহযোগে টান মারিতো। দিনকে দিন উক্ত অপমান যুক্ত কার্যকারণ চরমে আরোহন করিতে লাগিলো।

এক সদ্য আগত পন্ডিত মশাই তাহার শ্রেনীতে অলস পাঠ্যদানপূর্বক গমন ঘটিলো। হঠাত কোনো প্রধান হেতু ছাড়াই(কুদ্দুস তখন ঝিমাইতেছিলো যাহা তাহার কাছে কোনো প্রধান হেতু নহে) উক্ত পন্ডিত মশাই তাহার দিকে উচ্চস্বরে চিতকার করিলো,"ওহে, তোমার নাম কি হে?" কুদ্দুস গেন্দাকাল হইতেই জানিতো তাহার নাম খানা কিছুবা কটু, অথবা কিছুবা হাস্যোউদ্দীপক, তাই তুতলাইতে তুতলাইতে হাত কচলাইতে লাগিলো আর বলিতে লাগিলো, "আজ্ঞে......আজ্ঞে......আজ্ঞে!" -কি হে, তোর নাম কি এখনও অব্দি ভূমিষ্ট হয় নাই? ততক্ষনাত পিছন দিক হইতে এক দুষ্ট শব্দ বলিয়া উঠিলো,"আরে ঐ কুদ্দুইচ্যা, নাম কও!" পন্ডিত মহাশয় নিজেকে সামলাইতে সামলাইতে প্রমাদ গুনিলো," কুদ্দুস-পুলাপানের ন্যায় চুপ করিয়া কেন, নাম কি ভুলিয়া গেছিস?" পিছন থেকে আরেক দুষ্ট গ্রহ শব্দ মারিলো,"আরে কুদ্দুস নিকি, তোর নামটা বল্ দেখি নিকি!" কুদ্দুস রাগে দুঃখে ক্ষোভে শুধু ঐ শ্রেনী কক্ষ নহে উক্ত বিদ্যালয়কে শেষ সালাম ঠুকিয়া বিদায় লইলো। অগত্যা ধনী পিতার ভাদাইম্মা পুলাটিকে উদাসীর আশায় পাঠাইয়া দেওয়া হইলো বিটকাইলা জনপদ ঢাকায়। এহেন গল্প শুনিয়া উদাসীর মনে হইলো," কুড়কা আজকের ন্যায় সেধিলো ডেরায়!" "চলিবেক"

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.