আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

পেটে বিপুল গ্যাস, লিক হইলে শেষ! আমার রোজ নামচা:১৯/০৮/২০০৭!

আসেন দুর্নীতি করি। আর এই দুনিয়াটাকেই খুচাই!

(+18) আবার শুরু হইলো রবিবার, কেনো যে এইদিনে কান্না আসে? এমন কান্না যে বৌ পলাইলেও এমুন কান্না আসতো না, অথবা ফাও টাকার বিজনেসে লস খাইলেও এত দুঃখ পাইতাম না, অথবা যমুনার বাধ ভাইঙ্গা গেলেও আমার মন এমুন বেহাল হইতো না। উঠিলাম কতো সকালে মানে ৬:১৫ তে। কিছুক্ষন বইসা ঝিমাইলাম। মাগার ঘড়িতে চাইয়া দেখি ৬:৪৫।

হায় হায়! দুই মিনিট ধইরা ঝিমাইলাম ৩০ মিনিট শেষ। খাটটারে মনে হইলো টাইম মেশিন!(আম্মাআআ) মনে রাগে দুঃখে কান্না বিজড়িত মনে গমন করিলাম বাথরুমে। প্রকৃতিতে ভোগের নিত্যতার সূত্রের ব্যালেন্স ঘটাইলাম, অতঃপর সাত সকালে গোসল, মনে হইলো মৃত্যুপূর্বে জাহান্নামের শাস্তি। তবু মনে বল পাইলাম পেটের চিন্তা করতে করতে। ৭:১৫টায় খাইতে বসিলাম।

টিভি চ্যনেল খুলিলাম এবং যথারীতি আমার পছন্দের চ্যানেল গুলান বন্ধ পাইলাম, মন তো যায় ডিশআলারে ধইরা কানে ধইরা মাথায় ঘোল ঢাইলা মাজার রোডে যত গার্লস স্কুল আর কলেজ আছে তার সামনে দিয়া ঘুরাই। মাগার কেমতে, ডিশের পো জইস্যা ৩ দিন ধইরা ডিশ গ্রাহকগো ডরে এলাকা ছাড়া। কষ্টে সৃষ্টে ৮:৪৫ এ একুশের জন্য দাড়াইলাম। ডাইনে বায়ে তাকাইলাম, হঠাত দেখি রেগুলার সিটি কলেজে যাওয়া মহিলাটা আজকে লাল শাড়ী পরে আছে, মনে হইলো বেহেশতের হুর এইবার গাবতলী ভ্রমনে আসিয়াছে। আমি মনের ভুলে তাকাইয়া থাকলাম তার দিকে।

হঠাত কাউন্টারের ছেলেটা আইসা বললো,"ভাই, আপনি গুলশান ১ যাইবেন না? গাড়ীতো চইলা গেল!" আমি তাকাইয়া দেখি গাড়িটা সত্যিই চইলা গেল, বাতাসে খাবী খাইলাম। ওরে কইলাম," আমি ভাবছিলাম আত্তিয়, পরে বুঝলাম আত্তিয় না, তো গাড়ী আসলো ডাক দিবি না!" -আরে আপনেরে কতক্ষন ধইরা চিল্লাইয়া কইতাছি গাড়ি গেলোগা, আপনি দেহি কারে দেইখা বাউল হইয়া গেলেন! কপালে আমার ঘাম ছুইটা গেল, আইজকাও দেরী। উঠিলাম পরের বাসে বসিলাম মাঝখানের সীটে। আমার সীটের সামনের সীটটা আবার নাই, উঠাইয়া নেয়া হইছে। বাসে যখন ভীড় বেড়ে গেল, তখন আমার সামনে যথারীতি তিনজন মহিলা দাড়াইয়া।

তাদের দেইখা সাথে সাথে আমার পাশের দুই বুইড়া উইঠা গেল। আমি বইসা ছিলাম জানালার পাশে। আমি ভাবলেশহীন থাকিলাম। এখন তিনজন মহিলা আর দাড়িয়ে থাকা বুড়া টাইপ দুইজন আমার দিকে আড় চোখে তাকাইতে লাগিলো, আর আমি বাইরের দৃশ্যাবলী উপভোগ করিতে লাগিলাম। আহ কি সুন্দর! আমার উস্তাদ শের-এ গুজরান খা ছবক দিয়াছিলেন," দুই মহিলা পাশাপাশী বসিলে কুটনামী হয়, আর তিনজন একসাথে বসিলে করে ঝগড়া, তাই সর্বদা এদের কাছাকাছি থাকিবা, কেননা এদের কথায় হু হা করিলে লাইন মারিবার সুযোগ পাইবা!" মিনিট দশেক যাইতে না যাইতেই প্রথম বাক্য ছাড়িলো দাড়ায় থাকা বুড়া র‌্যাংগস বিল্ডিং নিয়া, তারপর আড্ডা মোড় নিল যুব সমাজের নৈতিক অবক্ষয়।

সুন্দরী মহিলা তিনটাও কম যায় না। ক্যাট ক্যাট শুনিয়া আমার বাসে ঘুমানোর কোটা খানি চাঙ্গে উঠিলো। খিটখিটা মেজাজে মনে পড়িলো পকেটে আছে এফএম রেডিও। কানে দিয়া সীটে হেলান দিয়া ঘুমান শুরু করিলাম আর বুঝিলাম আলোচনার রেশ পুরা বাসে জাকিয়া বসিয়াছে! বাস থিকা নামিয়া এক লাটসাহেবী রিক্সায় উঠিলাম। রবিবার আমার চরম বিলার দিন।

ভাড়া নিয়া যথাসম্ভব ভাঙটি নাই বলিয়া ৬টাকার ভাড়া ১০টাকা পকেটস্হ করিলো চাল্লু রিক্সাওয়ালা! যথারীতি অফিসে দেরী করিয়া ঢুকিলাম, ভাবিলাম আজকে ব্লগে যাহাকে পাইবো খুচাইয়া তাল গাছে উঠাইবো। টানা ১২:০০টা পর্যন্ত খুচাইলাম। তারপর অফিসের মাগনা কফি, কনফারেন্স রুমের আড্ডা, লান্ঞ্চ, কিছু টেলিফোন হাবি জাবি সাথে ফাওতাল ব্লগিং। কিছুদিন ধইরা এজের বহুসমস্যা। ক্যাপাসিটি যদি বাড়ানো হয় ১০টা, সাবস্ক্রাইবার বাড়ে ১০০ টা।

সবাই বিটিএসের দিকে চাইয়া থাকে কখন কাজ হবে আর কখন পি২ এ্যাকটিভেট করবে। বুঝতে পারছি না ক্যাপাসিটি স্যাচুরেশনে আসলে কি অবস্হা হবে? এদিকে সিআইসি গুলো নিয়ে বেশ টেনশন! যাই হোক চ্যালেন্জ্ঞ থাকবোই! কোয়ালিটি অব সার্ভিস মেইনটেইন হইবোই। অফিস থিকা বাইর হইলাম ৬:৩০টায়। উঠলাম অফিসের গাড়ীতে উইঠাই দিলাম ঘুম মাগার শান্তি নাইরে জরিনা! ফোন আসা বন্ধ হয় না। বাসা পৌছাইলাম ৮:০০টায় আর লুকাল ক্লাব কাম জীমে পৌছাইলাম ৮:৪০ এ।

মৌজমত ট্রাইসেপস আর আর চেস্টের আইটেম গুলান প্রাকটিস করিলাম, কিন্তু বেলী মারতে গিয়া দেখলাম ১১:০০টা। এদিকে বেলীটাও বাড়তাছে। বুঝতে পারলাম বয়স হচ্ছে, এখন হার্ড গেইন ধরতে হবে, কিন্তু সময় কৈ? আজকা আবার পুলাপানও নাই। কয়দিন ধইরা এলাকায় বেশ সাদা পোশাকী লোক ঘুইড়া বেড়ায় রাইতের আধার। কার ঘাড়ে হাত দিয়া চল আমাগো লগে, কে জানে! বাসায় ফিরিলাম ১১:৩০টায়! খাইতে খাইতে রেসলিং দেখিলাম আর মোবাইল সেটে দেখিলাম ২৫টা মিসড কল।

২টা বাজল ৪০% কল ব্যাক করতে। (খাইয়ালামু) আর পারি না, পেটে আবার কয়দিন ধইরা বেশ গ্যাস হইতাছে, আর গ্যাস হইলেই মনে পইড়া যায় কুটিকালের সেই প্যারোডী: পেটে বিপুল গ্যাস, লিক হইলে শেষ!

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।