কথায় বলে কুত্তার পেটে ঘি সয় না। ব্যাপারটা সত্যের কাছাকাছি না হলেও কিন্তু একেবারে মিথ্যা না। ব্যাপার টা খুলেই বলি।
সে অনেক আগের কথা। আমি তখন অনেক ছোট।
আমাদের একটা পোষা কুকুর ছিলো। মন্টু বলে ডাকতাম আমরা। সে সময় আমার বড় বোনের বিয়েতে বিশাল এক মেজবানের আয়োজন করা হয়। সেই মেজবানের উচ্ছিষ্ঠ খেয়ে আমাদের মন্টু পেট ফুলে মারা যায়। আমাদের সবার এইদিকে মন খারাপ আর অন্য দিকে পাড়ার সবার সেকি মজা!কানাঘুষো আর হাসাহাসি এই বলে যে "কুত্তার পেটে ঘি সয় না"।
উপরের প্রবাদটির সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ দুই একটি ঘটনা আমাদের জীবনেও যে ঘটে যায় তার একটি প্রমাণ হলো নিচের এই গল্প। প্রিয় পাঠক,শুনুন একটু মন দিয়ে। আশাকরি ভালো লাগবে আপনাদের।
এক ছিলো আড়তদার। বিশাল তার আড়ত যেখানে প্রচুর কুলি-মুটে কাজ করে।
একদিন আড়তদার এর বাড়িতে কিছু কাজ পড়লো। তো আড়তদার একজন মুটে কে ডেকে নিয়ে গেলেন সঙ্গে করে বাড়িতে কাজ করার জন্য।
সারাদিন ঐ মুটে আড়তদার এর বাড়িতে এটা সেটা কাজ করলো এবং কাজ শেষ করতে করতে এক সময় রাত হয়ে গেলো বিধায় মুটে সেদিন আর নিজের বাড়ি ফিরতে পারলো না।
পরদিন মুটে যথারীতি আড়ত এ কাজে যোগদান করলো। অন্যান্য মুটে রা এই মুটের কাছে প্রবল উৎসাহে জানতে চাইলো, কি রে, কাল তো গেছিলি বড় বাবুর বাড়ি।
কি করলি,কি খেলি, এই সেই আরও অনেক কিছু।
মুটে উত্তরে শুধরালো,
আরেঃ আর বলিস না।
খেলুম তো খেলুম। কাম করতি করতি নাত (রাত) হয়ে গেলি।
নাত্তিরে দেউরিতে (কাছারি ঘরে)শুতি দিলি।
বাবুরে কলাম(বললাম), বাবু, এক খান ধাইরা পাটি (বাঁশের বেতের তৈরী এক ধরণের শক্ত পাটি)দেন।
বাবু তো দেলেন না।
দেলেন একখান শেতল (শীতল) পাটি।
সারারাত ঘুম তো হলো না, হলো শুধু পিছ্লা-পিছ্লি।
প্রিয় পাঠক, কি বুঝলেন!!!!????
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।