(সম্পুর্ন নোটিশটি বিজয় থেকে ইউনিকোড এ পরিবরতন করা হয়েছে, তাই কিছু জায়গায় পড়তে অসুভিধা হতে পারে, তাই নোটিশটি ডাউনলোড করতে পারেন >>>>>এই লিঙ্ক থেকে )
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়
স্নাতক (সম্মান) ও বিবিএ ১ম বর্ষে ভর্তি নির্দেশিকা
শিক্ষাবর্ষঃ ২০১৩-২০১
[জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে সেমিস্টার পদ্ধতিতে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে]
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় পরিচিতি
অগ্রসরমান বিশ্বের সাথে উচ্চশিক্ষার বিভিন্ন ক্ষেত্রে সঙ্গতি রক্ষা ও সমতা অর্জন এবং জাতীয় পর্যায়ে উচ্চশিক্ষা, গবেষণা, আধুনিক জ্ঞানচর্চা ও পঠন-পাঠনের সুযোগ সৃষ্টি ও সম্প্রসারণের উদ্দেশ্যে বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ কর্তৃক অনুমোদিত ২০০৫ সনের ২৮নং আইনের মাধ্যমে ঐতিহ্যবাহী জগন্নাথ সরকারি কলেজটি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরিত হয় এবং ২০০৫ এর ২০ অক্টোবর একটি প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে এটি একটি পূর্ণাঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে স্বীকৃতি পায়। ৮ ফেব্র“য়ারী, ২০০৬ তারিখে উপাচার্য নিয়োগের মধ্য দিয়ে পূর্ণাঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে কার্যক্রম শুরু হয়। বিলুপ্ত সরকারি জগন্নাথ কলেজ ক্যাম্পাসের ১১.১১ একর (প্রায়) জমির উপর বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ক্যাম্পাস অবস্থিত।
১৮৬৮ সালে জগন্নাথ রায় চৌধুরী বর্তমান ক্যাম্পাসে জগন্নাথ স্কুল নামে একটি স্কুল প্রতিষ্ঠা করেন। স্কুলটি প্রতিষ্ঠার পর এর খ্যাতি ও প্রসারে অনুপ্রাণিত হয়ে জগন্নাথ রায় চৌধুরীর পুত্র কিশোরী লাল রায় চৌধুরী ১৮৮৪ খ্রিস্টাব্দে এটিকে কলেজে রূপান্তরিত করেন।
ব্রিটিশ ভারতে শিক্ষা সম্প্রসারণের লক্ষে ১৮৮৪ সালে জগন্নাথ স্কুলকে ‘ঢাকা জগন্নাথ কলেজ’-এ উন্নীত করা হয়। ভারত উপমহাদেশে যে কয়টি বড় কলেজ স্বীয় বৈশিষ্ট্যের জন্য সুপরিচিত, ঢাকা জগন্নাথ কলেজ ছিল তার মধ্যে অন্যতম। পরবর্তীতে ১৮৯৭ সালে শিক্ষা বিভাগের নির্দেশে স্কুল ও কলেজ শাখা পৃথক হয়ে যায় এবং স্কুলের নাম হয় ‘কিশোরী লাল জুবিলী স্কুল’ (বর্তমানে কে.এল.জুবিলী স্কুল)।
১৯২০ সালে ভারতীয় খবমরংষধঃরাব ঈড়ঁহপরষ এ “ঔধমধহহধঃয ঈড়ষষবমব অপঃ” আইন পাস করে নথিভূক্ত করা হয়। ১৯২০ সনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থাপনা উপলক্ষে ট্রাস্টি বোর্ডের অবসান ঘটে এবং অ্যাক্ট ১৬, ১৯২০-এর আওতায় জগন্নাথ কলেজের সমস্ত সম্পত্তি, দায়দেনার ভার স্থানীয় সরকারের হাতে ন্যস্ত করা হয়।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার সঙ্গে সঙ্গে কলেজটিতে স্নাতক পর্যায়ের পাঠ্যক্রমে শিক্ষার্থী ভর্তি বন্ধ হয়ে যায় এবং এটি ‘জগন্নাথ ইন্টারমেডিয়েট কলেজ’ নামে প্রতিষ্ঠা লাভ করে। এর ২৮ বছর পর ১৯৪৯ সালে পুনরায় এখানে স্নাতক পাঠ্যক্রম শুরু হয়।
১৯৬৮ সালে জগন্নাথ কলেজকে ‘সরকারি কলেজ’ এ রূপান্তরিত করা হয়। স্বাধীনতার পর ১৯৭৫ সালে এখানে সম্মান ও স্নাতকোত্তর পাঠ্যক্রম চালু হয়। পরে এটিকে বিশ্ববিদ্যালয় কলেজে রূপান্তর করা হয়।
১৯৮২ সাল থেকে এখানে উচ্চ মাধ্যমিক শ্রেণীতে ভর্তি বন্ধ করা হয়। ১৯৯১-৯২ শিক্ষাবর্ষ থেকে সরকারি জগন্নাথ কলেজ এর শিক্ষা কার্যক্রম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবর্তে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে পরিচালিত হয়।
বিলুপ্ত সরকারি জগন্নাথ কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে রূপান্তরিত হওয়ার পর উচ্চ শিক্ষার গুণগত মান উন্নয়নের লক্ষ্যে অবকাঠামোগত উন্নয়নসহ একাডেমিক কর্মকান্ড যেমন-একাডেমিক ও প্রশাসনিক, লাইব্রেরী উন্নয়ন, বৈজ্ঞানিক যন্ত্রপাতি ক্রয়, বই-পুস্তক ও জার্নাল সংগ্রহ, উচ্চতর গবেষণা ও প্রশিক্ষণ ইত্যাদি কর্মকান্ডে অগ্রাধিকার প্রদান করা হচ্ছে। ভর্তি প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা আনয়নের লক্ষ্যে ২০০৫-২০০৬ শিক্ষাবর্ষ থেকে ঈড়সঢ়ঁঃবৎরুবফ ঝুংঃবস-এ ভর্তি প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছে। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় আইন-২০০৫ অনুযায়ী ২০০৫-২০০৬ শিক্ষাবর্ষ থেকে সকল বিভাগে সেমিস্টার পদ্ধতিতে পাঠদান কার্যক্রম চালু করা হয়েছে।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে বর্তমানে ০৬টি অনুষদ, ৩১টি বিভাগ ও একটি ইংলিশ ল্যাংগুয়েজ সেন্টার রয়েছে। বর্তমানে শিক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় উনিশ হাজার এবং শিক্ষক সংখ্যা প্রায় সাড়ে চারশত। ২০১৩-২০১৪ শিক্ষাবর্ষ থেকে সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের অধীন ‘লোক প্রশাসন বিভাগ’ এবং কলা অনুষদের অধীন ‘ড্রামা এন্ড মিউজিক বিভাগ’ ও ‘ফাইন আর্টস এন্ড গ্রাফিক্স বিভাগ’ চালু হয়েছে। এছাড়াও চলতি শিক্ষাবর্ষ থেকে এ বিশ্ববিদ্যালয়ে গইঅ (ঊাবহরহম) চৎড়মৎধস এবং আইন বিভাগে খখগ (ঊাবহরহম) চৎড়মৎধস চালু হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের অধীন বর্তমান শিক্ষাবর্ষ হতে গ.চযরষ. ও চয.উ. প্রোগ্রামে ভর্তি কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
স্নাতক (সম্মান) ও বিবিএ ১ম বর্ষে ভর্তি বিজ্ঞপ্তি
শিক্ষাবর্ষঃ ২০১৩-২০১৪
১. জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ২০১৩-২০১৪ শিক্ষাবর্ষে ৪ বছর মেয়াদী স্নাতক (সম্মান) ও বিবিএ ১ম বর্ষে ভর্তির জন্য নিম্নোক্ত যোগ্যতা সম্পন্ন শিক্ষার্থীদের নিকট থেকে ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য এসএমএস এর মাধ্যমে আবেদন আহ্বান করছে। ১৩/০৯/২০১৩ তারিখ দুপুর ১২.০০টা হতে ১০/১০/২০১৩ তারিখ রাত ১২.০০টা (যে কোন দিনে যে কোন সময়ে) পর্যন্ত আবেদন করা যাবে। আবেদন ফি টেলিটকের সার্ভিস চার্জসহ মোট ৩৫০/- (তিনশত পঞ্চাশ) টাকা মাত্র যা টেলিটক প্রিপেইড মোবাইলের মাধ্যমে পরিশোধযোগ্য।
২. আবেদন করার সাধারণ যোগ্যতা
ক) যে সকল ছাত্র-ছাত্রী ২০১০ বা ২০১১ সালে এস.এস.সি./সমমান এবং ২০১২ বা ২০১৩ সালে এইচ.এস.সি./সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ।
খ)(র) ছাত্র-ছাত্রী যে যে ইউনিটে পরীক্ষা দিতে ইচ্ছুক তাকে সেই সেই ইউনিটে পৃথকভাবে আবেদন করতে হবে।
উল্লেখ্য, শর্ত পূরণ সাপেক্ষে সকল ইউনিটে সকল শাখার ছাত্র-ছাত্রী আবেদন করতে পারবে। সকল ইউনিটে বিভাগ/শাখা ভিত্তিক (কলা, বিজ্ঞান, ব্যবসায় শিক্ষা ও অন্যান্য) আসন বন্টনের বিস্তারিত বিবরণ ওয়েবসাইটে ভর্তি নির্দেশিকায় পাওয়া যাবে।
(রর) ‘অ’, ‘ই’, ‘ঈ’ ও ‘উ’ ইউনিটের জন্য প্রার্থীদের এস.এস.সি./সমমান ও এইচ.এস.সি./সমমান উভয় পরীক্ষায় মোট প্রাপ্ত জিপিএ বিজ্ঞান, ব্যবসায় শিক্ষা, ভোকেশনাল, ডিপ্লোমা ইন বিজনেস স্টাডিজ, ডিপ্লোমা ইন কমার্স ও ডিপ্লোমা ইন বিজনেস ম্যানেজমেন্ট শাখার জন্য ৭.৫ এবং অন্যান্য শাখার জন্য ৭.০, তবে এস.এস.সি./সমমান অথবা এইচ.এস.সি./সমমান কোন পরীক্ষায় প্রাপ্ত জিপিএ ৩.০ এর নীচে নয়।
(ররর)‘ঊ’ ইউনিটে ভর্তির আবেদনের ক্ষেত্রে এইচ.এস.সি./সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীদের এস.এস.সি./সমমান ও এইচ.এস.সি./সমমান উভয় পরীক্ষায় মোট প্রাপ্ত জিপিএ বিজ্ঞান, ব্যবসায় শিক্ষা, ভোকেশনাল, ডিপ্লোমা ইন বিজনেস স্টাডিজ, ডিপ্লোমা ইন কমার্স ও ডিপ্লোমা ইন বিজনেস ম্যানেজমেন্টসহ সকল শাখার জন্য ৬.৫, তবে এস.এস.সি./সমমান অথবা এইচ.এস.সি./সমমান কোন পরীক্ষায় প্রাপ্ত জিপিএ ২.৫ এর নীচে নয়।
গ) সকল ইউনিটের জন্য জিসিই ‘ও’ লেভেল পরীক্ষায় অন্ততঃ ৩টি বিষয়ে ‘সি’-গ্রেডসহ ন্যূনতম ৫টি বিষয়ে উত্তীর্ণ এবং ২০১২ বা ২০১৩ সনের ‘এ’ লেভেল পরীক্ষায় অন্ততঃ ২টি বিষয়ে ‘সি’-গ্রেডসহ উত্তীর্ণ।
ঘ) ৪র্থ বিষয়সহ মোট জিপিএ গণনা করা হবে।
৩. মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ভর্তির আবেদন প্রক্রিয়া
ক) ভর্তি পরীক্ষার আবেদনের জন্য একটি টেলিটক প্রিপেইড মোবাইল ফোন থেকে ১৬২২২ নম্বরে এসএমএস করতে হবে।
খ) একটি টেলিটক প্রিপেইড মোবাইল ফোনের মাধ্যমে মেসেজ অপশনে গিয়ে ঔঘট লিখে, স্পেস দিয়ে এইচএসসি শিক্ষাবোর্ডের নামের প্রথম তিনটি অক্ষর লিখে, স্পেস দিয়ে এইচএসসি পরীক্ষার রোল নম্বর লিখে, স্পেস দিয়ে এইচএসসি পাশের সাল লিখে, স্পেস দিয়ে এসএসসি শিক্ষাবোর্ডের নামের প্রথম তিনটি অক্ষর লিখে, স্পেস দিয়ে এসএসসি পরীক্ষার রোল নম্বর লিখে, স্পেস দিয়ে এসএসসি পাশের সাল লিখে, স্পেস দিয়ে কাঙ্খিত ইউনিট এর কী-ওয়ার্ডটি (কবু ডড়ৎফ) লিখে ১৬২২২ নম্বরে এসএমএস করতে হবে। ইউনিট সমূহের কী-ওয়ার্ডঃ বিজ্ঞান ও লাইফ এন্ড আর্থ সায়েন্স অনুষদ-অ, কলা ও আইন অনুষদ-ই, বিজনেজ স্টাডিজ অনুষদ-ঈ, সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ-উ ও ড্রামা এন্ড মিউজিক ও ফাইন আর্টস এন্ড গ্রাফিক্স-ঊ .
উদাহরণঃ ঔঘট উঐঅ ১২৩৪৫৬ ২০১৩ উঐঅ ১২৩৪৫৬ ২০১১ অ উদাহরণটি ঢাকা বোর্ডের এবং জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অ ইউনিটের জন্য। এখানে ১২৩৪৫৬ এর জায়গায় যথাক্রমে আবেদনকারীর নিজের এইচএসসি এবং এসএসসি পরীক্ষার রোল নম্বর দিতে হবে।
কেউ ২০১২ সালে এইচএসসি পাশ করে থাকলে ২০১৩ এর জায়গায় ২০১২ লিখতে হবে।
* কোটায় ভর্তিচ্ছু আবেদনকারীর ক্ষেত্রে
নিম্নোক্ত নির্দিষ্ট কোটায় আবেদন করতে উপরের নিয়ম অনুযায়ী ১৬২২২ নম্বরে নিম্নরূপে এসএমএস করতে হবেঃ-
মুক্তিযোদ্ধার সন্তান কোটা (ঋঋছ)/মুক্তিযোদ্ধার নাতি-নাতনি কোটা (ঋঋএ)/ওয়ার্ড কোটা (ডছ)/উপজাতি কোটা (ঞছ)/শারীরিক প্রতিবন্ধী কোটা (চউছ)
উদাহরণঃ ঔঘট উঐঅ ১২৩৪৫৬ ২০১৩ উঐঅ ১২৩৪৫৬ ২০১১ অ ঋঋছ
উদাহরণটি ঢাকা বোর্ডের এবং জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অ ইউনিটের মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কোটা (ঋঋছ)-এর জন্য।
বি :দ্র : কোটায় ভর্তিচ্ছু প্রার্থীদের অবশ্যই ঝগঝ-এর মাধ্যমে আবেদনের সময় কোটা উল্লেখ করতে হবে। পরবর্তীতে কোটায় অন্তর্ভুক্তির জন্য কোন আবেদন বিবেচনা করা হবে না।
গ) বিভিন্ন বোর্ডের জন্য লিখতে হবে বরিশাল (ইঅজ), চট্রগ্রাম (ঈঐও), কুমিল্লা (ঈঙগ), ঢাকা (উঐঅ), দিনাজপুর (উওঘ), যশোর (ঔঊঝ), মাদরাসা (গঅউ), রাজশাহী (জঅঔ), সিলেট (ঝণখ), ভোকেশনাল (ঠঙঈ), ডিপ্লোমা ইন বিজনেস স্টাডিজ (উওই), ডিপ্লোমা ইন কমার্স (উওঈ), ডিপ্লোমা ইন বিজনেস ম্যানেজমেন্ট (ঐইগ)।
ঘ) উপরের এসএমএস টি পাঠানোর পর সকল তথ্য সঠিক হলে এবং ভর্তির ন্যূনতম যোগ্যতা থাকলে ফিরতি এসএমএস-এ আবেদনকারীর নাম, ভর্তি পরীক্ষার ফি ও একটি চওঘ জানিয়ে সম্মতি চাওয়া হবে। তখন ১৬২২২ নম্বরে আবেদনকারীকে আরেকটি এসএমএস পাঠিয়ে সম্মতি জানাতে হবে। সম্মতি জানানোর জন্য প্রথমে ঔঘট লিখে, স্পেস দিয়ে ণঊঝ লিখে, স্পেস দিয়ে চওঘ নম্বর লিখে, স্পেস দিয়ে আবেদনকারীকে যোগাযোগের জন্য নিজে ব্যবহার করতে পারে এমন যে কোন অপারেটর এর একটি মোবাইল নম্বর লিখে ১৬২২২ নম্বরে এসএমএস পাঠাতে হবে। উল্লেখ্য, এসএমএস-এর ক্ষেত্রে ঝসধষষ বা ঈধঢ়রঃধষ যে কোন ষবঃঃবৎ ব্যবহার করা যাবে।
উদাহরণঃ ঔঘট ণঊঝ ৬৫৪৩২১ ০১ঢঢঢঢঢঢঢঢঢ
এই উদাহরণের ৬৫৪৩২১ এর জায়গায় আবেদনকারীর নিজ চওঘ নম্বরটি বসাতে হবে।
উল্লেখ্য যে, সম্মতি জানিয়ে এসএমএস পাঠালেই কেবল আবেদনকারীর মোবাইল ফোন থেকে ভর্তি পরীক্ষার ফি ৩৫০/- টাকা কেটে নেয়া হবে, অন্যথায় কোন ফি কাটা হবে না।
ঙ) আবেদনকারীর টেলিটক প্রিপেইড মোবাইলে পর্যাপ্ত পরিমাণ টাকা থাকলে তা থেকে ভর্তি পরীক্ষার নির্দিষ্ট ফি কেটে নিয়ে একটি এসএমএস এর মাধ্যমে সাথে সাথেই ভর্তি পরীক্ষার রোল নম্বর জানিয়ে দেয়া হবে। একবার এসএমএস করে আবেদন করলে তা আর প্রত্যাহার করা যাবে না।
চ) লক্ষণীয় যে, একটি টেলিটক মোবাইল ফোনের মাধ্যমে একাধিক আবেদন করা যাবে, তবে আবেদনের দ্বিতীয় ধাপে সম্মতি জানানোর সময় যোগাযোগের জন্য আবেদনকারী ব্যবহার করতে পারে এমন যে কোন অপারেটর-এর পৃথক পৃথক মোবাইল ফোন নম্বর দেয়া ভালো।
ছ) ‘ও’/‘এ’ লেভেলের ক্ষেত্রে আবেদনকারীকে উপরের নিয়ম অনুযায়ী ১৬২২২ নম্বরে এসএমএস করতে হবে।
এক্ষেত্রে বোর্ডের নামের জায়গায় এঈঊ লিখতে হবে।
উদাহরণঃ ঔঘট এঈঊ ১২৩৪৫৬ ২০১২ অ এখানে ১২৩৪৫৬ এর জায়গায় আবেদনকারীর অ-ষবাবষ এর নিজ নিজ পধহফরফধঃব নম্বরটি বসাতে হবে।
জ) উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় অথবা বিদেশ থেকে এইচএসসি/সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীকে বোর্ডের নামের জায়গায় ঙঞঐ লিখতে হবে।
উদাহরণঃ ঔঘট ঙঞঐ ১২৩৪৫৬ ২০১৩ অ এখানে ১২৩৪৫৬ এর জায়গায় আবেদনকারীর শুধুমাত্র এইচএসসি/সমমানের পরীক্ষার রোল নম্বর/ডাটা বসাতে হবে।
৪. ভর্তি পরীক্ষার আসন বিন্যাস ও ভর্তি পরীক্ষার দিনে আবেদনকারীর করণীয়
ক) সফলভাবে আবেদনকৃত শিক্ষার্থীদের ভর্তি পরীক্ষার তারিখ, সময় ও আসন বিন্যাস এসএমএস, বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট ও ‘সময়’ টিভি এর মাধ্যমে জানানো হবে।
খ) সফলভাবে আবেদনকৃত শিক্ষার্থীদের ভর্তি পরীক্ষার দিনে এইচ.এস.সি./সমমান-এর মূল রেজিস্ট্রেশন কার্ড ও তার দুই কপি ফটোকপি এবং সম্প্রতি তোলা দুই কপি রঙিন পাসপোর্ট সাইজের ছবির পিছনে স্বহস্তে পরীক্ষার্থীর নাম, ঝগঝ-এর মাধ্যমে প্রাপ্ত রোল নম্বর বাংলায় ও ইংরেজিতে লিখে উক্ত ছবি দুটির প্রত্যেকটি পৃথকভাবে ফটোকপিকৃত রেজিস্ট্রেশন কার্ডের বাম দিকে উপরে স্ট্যাপলার পিন দিয়ে সংযুক্ত করে অবশ্যই সঙ্গে নিয়ে আসতে হবে। রেজিস্ট্রেশন কার্ডের ফটোকপির উপরের অংশে স্বহস্তে নাম ও উক্ত রোল নম্বর বাংলা ও ইংরেজিতে লিখতে হবে।
গ) বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ পরীক্ষার হলে পরীক্ষার্থী কর্তৃক আনিত এইচ.এস.সি./সমমান পরীক্ষার ফটোকপিকৃত দুটি রেজিস্ট্রেশন কার্ডের একটি শিক্ষার্থীকে প্রবেশপত্র হিসেবে প্রদান করবে। অন্যটি পরীক্ষার হলে জমা রাখা হবে এবং বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তা সংরক্ষণ করবে।
ঘ) পরীক্ষা কেন্দ্রে পরীক্ষার্থীর সাথে মোবাইল ফোন বা যোগাযোগ করা যায় এরূপ ইলেকট্রনিক ডিভাইস এবং প্রোগ্রাম করা যায় এরূপ ক্যালকুলেটর আনা সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ।
কোন পরীক্ষার্থীর কাছে উল্লিখিত ফোন, ডিভাইস বা ক্যালকুলেটর পাওয়া গেলে তা বাজেয়াপ্তসহ উক্ত পরীক্ষার্থীর পরীক্ষা বাতিল করা হবে।
৫। ভর্তি পরীক্ষার বিষয় ও নম্বর বন্টন
ক) বিভিন্ন ইউনিটে ভর্তি পরীক্ষার বিষয়
‘অ’ ইউনিটঃঃ উচ্চ মাধ্যমিকে ‘বিজ্ঞান’ শাখার শিক্ষার্থীঃ র) পদার্থবিজ্ঞান, রর) রসায়ন, ররর) জীববিজ্ঞান ও রা) গণিত;
যাদের জীববিজ্ঞান অথবা গণিত বিষয় নাই তাদের ক্ষেত্রে ইংরেজি;
ঃ উচ্চ মাধ্যমিকে ‘বিজ্ঞান’ ব্যতীত অন্যান্য শাখার শিক্ষার্থীঃ র) বাংলা, রর) ইংরেজি ও ররর) সাধারণ জ্ঞান;
‘ই’ ইউনিটঃঃ র) বাংলা / এডভান্সড ইংরেজি (শুধুমাত্র জিসিই শাখার জন্য), রর) ইংরেজি ও ররর) সাধারণ জ্ঞান;
‘ঈ’ ইউনিটঃঃ উচ্চ মাধ্যমিকে ‘ব্যবসায় শিক্ষা’ শাখার শিক্ষার্থীঃ র) ইংরেজি, রর) গাণিতিক বুদ্ধিমত্তা পরীক্ষা ও ররর) হিসাববিজ্ঞান এবং ব্যবসায় নীতি ও প্রয়োগ;
ঃ উচ্চ মাধ্যমিকে ‘ব্যবসায় শিক্ষা’ ব্যতীত অন্যান্য শাখার শিক্ষার্থীঃ র) ইংরেজি, রর) গাণিতিক বুদ্ধিমত্তা পরীক্ষা ও ররর) সাধারণ জ্ঞান;
‘উ’ ইউনিটঃঃ র) বাংলা / এডভান্সড ইংরেজি (শুধুমাত্র জিসিই শাখার জন্য), রর) ইংরেজি ও ররর) সাধারণ জ্ঞান।
‘ঊ’ ইউনিটঃঃ র) বাংলা / এডভান্সড ইংরেজি (শুধুমাত্র জিসিই শাখার জন্য), রর) ইংরেজি ও ররর) সাধারণ জ্ঞান (শিল্প ও সংস্কৃতি বিষয়ক)। লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ পরীক্ষার্থীদের মধ্য থেকে মেধাতালিকা অনুসারে আসন সংখ্যার সর্বোচ্চ পাঁচ (৫) গুণ পরীক্ষার্থীর সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে আরো ২৫ নম্বরের চবৎভড়ৎসধহপব ঞবংঃ নেয়া হবে।
চবৎভড়ৎসধহপব ঞবংঃ এ কমপক্ষে ৮ (আট) নম্বর পেতে হবে। লিখিত পরীক্ষা ও চবৎভড়ৎসধহপব ঞবংঃ এর ফলাফলের ভিত্তিতে চূড়ান্ত মেধাতালিকা প্রস্তুত করা হবে। উল্লেখ্য যে, ‘ঊ’ ইউনিটে ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীরা কোনভাবেই বিভাগ পরিবর্তন করতে পারবে না।
খ) ভর্তি পরীক্ষার মোট নম্বর ৭২, সময় ১ ঘন্টা (অন্যান্য কার্যাবলী সম্পন্নসহ ১ ঘন্টা ৩০ মিনিট)। ‘অ’ ইউনিটে উচ্চ মাধ্যমিকে ‘বিজ্ঞান’ শাখার শিক্ষার্থীদের প্রত্যেককে চারটি বিষয়ের প্রতিটিতে ১৮টি করে মোট ৭২টি, বিজ্ঞান শাখা ব্যতীত অন্যান্য শাখার শিক্ষার্থীদের এবং ‘ই’, ‘ঈ’, ‘উ’ ও ‘ঊ’ ইউনিটে প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে তিনটি বিষয়ের প্রতিটিতে ২৪টি করে মোট ৭২টি প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে, প্রতিটি প্রশ্নের মান ১.০০।
প্রতি ভুল উত্তরের জন্য ০.২৫ নম্বর কাটা যাবে।
৬। বিভিন্ন ইউনিটের অন্তর্ভুক্ত বিভাগসমূহ ও আসনসংখ্যা
‘অ’ ইউনিটঃ পদার্থবিজ্ঞান-৯০টি, রসায়ন-৭০টি, গণিত-৯০টি, পরিসংখ্যান-৮০টি, প্রাণিবিদ্যা-৮০টি, উদ্ভিদবিজ্ঞান-৮০টি, ভূগোল ও পরিবেশ-১০০টি, মনোবিজ্ঞান-১০০টি, কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং-৪০টি, মাইক্রোবায়োলজি এন্ড বায়োটেকনোলজি-৩৫টি, ফার্মেসী-২৫টি। মোট আসন সংখা-৭৯০টি।
‘ই’ ইউনিটঃ বাংলা-১০০টি, ইংরেজি-১১০টি, ইতিহাস-১০০টি, ইসলামের ইতিহাস ও সং¯কৃতি-১০০টি, ইসলামিক স্টাডিজ-১০০টি, দর্শন-১০০টি ও আইন-১০০টি।
মোট আসন সংখা-৭১০টি।
‘ঈ’ ইউনিটঃ একাউন্টিং এন্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস্-২০০টি, ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ-২০০টি, মার্কেটিং-১১০টি, ফিন্যান্স-১১০টি। মোট আসন সংখা-৬২০টি।
‘উ’ ইউনিটঃ অর্থনীতি-১০০টি, সমাজবিজ্ঞান-১০০টি, সমাজকর্ম-৮০টি, রাষ্ট্রবিজ্ঞান-১০৫টি, নৃবিজ্ঞান-৫০টি, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা-৪৫টি, লোকপ্রশাসন-৬০টি। মোট আসন সংখা-৫৪০টি।
‘ঊ’ ইউনিটঃ ড্রামা এন্ড মিউজিক-৬০টি (ড্রামা-৩০টি, মিউজিক-৩০টি), ফাইন আর্টস এন্ড গ্রাফিক্স-৪০টি। মোট আসন সংখা-১০০টি।
৭। ভর্তি পরীক্ষার সময়সূচি
Download from Here
১০। মেধা তালিকা প্রণয়ন ও বিষয় মনোনয়ন পদ্ধতি
র) মেধা তালিকা প্রণয়ন পদ্ধতি
ক) ‘অ’ ইউনিটঃ উচ্চ মাধ্যমিকে ‘বিজ্ঞান’ শাখার কোন পরীক্ষার্থী ভর্তি পরীক্ষায় প্রতিটি বিষয়ে কমপক্ষে ‘৬’ নম্বরসহ সর্বমোট ৩০ নম্বর পেলে উত্তীর্ণ বলে গণ্য হবে।
উচ্চ মাধ্যমিকে ‘বিজ্ঞান’ শাখা ব্যতীত অন্যান্য শাখার পরীক্ষার্থী ভর্তি পরীক্ষায় প্রতিটি বিষয়ে কমপক্ষে ‘৮’ নম্বরসহ সর্বমোট ৩০ নম্বর পেলে উত্তীর্ণ বলে গণ্য হবে। ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ পরীক্ষার্থীদের সর্বমোট ১০০ নম্বর (ভর্তি পরীক্ষার ৭২ নম্বর, মাধ্যমিক/সমমান ফলাফলে ১২ নম্বর ও উচ্চ মাধ্যমিক/সমমান ফলাফলে ১৬ নম্বর) এর মধ্যে প্রাপ্ত নম্বরের ভিত্তিতে শাখাওয়ারী পৃথক পৃথক মেধা তালিকা প্রণয়ন ও প্রকাশ করা হবে। উত্তীর্ণ প্রার্থীদের ভর্তির ক্ষেত্রে অন্যান্য শর্তাবলীও প্রযোজ্য।
খ) ‘ই’, ‘ঈ’, ‘উ’ ইউনিটঃ এ সকল ইউনিটের কোন পরীক্ষার্থী ভর্তি পরীক্ষায় প্রতিটি বিষয়ে কমপক্ষে ‘৮’ নম্বরসহ সর্বমোট ৩০ নম্বর পেলে উত্তীর্ণ বলে গণ্য হবে। ইংরেজি বিভাগে ভর্তির জন্য পরীক্ষার্থীকে ভর্তি পরীক্ষায় ইংরেজি বিষয়ে কমপক্ষে ‘১৪’ নম্বর এবং অন্যান্য বিষয়ের প্রতিটিতে কমপক্ষে ‘৮’ নম্বরসহ সর্বমোট ৩০ নম্বর পেতে হবে।
ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ পরীক্ষার্থীদের সর্বমোট ১০০ নম্বর (ভর্তি পরীক্ষার ৭২ নম্বর, মাধ্যমিক/সমমান ফলাফলে ১২ নম্বর ও উচ্চ মাধ্যমিক/সমমান ফলাফলে ১৬ নম্বর) এর মধ্যে প্রাপ্ত নম্বরের ভিত্তিতে শাখাওয়ারী পৃথক পৃথক মেধা তালিকা প্রণয়ন ও প্রকাশ করা হবে। উত্তীর্ণ প্রার্থীদের ভর্তির ক্ষেত্রে অন্যান্য শর্তাবলীও প্রযোজ্য।
গ) ‘ঊ’ ইউনিটঃ কোন পরীক্ষার্থী ভর্তি পরীক্ষায় প্রতিটি বিষয়ে কমপক্ষে ‘৮’ নম্বরসহ সর্বমোট ৩০ নম্বর পেলে উত্তীর্ণ বলে গণ্য হবে। উত্তীর্ণ পরীক্ষার্থীদের মোট ১০০ নম্বর (ভর্তি পরীক্ষার ৭২ নম্বর, মাধ্যমিক/সমমান ফলাফলে ১২ নম্বর ও উচ্চ মাধ্যমিক/সমমান ফলাফলে ১৬ নম্বর) এর মধ্যে প্রাপ্ত নম্বরের ভিত্তিতে প্রথম পর্যায়ের মেধা তালিকা প্রণয়ন করা হবে। উক্ত মেধা তালিকা অনুসারে আসন সংখ্যার সর্বোচ্চ পাঁচ (৫) গুণ পরীক্ষার্থীর সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে আরো ২৫ নম্বরের চবৎভড়ৎসধহপব ঞবংঃ নেয়া হবে।
চবৎভড়ৎসধহপব ঞবংঃ এ উত্তীর্ণ হতে কমপক্ষে ‘৮’ নম্বর পেতে হবে। চবৎভড়ৎসধহপব ঞবংঃ এর পর সর্বমোট ১২৫ (১০০+২৫) নম্বরের মধ্যে প্রাপ্ত নম্বরের ভিত্তিতে চূড়ান্ত মেধা তালিকা প্রণয়ন ও প্রকাশ করা হবে। যোগ্য প্রার্থীদের ক্ষেত্রে অন্যান্য শর্তাবলীও প্রযোজ্য। উল্লেখ্য, ‘ঊ’ ইউনিটে ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীরা কোনভাবেই বিভাগ পরিবর্তন করতে পারবে না।
রর) বিষয় মনোনয়ন পদ্ধতি
ক) ‘অ’, ‘ই’, ‘ঈ’, ‘উ’ ইউনিটঃ মেধাক্রম অনুযায়ী ডাকা প্রার্থীদের একটি ‘বিষয় পছন্দ ফরম (ঝঁনলবপঃ ঈযড়রপব ঋড়ৎস)’ পূরণ করতে হবে।
প্রার্থীদের পূরণকৃত ‘বিষয় পছন্দ ফরম’ অনুযায়ী মেধাক্রমানুসারে বিষয় বরাদ্দ করে তালিকা প্রকাশ করা হবে। তালিকা অনুযায়ী প্রার্থীদেরকে সংশ্লিষ্ট বিভাগে গিয়ে ভর্তি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে।
খ) ‘ঊ’ ইউনিটঃ চবৎভড়ৎসধহপব ঞবংঃ এ অংশগ্রহণের জন্য আহ্বানকৃত প্রার্থীদের ‘বিষয় পছন্দ ফরম’ দেয়া হবে। ‘বিষয় পছন্দ ফরম’ এ প্রার্থী ‘ড্রামা’, ‘মিউজিক’ ও ‘ফাইন আর্টস এন্ড গ্রাফিক্স’ এর মধ্য হতে যে কোন দুইটি পছন্দ করতে পারবে। প্রার্থী কর্তৃক পূরণকৃত ‘বিষয় পছন্দ ফরম’ অনুযায়ী ২৫ নম্বরের চবৎভড়ৎসধহপব ঞবংঃ নেয়া হবে।
সর্বমোট ১২৫ নম্বরের মধ্যে প্রাপ্ত নম্বরের ভিত্তিতে প্রার্থীদের মেধানুসারে বিষয় ওয়ারী পৃথক পৃথক তালিকা প্রকাশ করা হবে। তালিকা অনুযায়ী প্রার্থীদেরকে সংশ্লিষ্ট বিভাগে গিয়ে ভর্তি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে। কোন ভাবেই বিষয়/বিভাগ পরিবর্তন করা যাবে না।
গ) ‘বিষয় পছন্দ ফরম (ঝঁনলবপঃ ঈযড়রপব ঋড়ৎস)’ পূরণের সময় প্রার্থীকে অবশ্যই ভর্তি পরীক্ষার মূল প্রবেশপত্র, মাধ্যমিক পরীক্ষার মূল সার্টিফিকেট ও মূল নম্বরপত্র, উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার মূল রেজিস্ট্রেশন কার্ড ও মূল নম্বরপত্র এবং সম্প্রতি তোলা ২কপি পাসপোর্ট সাইজের রঙিন ছবি সাথে নিয়ে আসতে হবে। ‘বিষয় পছন্দ ফরম’ পূরণের সময়সূচী বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েব সাইট ও সংশ্লিষ্ট অনুষদের নোটিশ বোর্ড থেকে জানা যাবে।
ঘ) নির্ধারিত তারিখে ‘বিষয় পছন্দ ফরম’ পূরণের জন্য উপস্থিত না হলে ভর্তির জন্য বিবেচনা করা হবে না।
ঙ) সংশ্লিষ্ট বোর্ড কর্তৃক ইস্যুকৃত মাধ্যমিক ও উচ্চ-মাধ্যমিক নম্বরপত্র এবং সনদপত্রে প্রদত্ত নামের বানান একই রকম না হলে অথবা অন্য কোন গরমিল থাকলে কোন প্রার্থীকে ভর্তির অনুমতি দেয়া হবে না।
চ) প্রার্থীদের পূরণকৃত ‘বিষয় পছন্দ ফরম’ অনুযায়ী মেধাক্রমানুসারে বিষয় বরাদ্দ তালিকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েব সাইট ও সংশ্লিষ্ট অনুষদের নোটিশ বোর্ড থেকে জানা যাবে।
ছ) মনোনীত বিষয়ে কোন প্রার্থী ভর্তি না হলে পরবর্তীকালে সে অন্য কোন বিষয়ে ভর্তির সুযোগ পাবে না।
১১।
আসন পূরণঃ
ক) ‘অ’, ‘ই’, ‘ঈ’ ও ‘উ’ ইউনিটের শাখা ভিত্তিক তালিকা থেকে মেধাক্রম অনুযায়ী নির্ধারিত সংখ্যক আসন পৃথক পৃথক ভাবে পূরণ করা হবে। কোন শাখায় যোগ্য প্রার্থী পাওয়া না গেলে শর্তপূরণ সাপেক্ষে অন্য শাখা থেকে মেধাক্রম অনুযায়ী পূরণ করা হবে।
খ) নোটিশে বেঁধে দেয়া সময়ের মধ্যেই ভর্তি হতে হবে। নির্ধারিত সময়ের পর শূণ্য আসনে ভর্তির জন্য পরবর্তী তালিকা প্রণয়ন ও প্রকাশ করা হবে। সেক্ষেত্রে পূর্ববর্তী তালিকায় ভর্তি হতে না পারা শিক্ষার্থীর কোন আবেদন বিবেচিত হবে না।
১২. মনোনয়ন প্রাপ্তির পর প্রার্থীর করণীয়
ক) মনোনীত প্রার্থী সংশ্লিষ্ট বিভাগে নির্ধারিত তারিখের মধ্যে যোগাযোগ করে বিভাগীয় অফিস থেকে ‘পে-ইন স্লিপ’ সংগ্রহ করবে এবং তাতে উল্লিখিত টাকা অগ্রণী ব্যাংক, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখায় জমা করে জমা রশিদসহ বিভাগীয় অফিসে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে জমা দিয়ে ভর্তি ফরম সংগ্রহ করবে।
খ) মনোনীত বিভাগে প্রার্থীকে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ভর্তি হতে হবে। অন্যথায় প্রার্থীর ভর্তি বাতিল বলে গণ্য হবে।
গ) ভর্তিকৃত শিক্ষার্থী আসন খালি ও যোগ্যতা থাকা সাপেক্ষে ‘বিষয় পছন্দ ফরম’ অনুযায়ী মেধানুসারে বিষয় পরিবর্তনের জন্য বিবেচিত হবে।
ঘ) ‘বিষয় পছন্দ ফরম’ অনুযায়ী প্রাপ্ত বিষয় (১ম ভর্তি/মাইগ্রেশন) কোনভাবেই পরিবর্তন করা যাবে না।
১৩. ভর্তির সময় প্রার্থীর করণীয়
ক) জমা দিতে হবে
১. বিভাগ থেকে সংগৃহীত ও স্বহস্তে পূরণকৃত ভর্তি ফরম;
২. সম্প্রতি তোলা চার (০৪) কপি পাসপোর্ট এবং দুই (০২) কপি স্ট্যাম্প সাইজের রঙিন ছবি;
৩. মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক কিংবা সমমানের পরীক্ষার মূল সার্টিফিকেট ও নম্বরপত্র, উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার মূল প্রবেশপত্র, রেজিস্ট্রেশন কার্ড এবং প্রত্যেকটির দু’টি (০২) করে ফটোকপি;
৪. ভর্তি পরীক্ষার মুল প্রবেশপত্র এবং এর দু’টি (০২) ফটোকপি; ও
৫. এইচএসসি/সমমান পরীক্ষা পাশ করেছে সেই প্রতিষ্ঠানের প্রধান কর্তৃক প্রদত্ত প্রশংসাপত্র।
খ) বিভাগীয় সেমিনার, বিবিধ ও অন্যান্য ফি (যা কেন্দ্রীয়ভাবে নির্ধারিত) জমা দিতে হবে। ছবি ও ফটোকপিগুলো সংশ্লিষ্ট বিভাগের কোন শিক্ষক সত্যায়িত করবেন।
গ) ক্লাশ রুটিন, সিলেবাস ও পরিচয়পত্র বিভাগ থেকে প্রদান করা হবে।
ঘ) জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় সেমিস্টার রুল অনুসারে ক্লাশ শুরুর পর ১৫ কর্মদিবসের মধ্যে কোন ক্লাশে উপস্থিত না থাকলে সংশ্লিষ্ট বিভাগ তার ভর্তি বাতিলের ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
১৪. মুক্তিযোদ্ধার সন্তান/মুক্তিযোদ্ধার নাতি-নাতনি / উপজাতি / প্রতিবন্ধী / ওয়ার্ড কোটা
মুক্তিযোদ্ধা, প্রতিবন্ধী, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সন্তান/স্বামী/স্ত্রী ওয়ার্ড / উপজাতি কোটায় আবেদন করতে পারবে। কোটার আওতায় ভর্তির জন্য আবেদন করলে, ওয়ার্ড কোটার ক্ষেত্রে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সংশ্লিষ্ট বিভাগের চেয়ারম্যান/রেজিস্ট্রার প্রদত্ত প্রত্যয়নপত্র, মুক্তিযোদ্ধার সন্তান কোটার ক্ষেত্রে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রণালয় কর্তৃক ইস্যুকৃত সনদপত্র, উপজাতি বা আদিবাসী কোটার ক্ষেত্রে স্ব স্ব উপজাতি প্রধান/ জেলা প্রশাসকের সনদপত্র এবং প্রতিবন্ধী কোটার ক্ষেত্রে সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগ / কর্তৃপক্ষ থেকে নিবন্ধন / প্রমাণপত্র অবশ্যই জমা দিতে হবে। কোটায় ভর্তির ক্ষেত্রে ভর্তির ন্যূনতম যোগ্যতাসহ অন্যান্য শর্তাবলী পূরণ করতে হবে। কোটায় ভর্তির হার নিম্নরূপঃ
(ক) মুক্তিযোদ্ধার সন্তান/ মুক্তিযোদ্ধার নাতি-নাতনি ঃ ৫%
(প্রথমে মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ভর্তির সুযোগ পাবে। মুক্তিযোদ্ধার সন্তান পাওয়া না গেলে মুক্তিযোদ্ধার নাতি-নাতনি সুযোগ পাবে)
(খ) উপজাতি / প্রতিবন্ধী ঃ ১%
(গ) ওয়াডর্ ঃ ০.৫%
* উল্লেখ্য যে, ‘৩ এর খ’ অনুযায়ী কোটায় ভর্তিচ্ছু প্রার্থীদের অবশ্যই ঝগঝ-এর মাধ্যমে আবেদনের সময় কোটা উল্লেখ করতে হবে।
পরবর্তীতৈ কোটায় অন্তর্ভুক্তির জন্য কোন আবেদন বিবেচনা করা হবে না।
১৫. বিবিধ
ক ) ভর্তি প্রক্রিয়ার যে কোন স্তরে অনিয়ম/অযোগ্যতা ধরা পড়লে ভর্তি বাতিল করা হবে এবং আইনানুগ ব্যবস্থা (পুলিশে সোপর্দ করাসহ) গ্রহণ করা হবে।
খ) পরীক্ষায় অসদুপায় অবলম্বনের কোন অভিযোগ থাকলে পরীক্ষা বাতিল বলে গণ্য হবে।
গ) ভর্তি সংক্রান্ত নিয়ম নীতির যে কোন ধারা ও উপধারা পরিবর্তন, পরিবর্ধন, সংশোধন ও সংযোজনের ক্ষমতা কেন্দ্রীয় ভর্তি কমিটি, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় সংরক্ষণ করে।
ঘ) ভর্তি সংক্রান্ত যে কোন বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের ব্যাখ্যাই চূড়ান্ত বলে গণ্য হবে।
পূর্ব প্রকাশ ঃ এখানে
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।