যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে, ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
সমস্ত অফিস জুড়ে যেন একটা হিমশীতল বাতাস প্রবাহিত হয়ে গেল। আতংকে মুখ চেপে আছে রেশমা আর লুৎফা। আখতারকে হঠাৎই কেমন খুব ইনোসেন্ট আর নিরূপায় দেখাচ্ছে। ভয়ে ফ্রিজ হয়ে গেছেন লাবু ভাই আর হামিদ সাহেব। তুলনামূলকভাবে টুটুল খানিকটা স্বাভাবিক, বিরক্তও খানিকটা।
হাসনাইনই উঠে গেল, গার্ডম্যান মুসলিমকে ভেতরে ঢুকিয়ে এনে বলল, 'কি হয়েছে? কে খুন হয়েছে?'
'একজন মহিলা! ম্যাডামের গাড়ির ভিতরে লাশ হা কইরা আছে। ' আতংকিত মুসলিমের গলা,'আর রক্তে চারপাশ ভাইসা গেছে, পার্কিংয়েও রক্ত গড়াইতেছে। '
'নো! নো!', রেশমা চিৎকার করে উঠে, 'এটা নিশ্চয়ই পিয়া না?'
'নাহ্, উনি তো আরো দুজনের সাথে বেরিয়ে গেলেন' হাসনাইন বলল।
'ও তো ফিরে এসেছে। ওহ গড!! পিয়া'জ গন্??' রেশমাকে দেখে মনে হলো হাতের কাছে যা পাবে ছিঁড়ে ফেলবে।
অদ্ভুত আর্তনাদে গোঙাচ্ছে রেশমা। লুৎফা আর আখতারের আতংক এখনও কাটেনি।
হাসনাইন সবাইকে উদ্দেশ্য করে বলল, 'এখন কেউ বেরুবেননা। রেশমা ম্যাডাম, আর ডি.জে আপনারা, আপনারা স্টুডিও রূমের ভেতর বসে থাকুন। হামিদ সাহেব, লাবু ভাই, টুটুল সাহেব আপনারা এই রূমে।
' সবাইকে ইনস্ট্রাক্ট করে তারপর গার্ডম্যানের দিকে তাকিয়ে বলল, 'আর আপনি চলুন আমার সাথে। '
লিফটের পাশের বারান্দা থেকে কালামকে পিক করে পাশের সিঁড়ি দিয়ে নিচে নেমে গেল হাসনাইন, নামতে নামতে রাজুকে ভুঁইয়া টাওয়ারের পার্কিংয়ে আসতে বলল আর গুলশান থানা ফোন করে বলে দিন অন্ততঃ পাঁচজন স্পট স্পেশালিস্টকে পাঠাতে। তারূণ্য অফিসে ফোন করে হাসনাইন জানিয়ে দিল কেউ যাতে কোনভাবেই রূম থেকে বের না হয়; সবচেয়ে খারাপ কেইস হতে পারে এমন যে খুনী হয়ত এখনও ভুঁইয়া টাওয়ারের ভেতরে লুকিয়ে আছে, যদি কোনভাবে খুনী টের পায় যে রেশমাকে সে খুন করেনি, করেছে অন্য কাউকে তাহলে আজ রেশমাকে খুন করার আরেক পদক্ষেপ সে নিতে পারে। অফিস রূম যাতে ভেতর থেকে তালা মেরে দেয়া হয় একথাও বলে দিল।
খুনটা হয়েছে বেইসমেন্ট পার্কিংয়ে।
লিফট দিয়ে নেমে গেলে বেশ খানিকটা পথ ঘুরে যেতে হয় সেখানে। সিঁড়ি দিয়ে নেমে গেলেও একই, প্রথমে ভুঁইয়া টাওয়ারের লবি, লবির শেষ মাথায় গিয়ে একটা প্যাসেজ ধরে হেঁটে যেতে হয় বামে। সেখান থেকে আবার ডানে খানিকটা গেলে গার্ডম্যানের রুমের কাউন্টার জানালা। জানালা পার হয়ে সামনে গেলে বেইসমেন্ট পার্কিংয়ের দরজা। হাঁটতে হাঁটতেই টায়ার্ড হয়ে গেল সবাই, মুসলিম সবাইকে নিয়ে পার্কিংয়ে ঢুকল।
পার্কিংয়ের ১ম সারিতেই শুধু দুটো গাড়ী দেখা যাচ্ছে, একটা সবচেয়ে ডানে রাখা, জীপ টাইপের গাড়ী, আর আরেকটা সেডান কার মাঝামাঝি অংশে রাখা। সেডানটার চারপাশে রক্তে ভেসে গেছে, হাসনাইন কালামদের বলল চারপাশটা চকের দাগ দিয়ে ঘিরে দিতে, বাকীটা স্পট স্পেশালিস্টরা আসলে করবেন।
এই ফাঁকে সে নিজে মুসলিমের থেকে কিছু তথ্য নিয়ে নেবে।
মুসলিমকে এখনও ধাতস্থ দেখাচ্ছেনা, আতংকে তার দুচোখ বের হয়ে আসতে চাচ্ছে। এমনিতেই খুনের কথা প্রথম জানতে পারল সে, তারওপর আশপাশে কাউকে সে ঢুকতেও দেখেনি আজ।
সে বুঝতে পারছেনা সে কিভাবে বাঁচবে, তারওপর হাসনাইন যখন সবাইকে রেখে শুধু মুসলিমকে নিয়ে নিচে নেমে আসল তখন তার আত্ণা খাঁচাছাড়া।
হাসনাইন মুসলিমের কাঁধে হাত রেখে খুব শান্তস্বরে বলল, 'আপনার নাম কি'।
'স্যার, আমার নাম মুসলিম' কাঁদো কাঁদো স্বরে জবাব দেয় মুসলিম।
'আচ্ছা মুসলিম, আপনি একটুও ভয় পাবেননা, আমি শুধু আপনার থেকে কিছু কিছু জিনিস জেনে নেব। যে জিনিসগুলো আমি জানিনা সেগুলো আপনাকে জিজ্ঞেস করব।
আপনি শুধু সবকিছু সম্পর্কে যা যা জানেন, আমাকে পরিষ্কারভাবে বলবেন। '
'আইচ্ছা স্যার, আইচ্ছা। ' মুসলিম কেঁদেই ফেলে, 'আমি লুকামু ক্যা! আমি তো কিছু করিনাই স্যার। '
'আপনি ভয় পাবেননা, আমি আপনাকে মোটেও সন্দেহ করছিনা। ' হাসনাইন সাহস দেয় মুসলিমকে, তারপরই জিজ্ঞেস করে, 'ঠিক কখন আপনি আবিস্কার করলেন খুনের ব্যাপারটা?'
'স্যার, প্রত্যেকদিন দশটার আগে আমি পার্কিং আর একতলার লবিতে রাউন্ড দেই একবার।
আজকেও দিলাম, শুরু করছি পার্কিং দিয়া, এই মুনে করেন দশটা বাজার ৫ মিনিট আগে। ' মুসলিম বলে যায়।
'আপনি কি কাঁটায় কাঁটায় বলতে পারবেন? রাউন্ড দিতে বের হবার আগে ঘড়ি দেখে নেননা?'
'হ স্যার, দেখছি, ঐ যে পভা রহমানের গান শেষ হইলনা, তার পরপরই বাইর হইয়া গেছিলাম। '
হাসনাইন ডায়েরীতে নোট করে নেয়।
তারপর আবার জিজ্ঞেস করা শুরু করে, 'তখন পার্কিংয়ে কয়টা গাড়ী ছিল?'
'দুইটা, এই দুইটাই, স্যার।
'
'আর কিছু ছিলনা? এই ধরেন, মোটর বাইক, বা সাইকেল?'
'না স্যার? এইখানের সিস্টেম তো কড়া। বাইরে থেকা বেজমিন্টে গাড়ী ঢুকতে হইলে পরথমে গেইটের বাইরের বুতাম চাপতে হয়, তখন আমার এইখানে ক্যামেরার মাইধ্যমে ছবি আসে, আমি ভিতর থেকা বুতাম টিপা গেইট খুইলা দিই। '
'ছবি দেইখা ক্যামনে বুঝেন ঢুকতে দিবেন কি দিবেননা?'
'ছবি দেখিনাতো, রেজিস্টার বুকে গাড়ী নাম্বার লেখা থাকে, সেইটা দেইখা মিলাই। '
'আজকে সন্ধ্যায় মোট কয়টা গাড়ী ঢুকেছে, সেগুলো কখন ঢুকেছে কখন বের হইছে এইসব রেকর্ড কি আপনার কাছে আছে?'
'আছে স্যার, সব আছে। আমার রুমের কাউন্টার জানালার সামনে খাতা আছে, ঐখানে সবাই ঢুকার আর বাইর হওনের সময় নাম আর সময় লিখা যায়।
তবে স্যার, ম্যাডামের ডাইভার যখন গাড়ী নিয়া ঢুকল, তারপর থেকা আর কেউ ঢুকে নাই, বাইরও হয়নাই। '
'ম্যাডামের ডাইভার মানে?'
'ঐ যে মহিলা মারা গেল, উনিই তো ডাইভার। আরেকটা যে জীপ টাইপের গাড়ী ঐডা হইল গিয়া তারুণ্যের মালিক হামিদ ভাইয়ের। '
'ম্যাডামের ড্রাইভার গাড়ী নিয়ে কখন এসেছে, সময় মনে আছে আপনার?'
'পুরাটা তো খেয়াল নাই, তবে নয়টার আগেই আসছে মনে হয়। পভা রহমানের অনুষ্ঠান শুরু হইলনা? তার আগে আগেই।
'
'আপনে তো মনে হয় সারাক্ষণ প্রভা রহমানের অনুষ্ঠানই দেখছেন, আপনের চোখ ফাঁকি দিয়া কেউ পার্কিংয়ে ঢুইকা খুন কইরা আবার বাইর হইয়া যায়নাইতো?'
'না না স্যার! এইডা ক্যামনে হয়? পার্কিংয়ে ঢুকার পথতো এই একটাই, আমি তো এই জানালার সামনেই বইসা থাকি। '
'সারাক্ষণ বইসা থাকেন? আপনার টিভি কোথায়? আপনি যখন প্রভা রহমানের গান দেখতেছিলেন, তখন কেউ ঢুকে খুন করে যায়নাই নিশ্চিতকরে বলতে পারবেন?'
'স্যার। আমি গান দেখছি সইত্য, কিন্তু কেউ এইখান দিয়া গেলে টের পামুনা?' বলতে বলতে মুসলিমের গলা শুকিয়ে আসে, আজকে সে আসলেই কিছু খেয়াল করেনি। প্রভা রহমানের অনুষ্ঠান শুরু হবার পর তো আরো না। কারণ, আজ তার কাছে বেইসমেন্ট পার্কিং বুকিংয়ের জন্য শুধু রেশমার গাড়ীর নাম্বারই এসেছে, তো সেটা ঢুকে যাওয়ার পর মুসলিম ভেবেছে তার কাজ তো আজ বেসিক্যালি শেষই।
কিন্তু একথা বলার সাহস তো সে পাচ্ছেনা! বরং, পার্কিংয়ের যে গেইট দিয়ে বেইসমেন্টে গাড়ী ঢুকে সেটার ফাঁকফোকর দিয়ে শুকনো একটা মানুষ যে সহজেই ঢুকে যেতে পারে এটা বলাকেই সে বেশী নিরাপদ মনে করল।
এরমধ্যেই স্পট স্পেশালিস্টরা চলে আসল, তারা নানান মাপজোক করে মার্ডার এরিয়া কে ব্লক করে দিল। গাড়ীর ভেতর থেকে পিয়ার লাশ বের করে এনে প্রাথমিক চেকআপের পর যে রিপোর্ট দিল তা হলো, পাথর দিয়ে মাথায় উপর্যুপুরি আঘাতে মারা হয়েছে তাকে। খুনটা ঘটেছে খুবই অল্প সময়ের মধ্যে, পিয়া গাড়ী ড্রাইভ করলেও ড্রাইভারের পাশের সীটে বসে ছিল, যেখানে সাধারণত রেশমা বসে। প্রাথমিক বিশ্লেষণে বলা যায় যে পিয়া আত্নরক্ষার জন্য যথেষ্ট সময় পায়নি, বা সেজন্য সে কিছুই করতে পারেনি।
খুনের সময়টা অনুমান করা হচ্ছে নয়টা থেকে সাড়ে নয়টার মধ্যে।
হাসনাইন তার চিন্তাগুলোকে আবার সাজাতে বসল, কিন্তু প্রথমেই তার মাথায় যা আসল তা হলো, 'খুন হতে যাবে কেন এখানে?'
কালাম এসে জানাল, পাথরটা পাওয়া গেছে কিন্তু তাতে কোন হাতের ছাপ নেই। আর পিয়ার গায়ে রেশমার কার্ডিগান ছিল যেটা থেকে কালামের ধারনা খুনী রেশমাকেই খুন করতে এসেছিল, কিন্তু ভুল করেছে।
'কিন্তু পিয়ার চুল কোঁকড়ানো, আর রেশমার চুল সোজা' হাসনাইন বলল।
'স্যার, এই আলোতে চুলের টাইপ বোঝার কথা না, এর চেয়ে অফহোয়াইট কার্ডিগান অনেক হাইলাইটেড হবে।
' কালাম তার যুক্তি দিল।
চুইংগাম চিবোতে চিবোতে রাজু এসে বলল, 'যেই ছোকরা দুটোকে নিয়ে মেয়েটা বের হয়ে গিয়েছিল, ওরা কোথায়? হাসনাইন ভাই, ওদেরও ধরে আনতে হবে। '
হাসনাইন খানিকক্ষণ ভেবে বলল, 'ঠিক আছে, আগে উপরে চল। রেশমা ম্যাডামকেও ব্যাপারটা ব্রিফ করতে হবে। '
তারুণ্যের অফিসের ভেতরে তখনও থমথমে অবস্থা।
সবচেয়ে চিন্তিত দেখাচ্ছে হামিদ সাহেবকে, রেশমাকে আনার জন্য তিনিই লাবুকে চাপ দিচ্ছিলেন আর রেশমা আসার পর আজ এমন অঘটন ঘটল। এঘটনা প্রকাশ পেলে তো তারুণ্যের সর্বনাশ হয়ে যাবে। পাঁচবছর ধরে তিলে তিলে গড়ে তোলা তার শখের প্রতিষ্ঠান।
রেশমা বজ্রাহতের মতো বসে আছে, সে বলল সবাইকে যে নিহত মানউষটি পিয়া ছাড়া আর কেউ না। আটটা চল্লিশে পিয়া এস.এম.এস করে জানিয়েছে যে এখন সে গাড়ী পার্কিংয়ে ঢোকাচ্ছে, তাই আর কে খুন হবে রেশামর গাড়ীতে? লুৎফা তার পিঠে হাত দিয়ে সান্ত্বনা দিতে চেষ্টা করছে, আখতার এখনও আতংকিত।
লাবু ভাই ঘরের ভেতর আর থাকতে পারছেননা, হাসনাইন এসে ঢোকা মাত্রই বললেন,
'হাসনাইন সাহেব, আর কতক্ষণ আমরা আটকা থাকব? কে মারা গেছে?'
হাসনাইন দম নিয়ে আস্তে আস্তে বলল, 'রেশমা ম্যাডাম, আপনার সেক্রেটারী মিস পিয়া খুন হয়েছেন। '
রেশমার চেহারা দেখে মনে হলো তার শেষ আশাটঅ নিভে গেছে, কোনমতে যদি এমন হতো যে মুসলিম যে গাড়ীটাকে রেশমার গাড়ী ভেবেছে সেটা আসলে অন্য কারো। কিন্তু এখন সব শেষ। রেশমার চেহারা ফ্যাকাশে হয়ে গেল।
এরমধ্যেই হঠাৎ টেলিফোন বেজে উঠল, টুটুল ফোন ধরল।
টুকটাক কি কথার পর মুখ তুলে রেশমাকে বলল, 'ম্যাডাম জানিনা আসল না নকল, রুনা লায়লা আপনার সাথে কথা বলতে চায়। '
রেশমা অবাক হয়ে ছুটে গেল ফোনের দিকে, বিহবলের মতো কথা বলল, বেশীর ভাগই 'অনেক ধন্যবাদ', 'অবশ্যই' 'দোয়া করবেন' ইত্যাদি ইত্যাদি।
ফোন রাখার পরই হামিদ সাহেব জিজ্ঞেস করলেন, 'আসলেই রুনা লায়লা?'
রেশমা কিছুটা উচ্ছসিত মুখে বলল, 'হ্যাঁ, উনিই। বললেন আমার গান বিশেষ করে খালি গলার গানটা তাঁর অনেক ভাল লেগেছে। অবশ্য একটু খোঁটাও দিয়েছেন, বললেন, নিশ্চয়ই আমি খালি গলায় গানটা অনেকবার প্র্যাকটিস করেছি, আসলে তো একবারও সময় পাইনি।
'
'কি? আসলেই রুনা লায়লা!' লুৎফা যেন এক মুহূর্তের জন্য ভুলে গেল একটু আগে কি ঘটেছে, এসে জড়িয়ে ধরল রেশমাকে। হামিদ সাহেব, লাবু ভাইর চোখও একটু সুখী সুখী দেখাচ্ছে।
আখতারও কিছুটা উচ্ছসিত হয়েই বলল, 'ওয়াও, কূল! কি চমৎকার একটা প্রোগ্রাম হলো আজ' একটু দম নিয়ে হতাশার সাথে বলে উঠল, ' নো! শিট্! হু দ্য হেল কেইম টু কিল টুডে!!'
আখতারের চিতকারে সবাই হতভম্ব হয়ে তার দিকে তাকায়, শুধু হাসনাইন টেবিলের দিকে তাকিয়ে মুচকি হাসে। মনে মনে বলে, 'ক্রিমিনাল! তুমি নিজেই তো স্বীকার করে ফেললে। '
হাসনাইন যখন তার ক্রুর হাসিটা মুখে রেখেই মাথা উপর দিকে তোলে, তখনও সবাই আখতারের দিকে হতবিহবল হয়ে তাকিয়ে আছে।
কারণ তাকে এত উত্তেজিত হয়ে কথা বলতে কেউ কখনও দেখেনি।
*****************************************
প্রিয় পাঠক, এখন নিশ্চয়ই আপনারও বুঝতে বাকী নেই যে কে জড়িত খুনে?
(চলবে)
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।