যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে, ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
লাবু ভাই সিগারেট খেতে জানালার পাশে চলে যাওয়ার একটু পরেই হামিদ সাহেব বের হয়ে আসেন, টেবিলে হাসনাইনের পাশের চেয়ারেই বসেন।
হাসনাইনের চোখ এখনও মুগ্ধভাবে রেশমাকে দেখছে, হাসনাইন হামিদ সাহেবের নিজের রূম থেকে বের হবার শব্দ পেয়েই দৃষ্টি রেশমার দিক থেকে সরিয়ে অফিসরূমে ঝুলতে থাকা ক্যালেন্ডারের দিকে নিয়ে গেছে। হামিদ সাহেব এসে পাশে বসলে, হাসনাইন মুখ তুলে তার দিকে তাকাল, হয়ত হামিদ সাহেব কিছু বলবেন। কিন্তু দেখা গেল তিনিই এখন একদৃষ্টিতে রেশমার দিকে তাকিয়ে আছেন।
হঠাৎ বিড়বিড় করে বলতে লাগলেন হামিদ সাহেব, 'দেখলেন হাসান সাহেব, মেয়েটা ফার্স্টক্লাস না?'
বিড়বিড়ের কি উত্তর দেবে হাসনাইন ভেবে পায়না, সে একটু গলা খাঁকারি দিয়ে বলে, 'আমার নাম হাসনাইন, হাসান না।
'
'ও হলো আরকি! একইতো! একই রূমে হাসান আর হাসনাইন নামের দুজন থাকার সম্ভাবনা অনেক কম। ' হামিদ সাহেব এখনও চোখ সরাচ্ছেননা।
হাসনাইন লোকটার কথার প্যাটার্নে আশ্চর্য হলো। তবে ভাবল, এই সুযোগ লোকটার সাথে কথা বলে নেয়া যায়, যেই ভাবা সেই কাজ, ইনিয়ে বিনিয়ে বলার চেষ্টা করল, ' ইয়ে মানে, বলছিলাম কি...'
'কি বলতে চান? পরিষ্কার করেই বলুন। ' হামিদ সাহেব হাসনাইনের দিকে হাসিমুখে আস্বস্ত করার মতো করে মোলায়েম গলায় বললেন।
'আপনি যদি কিছু মনে নাকরেন, আমি একটু জানতে উৎসাহী এই ব্যাপারে যে, আপনারা গত কয়েকটি অনুষ্ঠানে কাদের আমন্ত্রণ করেছিলেন। ' হাসনাইন হঠাৎ যেন জেরার সুরে জিজ্ঞেস করে।
হামিদ সাহেব একটু ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে যান। মুহূর্তে নিজেকে সামলে নিয়ে বলেন, 'হুমম, আমার তো নাম মনে নেই, লাবু বলতে পারবে। কিন্তু কেন? আমি তো জানি আপনি রেশমাকে প্রোটেকশন দিতে এসেছেন, এরসাথে আমরা গত কয়েক অনুষ্ঠানে কাকে কাকে আনলাম তার সম্পর্ক কি?' হামিদ সাহেব উটো জেরা করে বসেন।
'না মানে, আমি জনাতে চাচ্ছিলাম গত কয়েকপর্বে যারা এসেছেন তাদের কারো সাথে রেশমার এখানে দেখা হয়েছে কিনা? ইনফ্যাক্ট রেশমা এখানে এর আগে এসেছিল কিনা?' হাসনাইনের গলা কড়া শোনায়।
'হ্যাঁ এসেছিল, চারদিন আগেই এসেছিল, একটা অনুষ্ঠান দেখেছেও কিছুটা। তবে আমার সাথে দেখা হয়নি, আজই প্রথম দেখা হলো। ' হামিদ সাহেব এই মুহূর্তে বুঝতে পারছেনননা হাসনাইন কেন এসব ছাইপাশ জিজ্ঞেস করছে।
'কি বলেন!' হাসনাইনকে বেশ আশ্চর্য শোনায়, 'আপনাদের একটু আগে কথা দেখে তো মনে হলো আপনারা পরস্পর বেশ পরিচিত।
'
'ওহ নো, সেটা আসলে আমরা ফোনে কয়েকবার কথা বলেছি। ইউ নো, ভদ্রতা বলে একটা ব্যাপার আছে, উনি তিনঘন্টা ধরে আমাদের প্রোগ্রামে থাকবেন, তাও শুক্রবারে, আর আমি মালিক হয়ে তাঁকে ফোন করে একবার গ্রীট করবনা?' হামিদ সাহেব মুখস্হের মতো বলে যায়।
'তাই বলুন!' হাসনাইন খানিকটা স্বাভাবিক হয়, একটু গলা নামিয়ে জিজ্ঞেস করল, 'কথা কি ল্যান্ডফোন না সেলফোনে করতেন। '
'সেটা জেনে আপনি কি করবেন?' হামিদ সাহেব ভ্রূ কুঁচকে উঠেন, হাসনাইনের দিকে মুখ এগিয়ে এনে ক্রুর হাসি দিয়ে বলেন, 'আপনার লাগবে নাকি সেলফোন নাম্বার? লাগলে বলবেন, আমার কাছে অন্ততঃ ৫০ জন হালের মডেল কাম নায়িকা কাম গায়িকা কাম সবকিছু'র ফোন নং আছে, হে হে হে। ' হামিদ সাহেব আবার গুডমুডে ফিরে গেলেন বলে হলো।
'আচ্ছা, আপনাদের সমস্যাটা কি? ফোনের কথা জিজ্ঞেস করলেই বলেন নাম্বার লাগবে নাকি? নো থ্যাংকস। ' হাসনাইন শ্রাগ করে।
এই মুহূর্তে তার হামিদ সাহেবের সাথে আর কথা বলতে ইচ্ছে করছেনা, কারণ তার সামান্যও মনে হচ্ছেনা এই ইনোসেন্ট টাইপের লোকটা একটা মেয়ের ভয়াবহ অশান্তির কারণ হতে পারে। তবে লোকটা প্রশ্নগুলোর জবাব দিয়েছে বেশ পেঁচিয়ে পেঁচিয়ে, হাসনাইনের সন্দেহ হলো, যদি কয়েকজন মিলে কোন জটিল পরিকল্পনা করে তাতে হামিদ সাহেবের হাত থাকতেও পারে!
কয়েক সেকন্ডের নীরবতার পর হাসনাইন যেই সামনে পড়ে থাকা 'রোবট প্রযুক্তি' নামক একটা পত্রিকা হাতে নিতে যাবে, অমনি হামিদ সাহেব হাসনাইনের দিকে ঘুরে বললেন,
'আচ্ছা হাসান সাহেব, আপনারা কতক্ষণ থাকবেন আজ?'
হাসনাইন সচকিত হয়ে উঠে, হামিদ সাহেব তাকে হাসান ডাকল না হাসনাইন ডাকল সেটা বড় ব্যাপার হয়না। বড় ব্যাপার হলো সে যেন একটা বিরাট ক্লুর গন্ধ পেয়েছে।
কতক্ষণ থাকবে না থাকবে তানিয়ে সে চিন্তিত কেন?
'কেন? কোন সমস্যা?' হাসনাইন ভদ্র ও বিনীত ভঙ্গিতে জিজ্ঞেস করে।
'নাহ্, তা না। এমনি জানার জন্য আরকি! আমার অফিসে ডি.বি'র লোক আসবে আর আমি জানবনা তারা কতক্ষণ থাকবে?'
হাসনাইন বলতে থাকল, 'আসলে আমি তো নিশ্চিত করে বলতে পারিনা যে কখন শেষ হবে, তবে রেশমা ম্যাডাম আর তার লোকজনেরা ঠিকমতো বাসায় পৌঁছেছে এটা তো নিশ্চিত হতে হবে। '
'আপনি একা এত সামাল দেবেন?' চোখ গোলগোল করে হামইদ সাহেব বিস্ময় প্রকাশ করেন।
'না না, সেটা তো সম্ভব না।
' হাসনাইন হালকা হতে চেষ্টা করে, 'আসলে আমার সাথে আরো দুজন আছে। ওরা নিচে থাকবে। '
'তাই? বেশ এক্সাইটিং মনে হচ্ছে?' হামিদ সাহেব পুলকিত গলায়ই বললেন, 'ওহহোওও, তাহলে তো আরো তিনটা মিলের অর্ডার দিতে হয়; লাবু ভাই, লাবু ভাই! আজকের ডিনারে তিনটা বেশী এ্যাড কইরো। '
লাবু ভাই যেন এই কথাগুলো শোনার জন্যই রেডী ছিলেন, জানালার কাছ থেকে একটানে টেবিলের কাছে এসে বললেন, 'স্যার দুটাতেই হবে, আজকে তো ফিরোজ আসেনি। '
'কি?' হামিদ সাহেবের তিক্তবিরক্ত গলা শোনা যায়, 'ফিরোজ আজও আসেনি? কাজকর্ম ভাল পারে দেখে কি হয়েছে? এভাবে অফিস ফাঁকি দিলে চলবে কিভাবে??'
'আমি কাজ চালাতে পারবতো' লাবু ভাই বড়সাহেবকে আশ্বস্ত করে।
হামিদ সাহেব গজগজ করতে করতে নিজের রুমে ঢুকে যান, একটু পরেই মাথার খুলির অংশটুকু বের করে বলে, 'লাবু ভাই, ডিনার শুরু হইলে ডাক দিবা, তার আগে না। '
'আইচ্ছা' লাবু ভাইর নিরুত্তাপ জবাব।
***************************************
তারুণ্যের অফিসরূমেই ডিনার শুরু হয়ে গেছে, হাসনাইনের মনে হচ্ছে সোয়াঘন্টার প্রোগ্রামেই আখতার আর লুৎফার সাথে রেশমা বেশ ক্লোজ হয়ে গেছে। অবশ্য আখতার ছেলেটা একটা জিনিয়াস, জায়গামতো পারফেক্ট কমেন্ট করে দর্শকদের মাতিয়ে রাখে। আর আজকের প্রোগ্রাম জমেছেও ভাল, এখন পর্যন্ত সোয়া ঘন্টায় প্রায় ২৫টি ফোনের জবাব দিয়েছে রেশমা, আর টেলিফোন অপারেটররাও জানাচ্ছে যে 'কথাবলো' কোম্পানীর মোবাইল নেটওয়ার্কে ভীষন ভীড় এখন ।
এরমধ্যে স্ট্যাটিস্টিক্স এসেছে আজকের স্রোতার সর্বোচ্চ পার্সেনটেজ ৩৪.২৪%, লাবু ভাইর হাসি আর দেখে কে?
সেকেন্ড হাফের শুরু থেকে ১০ মিনিট পরে সবচেয়ে বেশী শ্রোতা থাকে, কারণ ঐ সময় টিভি নাটক একটা শেষ হয়ে আরেকটার জন্য অপেক্ষা করতে হয়, এ্যাডের ফাঁকে আজকালকার তরুণ-তরুণীরা রেডিও শোনে। লাবু ভাই তাই আজ ভীষন এক্সাইটেড, ভাগ্য ভাল হলে শুক্রবার সকালের সবচেয়ে জনপ্রিয় অনুষ্ঠান 'বিলবোর্ডে'র রেকর্ডকেও ছাড়িয়ে যেতে পারে আজ। লাবু ভাইয়ের সমস্ত চেহারা চকচক করছে, হামিদ সাহেবও খুশী, বেশ খুশী। নিজের কোম্পানীর জনপ্রিয়তা দেখে কেই বা খুশী না হয়!
সবাই খুশী মনে তেহারী খাওয়া শুরু করতে যাবে, তখনই হামিদ ভাই মিনমিনিয়ে বলার চেষ্টা করলেন, 'রেশমা তুমি গেস্টরুমে বসে খাও। '
সবাই হামিদ ভাইয়ের দিকে সন্দেহের চোখে তাকানোর আগেই রেশমা বলল, 'নাহ্, হামিদ ভাই।
এখানেই ভাল লাগছে, সবার সাথে। এনিওয়ে থ্যাংকস' রেশমার ভুবনভোলানো হাসি দেখে হাসনাইনের বুক কেঁপে উঠল খানিকটা।
নিজের তেহারীটা প্লেটে ঢেলে হাসনাইন লাবু ভাইকে বলল, 'লাবু ভাই আমার সাথে আরো দুজন এসেছেন তো। '
'ও, হ্যাঁ হ্যাঁ, এক্ষুনি ডেকে পাঠাচ্ছি' বলেই লাবু ভাই দরজার কাছে গিয়ে ডাকটে লাগলেন 'জগলু, জগলু, এদিকে আয়তো। '
হাসনাইন ব্যাস্তসমেস্ত হয়ে ছুটে যায় লাবু ভাইয়ের দিকে, বলে, 'লাবু ভাই ওদের নিজেদের জায়গা থেকে সরানো যাবেনা।
আমাদের পুরো এ্যালার্ট থাকার নির্দেশ দিয়েছে উপরে। কাজেই ডেকে পাঠানোর চেয়ে প্যাকেট পাঠিয়ে দিন। '
জগলু আসলে হাসনাইন ভালভাবে বুঝিয়ে দেয় কালাম আর রাজুকে কোথায় কোথায় খাবার দিতে হবে। এস.এম.এস করে দুজনকে জানিয়ে দেয়া হয়।
ফখরুদ্দিনের মাটন তেহারীর সাথে খাঁটি বাঙালী সালাদ, সেদ্ধডিম হালকা আঁচে ভাজা, মিষ্টি বড়ই আচার আর কোল্ড ড্রিংকস।
খাবারটা নিঃসন্দেহে জমে গেছে। খেতে খেতেই লুৎফা হঠাৎ চিৎকার করে বলে, 'এবিসিডি টিভির রেডিওটা ধরেন টুটুল ভাই, তাড়াতাড়ি, তাড়াতাড়ি। '
'কেন?' আখতার কিছুটা অবাক!
'আরে এখন প্রভা রহমানের একক শো লাইভ করছেনা? দুবাইর বুরুজ হলে' লুৎফা একটানে বলে যায়, 'একটু শুনি, যদি উনার গানটান কিছুটা ইমপ্রুভ করে। '
'এই মহিলা একটা হাজব্যান্ড পাইছেও' টুটুল আপনমনে গজগজ করে, 'গান জানেনা, পৃথিবীর যেখানে সেখানে শুটিং/শো কইরা বেড়ায়!' গজগজ করতে করতে টুটুল এবিসিডি টিভির রেডিও স্টেশন ধরল, রেডিও স্টেশনে টিভিতে যা দেখায় সেটারই অডিও অংশটা প্রচার করে।
এই মুহূর্তে প্রভা রহমান গাইছেন, 'পাখি কেন তুই এত দুষ্টুলা ...'
শুনতে শুনতে লুৎফার মুখ দিয়ে বের হয়ে এল 'জঘন্য! এত স্টেজে গাইল মহিলা, সেটার রিহার্সেলেই তো মানুষের গান অনেক ইমপ্রুভ করে! উনার কোন উন্নতি নেই কেন?' তারপর রেশমার দিকে তাকিয়ে বলে, 'আপু তুমি কি বলো উনার গান সম্পর্কে? একে কি নিজেদের সমগোত্রীয় ভাব?'
'নো কমেন্টস' বলে একগাল হাসি দিয়ে রেশমা যা বলার বলে দিল।
হা হা হা, হি হি হি , হো হো হো, হে হে হে, এরকম নানান শব্দে তারুণ্য অফিস আরো তারুণ্যময় হয়ে উঠল, এর মাঝেই রেশমাকে খেয়াল করতে থাকা হাসনাইন দেখল যে মেয়েটার চোখমুখ ভয়াবহ বিষাদে ছেয়ে যাচ্ছে।
হাসনাইন কোন কুল কিনারা পাচ্ছেনা সবকিছুর, সে শুধু ভাবল, আচ্ছা বিষয়টা কি! রেশমাকে নিয়ে যা ঘটছে, তাতে কার কি লাভ? কারও কোন লাভক্ষতি না থাকলে এই মেয়েটাকে নিয়ে এমন হয়রানির অর্থ কি!
খাওয়া দাওয়া শেষে অনুষ্ঠান আবার শুরু হলে সবাই যার যার জায়গায় ফিরে গেল। অনুষ্ঠান আবার শুরু হয়ে গেল, যথারীতি লুৎফার রিনঝিনে হাসি, আখতারের চটুল কেমন্ট, জমিয়ে ফেলা। অফিসের বি.জি.এমে সারাক্ষণ সাধারণত রেডিওই চলে। এই মুহূর্তে হাসনাইনের আর রেডিওর প্রোগ্রাম শুনতে ভাল লাগছেনা।
কিছু করার নেই দেখে সে কিছুটা অস্থির ভাবে টেবিলের উপরে রাখা ম্যাগাজিনগুলো ঘেঁটে দেখছে, তাতেও থিতু হতে পারছেনা। মজার ব্যাপার হলো হাসনাইনের এ অস্থিরতাটা খেয়াল করলেন লাবু ভাই, বেচারার কিছু করার নেই দেখে তাকে রেশমার একটা রিসেন্ট সিডি আর সিডিম্যান দিয়ে লাবু ভাই বললেন, 'রেশমার গান শুনেন, স্যার। জ্যাজ আর রকের অসাধারণ মিক্সচার!'
মাথা ঝাঁকাতে ঝাঁকাতে জ্যাজ আর রকের অসাধারণ মিক্সচার শুনে মিনিট বিশেক কাটাল হাসনাইন। কিন্তু সত্যি কথা বলতে কি, এই মিক্সচার তার হজম হচ্ছেনা, খুব একটা মজা পাচ্ছেনা।
ঠিক সেসময়ই হাসনাইন দেখল আরেকটা সি.ডি, উপরের কভার একটা সাদা কাগজ, সেখানে হাতে লেখা 'মন পাওয়া না পাওয়া'।
দেখেই হাসনাইনের উৎসাহ বেড়ে গেল, এই 'মন পাওয়া না পাওয়া'ই আজ রেশমার গাওয়ার কথা খালি গলায়। রওনক আর তানিম সিডিটা নিয়ে এসেছিল সরাসরি প্রোডাকশন হাউজ থেকে, কোন এক ব্রেকে রেশমা গেস্টরুমে গিয়ে গানটা আরেকবার শুনে নেবে এই জন্য।
হাসনাইন ভাবল এইতো সুযোগ, সবার আগে আমিই শুনে নেই গানটা, এখনও রিলিজড হয়নি যেহেতু, এটা শোনার চার্মই আলাদা! যেই কথা সেই কাজ, সিডিম্যানে সিডি পাল্টে, মনের ভুলে পুরোনো জাজরকের মিক্সচার সিডিকে নতুন গানের সিডির জায়গায় রেখে হাসনাইন শুনতে লাগল নতুন গানের সিডিতে রেশমার লেটেস্ট রিলিজ, 'মন পাওয়া না পাওয়া'।
এই সিডি পাল্টে দেয়াটাই যে কি ভয়াবহ ঘটনা ঘটাবে সেটা সেই মুহূর্তে হাসনাইন কল্পনাও করতে পারেনি।
সিডিটা অন করে মুহূর্তের মধ্যেই যেন হাসনাইন অন্যজগতে চলে গেল, মাথা দুলিয়ে দুলিয়ে শুনতে লাগল রেশমার অসাধারণ এই গানটি 'মন পাওয়া না পাওয়া'।
গানের অস্থায়ীটা শুনেই হাসনাইন বুঝল, রেশমা অসাধারণ গায়, তার মনে হলো শীগগিরি নতুন যুগের রুনা লায়লার আবির্ভাব হতে যাচ্ছে বাংলা গানে।
(চলবে)
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।