চলন্ত বাসে মেডিকেলের ছাত্রীকে গণধর্ষণের পর ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লির নারীদের জীবনযাত্রায় অনেক পরিবর্তন এসেছে। নিজেদের রক্ষায় নানা কৌশল নিতে শুরু করেছেন তাঁরা।
অনেক নারী মরিচের গুঁড়া সঙ্গে নিয়ে রাস্তায় বেরোচ্ছেন। কেউবা আগেভাগে কর্মস্থল ত্যাগ করছেন। ট্যাক্সিক্যাবে ওঠার ক্ষেত্রে মানছেন সর্বোচ্চ সতর্কতা।
নারী চালক দেখে ক্যাবে উঠছেন।
দিল্লিতে গত ১৬ ডিসেম্বর রাতে চলন্ত বাসে মেডিকেলের ছাত্রীর গণধর্ষণের পর ভারতজুড়ে ব্যাপক জনরোষের সৃষ্টি হয়। নারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবি ওঠে সমাজের প্রতিটি স্তরে। দক্ষিণ দিল্লির ছাত্রী সুনন্দ জালোত (১৮) বলেন, ‘দিল্লি নারীদের জন্য নিরাপদ নয়—আমারা দীর্ঘদিন ধরে এটা জানি। কিন্তু ১৬ ডিসেম্বরের ঘটনা সবাইকে সজাগ করেছে।
আমরা যখন-তখন যেখানে ইচ্ছে, সেখানে যেতে চাই। নিজেদের নিরাপদ ভাবতে চাই। তাই নিজেদের রক্ষার কৌশল জানতে হবে। ’
ভারতের অন্য যেকোনো শহরের চেয়ে নয়াদিল্লিতে বেশি ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। ২০১২ সালে ৭০৬টি ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে, যা আগের বছরের চেয়ে প্রায় ২৩ শতাংশ বেশি।
আর যৌন নিপীড়ন ১১ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছিল ৭২৭।
নারীদের আত্মরক্ষার কৌশল প্রশিক্ষণ দেয়—দিল্লিতে এমন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোয় নিবন্ধন বেড়ে গেছে। ইনভিকটাস নামক এমন একটি প্রতিষ্ঠানের জ্যেষ্ঠ প্রশিক্ষক অঙ্কুর শর্মা জানান, ১৬ ডিসেম্বরের ঘটনার পর তাঁদের প্রতিষ্ঠানে নিবন্ধন প্রায় ৪০ শতাংশ বেড়ে গেছে। তাঁদের বেশির ভাগই নারী শিক্ষার্থী বা চাকরিজীবী, যাঁদের বয়স ১৮ থেকে ৩৫ বছর।
চলতি মাসের গোড়ার দিকে একটি জরিপে দেখা গেছে, দিল্লির বিপিও বা আইটি খাতে কর্মরত ৮০ শতাংশ নারী আগেভাগে কর্মস্থল ত্যাগ করছেন।
জরিপে অংশ নেওয়া নারীরা জানান, তাঁরা বাস, অটোরিকশা ও পাতালরেলের মতো গণপরিবহন ব্যবহারে ভয় পাচ্ছেন। নারী চালকদের ট্যাক্সিক্যাব ব্যবহারের চেষ্টা করছেন তাঁরা।
জরিপে বলা হয়, নারী চালকদের ট্যাক্সিক্যাব ব্যবহার ৩৫ শতাংশ বেড়েছে। আর যাঁদের ট্যাক্সিক্যাবে চলার কিংবা আত্মরক্ষার কৌশল শেখার মতো সামর্থ্য নেই, তাঁরা মরিচের গুঁড়া নিয়ে রাস্তায় চলাফেরা শুরু করছেন। রয়টার্স।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।