নতুন ব্লগার হিসাবে আছি.......
পদ্মাসেতু প্রকল্পে নিজস্ব অর্থায়নে সাধারণ মানুষের সাড়া মেলেনি। ‘প্রয়োজনে নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মাসেতু করবো’ প্রধানমন্ত্রীর এমন ঘোষণার পর গত আগস্ট মাসে তফসিলি ব্যাংকগুলোতে দু’টি করে হিসাব খোলা হয়। তারপর চলে গেছে ৬ মাস। অথচ অনুদান জমা পড়েছে ১ লাখ ২ হাজার ৩৪৫ টাকা। আর বিদেশি হিসাবে জমা পড়েছে এক হাজার ডলার।
অর্থ মন্ত্রণালয় ও সোনালী ব্যাংক সূত্র বাংলানিউজকে এ তথ্য জানিয়েছে।
এদিকে, পদ্মাসেতুর জন্য সাধারণ মানুষের অনুদান প্রদানে যখন আগ্রহ নেই বললেই চলে, তখন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত বলেছেন, বিশ্বব্যাংক পদ্মাসেতুতে না এলে বিকল্প অর্থায়নে চলে যাবে সরকার।
সম্প্রতি সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “বিশ্বব্যাংক ছাড়াই আমরা এ প্রকল্প হাতে নিয়েছিলাম, পরে তারা এসেছে। আশা জাগিয়ে আবার অর্থায়ন বন্ধ করেছে। এটা ঠিক হয়নি।
তবে, চলতি মাসের মধ্যে চূড়ান্ত কিছু না জানালে বিকল্প অর্থায়নে পদ্মাসেতুর কাজ শুরু করবে সরকার। ”
সূত্রমতে, বাংলাদেশ ব্যাংকের হয়ে পদ্মাসেতুর এ হিসাব পরিচালনা করছে সোনালী ব্যাংক। অক্টোবর পর্যন্ত তিন মাসে তহবিলে সব মিলিয়ে জমা হয়েছিলো ৬৩ হাজার ৩৪৬ টাকা। নভেম্বর মাসে এর পরিমাণ দাঁড়ায় ৮৮ হাজার ৬৬ টাকা। ডিসেম্বর মাসে ৯৯ হাজার ৭৬৫ টাকা ৭৭ পয়সা।
জানুয়ারি পর্যন্ত প্রাপ্ত তথ্যমতে, এ হিসাবে মোট জমা হয়েছে এক লাখ ২ হাজার ৩৪৫ টাকা। তবে, অনিবাসী তহবিলে নতুন করে কোনো অর্থ জমা পড়েনি।
মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে, সরকার বিশ্বব্যাংকের অর্থ ছাড়াই পদ্মাসেতুর ঘোষণা দিলেও প্রকৃত অর্থে সে দিকেই তাকিয়ে আছে। তাই বিকল্প কোনো উৎসের দিকে নজর দিতে চায় না সরকার। তবে শেষ পর্যন্ত বিশ্বব্যাংক না এলে সরকার হিসাব দু’টি নিয়ে প্রচারণা চালাবে।
যাতে মানুষ অনুদান দিতে এগিয়ে আসে।
জানা গেছে, সাধারণ মানুষের সাড়া না মিললেও প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী অর্থ জমা দিয়েছেন আমলারা।
গত বছরের জুনে পদ্মাসেতু প্রকল্পে বিশ্বব্যাংকের অর্থায়ন নিয়ে কিছুটা অনিশ্চয়তার পরিপ্রেক্ষিতে প্রয়োজনে নিজস্ব অর্থায়নে সেতু নির্মাণের ঘোষণা দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রীর এ ঘোষণাকে অনেকেই অভিনন্দন জানান। এরপর বিভিন্ন মহল থেকে পদ্মাসেতু নির্মাণে স্বেচ্ছায় অনুদান দেওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করে।
এর পরিপ্রেক্ষিতে গত ১৬ জুলাই মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে অর্থ সংগ্রহের লক্ষ্যে দু’টি ব্যাংক হিসাব খোলার সিদ্ধান্ত হয়। এরপর গত ৫ আগস্ট অর্থ মন্ত্রণালয় একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে। ৮ আগস্ট বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ থেকে এ-সংক্রান্ত দু’টি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। এর পরই সব তফসিলি ব্যাংক দু’টি করে ব্যাংক হিসাব খোলে। একটি হিসাব স্থানীয় মুদ্রায়, অন্যটি বিদেশি মুদ্রায়।
link View this link ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।