আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

রাখিস মা রসে বশে - চলমান তাবু

যদি নির্বাসন দাও.................................................................. আমি ওষ্ঠে অঙ্গুরী ছোঁয়াবো আমি বিষ পান করে মরে যাবো! বিষণ্ন আলোয় এই বাংলাদেশ নদীর শিয়রে ঝুঁকে পড়া মেঘ, প্রান্তরে দিগন্ত নির্নিমেষ- এ আমারই সাড়ে তিন হাত তুমি।

বলছিলাম সেই স্মার্ট লোকদের কথা। না না ভুল বলেছি, মহাস্মার্টদের কথা। এই সমস্ত লোকজন কিন্তু মজার কান্ড করে বেড়ায়, তার কিছু নমুনা ইতিমধ্যে অনেকে ব্লগে প্রসব করেছেন। এখন একটা স্মার্ট থুক্কু মহাস্মার্ট লোককে নিয়ে কৌতুক শুনুন।

একবার প্রায় ত্রিশ হাজার ফুট উচ্চতায় একটা হেলিকপ্টার বিকল হয়ে পড়ল। যাত্রী ছিলো মোট পাঁচজন। একজন পাইলট, একজন ডাক্তার, একজন শিক্ষক ও তার ছাত্র আর একজন মহাস্মার্ট লোক। পাইলট বললেন, হেলিকপ্টারটা আধঘন্টা এভাবে উড়বে তারপর ক্র্যাশ করবে। কিন্তু সমস্যা হলো আমাদের স্টকে প্যারাসুট আছে চারটা।

তার মানে চারজন নামতে পারবেন, একজন পারবেন না। আমি যেহেতু একজন পাইলট সেহেতু আমার বাঁচা উচিত। এতে দেশের অনেক উপকার হবে। বলেই বৈমানিক সাহেব একটা প্যারাসুট নিয়ে বিমান থেকে লাফ দিলেন। এবার ডাক্তার মহোদয় বললেন, আমি একজন ডাক্তার।

মানুষ বাঁচানোই আমার পেশা। অতএব আমি একটা প্যারাসুট দাবী করতেই পারি। তিনি প্যরাসুট নিয়ে লাফ দিলেন। এবার মহাস্মার্ট লোকটি বললেন, আমার বেঁচে থাকা অত্যন্ত দরকারী। শুধু দেশের জন্য না বিশ্বের জন্যও।

কারণ আমি একদিন হলিউডের সুপাস্টার হতে পারি। বলেই তিনি প্যারাসুট নিয়ে ঝাঁপ দিলেন। বাকী থাকলো শিক্ষক আর ছাত্র। ছাত্রটি বলল, 'স্যার আপনি আগে প্যারাসুট নিয়ে নেমে পড়ুন। ' শিক্ষক বললেন, 'তা হয় না বাবা, আমি এই পৃথিবীটা অনেকটা সময় উপভোগ করেছি।

তুমি মাত্র এসেছো। তুমিই দেশের ভবিষ্যত। তোমাকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিয়ে আমি নিজের জীবন বাঁচাতে পারি না। প্যারাসুট নিয়ে তুমি নীচে লাফিয়ে পড়ো। ' ছাত্রটি বললো, 'তার দরকার হবে না।

আপনি নামার পরেই আমি প্যারাসুট নিয়ে লাফ দেবো। ' শিক্ষক বললেন, 'তা কি করে সম্ভব? প্যারাসুট তো আছে মাত্র একটা। ' ছাত্রটি বললো, 'জ্বি না স্যার, ওই মহাস্মার্ট লোকটা প্যারাসুট মনে করে আমার স্কুল ব্যাগ নিয়ে লাফিয়ে পড়েছে। ' এই তো গেল মহাস্মার্ট লোকদের মহাস্মার্ট কান্ডকারখানা। আমি বাপু সাতে-পাঁচে নাই।

তবুও আমার কথায় কারো বুকে শেল (এটা কিন্তু হাবিজাবির সেই ভাড়া দেয়া শেল না) বিঁধলে সে দায়ও নিতে ইচ্ছুক না। যাকগে, এসেছিলাম কিছু রঙ্গ করতে, রঙ্গ করি। কারণ এটাতো রঙ্গিলা দুনিয়া, রঙ্গিলা ব্লগ। একবার একজন বিদেশী এসেছিলেন বাংলাদেশে। সেটা ছিলো প্রথমবারের মতো তার বাংলাদেশ সফর।

যাই দেখতেন তাতেই তিনি বিস্মিত হতেন। লুঙ্গি দেখে বিস্ময়ে তার চোখ ছানাবড়া। বোতাম নেই, বেল্ট নেই এই জিনিস তবু আটকে থাকে কেমনে? শুধু এখানেই শেষ না। রাতে শোবার সময় মশারি দেখে বলেন- জিনিসটা কি? মাছ ধরার যন্ত্রপাতি নাকি? চতুর সহকারী বুদ্ধি করে বলেন, ওটা আসলে একটা গুহা। তোমার জন্য বানানো হয়েছে।

ভিতরে ঢুকে পড়ো খুব মজা হবে। তার উদ্ভট সব প্রশ্নের উত্তর দিতে দিতে সহকারী ভদ্রলোকের চুল পেকে যাবার জোগাড়। এমন সময় আবার নতুন প্রশ্ন। একদিন রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিলো এক বোরখা পরিহিত ভদ্রমহিলা। বিদেশী সাহেবের সেটা দেখে বিস্ময়ের সীমা নেই।

তিনি জিজ্ঞেস করলেন- ওটা কি? সহকারী কিছুক্ষণ ভেবে বললেন- ওটা হচ্ছে একটা মোবাইল ট্যান্ট, মানে চলমান তাবু। ব্যাপার এখানে শেষ হলেই ভালো হতো। কিন্তু ভদ্রলোক দৌড়ে গেলেন তাবু পরিদর্শনে। এমন মজার জিনিস জীবনে দেখেন নাই। গিয়ে ভাঙা ভাঙা বাংলায় জিজ্ঞেস করলেন- আমি কি আপনার তাবুতে একটু ঢুকতে পারি? রসের কথা অনেক হলো।

তবে বেশিদিন আর শুনতে হবে না। কারণ সময় হয়েছে এবার পুরো দেশটারই তাবুর মধ্যে ঢুকে যাবার।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.